পঞ্চক মালা/বৌ
(পৃ. ২১-২৪)
নারী পঞ্চক।
বৌ।
উলুধ্বনি করলো সবে বাদ্যি বাজা শাঁখে।
আমার মাণিক্ সোণা, বৌটি —চাঁদের কোণা-
আকাশ থেকে পেড়ে এনে দিচ্চে তুলে মাকে।
বরণডালা হাতে, আয়লো সাথে সাথে;
লক্ষ্মী এলো সাগর থেকে, সুধার কলস্ কাঁকে।
ঘরে এসো; মরি, লক্ষ্মী পূজা করি,
সিঁদূর দিয়ে সিঁথী ভোরে তুলি বুকের তাকে।
পরের মেয়ে? ওমা! কথা বল্লি তোরা কাকে?
পরের বাছা হোলে, তুলে নিতে কোলে
উঠ্ত কিরে সুখের ঢেউ বুকের থাকে থাকে?
আঁখি-পদ্ম-দলে শিশির কেন ঝলে?
মা ফেলে যে এলে তাই, ভাব্ছ কিগো তাকে?
চাঁদ মুখেতে “মা” আমায় বলনা!
মুখ ভোরে যাক্ দুজনেরি মধুর “মা” “মা” ডাকে।
আমিও মা ফেলে এসে আজ পেয়েছি মাকে।
তুমিও পাবে মা! দুঃখ রবে না,
বাঁধ্বে যবে ঘর খানি গো প্রেমের সূতার পাকে।
এসো বাছা ঘরে, আপন কর পরে।
উলুধ্বনি দেলো সবে বাদ্যি বাজা শাঁখে।