পঞ্চক মালা/বিরহে
বিরহে।
মুর্খ আমি, সূক্ষ্ম প্রেমের করি মিছাই দাবি!
প্রাণ্টা আছ প্রাণে গুঁজে, তবু তোমায় পাইনে খুঁজে;
দূরে আছে দেহখানা এতেই বেজায় ভাবি।
পটের উপর কালো দাগে ছবির ছায়াই ভাল লাগে;
ছায়াশূন্য প্রীতির আলো হারায় আঁখি-তারা;
রঙ এর আলো চক্ষে ভরি’ আমি তোমায় লক্ষ্য করি;
সত্য কিছু বুঝি নাকে আস্ত ফাঁকি ছাড়া।
কথার চেয়েও মধুর, রামা! প্রমাণ হচ্চে অধর রাঙ্গা;
চিঠির চাইতে দিঠির ভঙ্গি হ’ল শেষে প্রিয়।
অতিরিক্ত হবে যখন দেহাতীত প্রীতির কথন,
ঠোক্না মেরে আমার গালে মুচ্কে হেসে নিও।
ঐ সুযোগে দিও চুলোয় ফাঁকা যত ‘থিওরি’গুলোয়;
বোলো অঙ্গাতীত সত্য, শুন্বে লক্ষ হিদেন্;
বুঝিয়ে দিও বারম্বার- বসন এবং অলঙ্কার,
বৃদ্ধি করে অনুরাগ, নারীর পক্ষে নিদেন্।
প্রমাণ কোরো খোঁপা নেড়ে (আমি যাব বোকা মেরে)
দেহের বর্ণ স্বর্ণ ভূষায় উজল্ করে খাঁটি।
বুঝব্ আমি,—নারীর ফুল্ল দীপ্তি বাড়ায় সাড়ীর মূল্য।
প্রীতির তত্ত্বে গীতার অর্থ একেবারে মাটি।