পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২)/১৫০
শ্রীচরণকমলেষু—
মাগো, অনেকদিন আপনাকে পত্র দিতে পারিনি। কিছুকাল যাবৎ খুব বেশী রকম ঝঞ্ঝাটের ভিতর দিয়ে যাচ্ছি। বোধ হয় কারামুক্তির পর এত ঝঞ্ঝাট কোনও দিন আসেনি। সর্ব্বদা আপনার স্নেহাশীর্ব্বাদ আমাকে ঘিরে রেখেছে—এই অনুভূতি আমার অশেষ সান্ত্বনা ও শক্তির আকর। আমার এই বিপদের সময়ে আপনি না থাকলে আমার কি অবস্থা হ’ত জানি না। কিন্তু যদিও আপনার presence-এর অনুভূতি সর্ব্বদা পাই, তবু কাছে যেতে খুবই ইচ্ছা করে—একথা বলা বাহুল্য। কবে যেতে পারব জানি না।
এবার Central Provinces-এ গিয়ে তরুণদের মধ্যে বেশ propaganda করে এসেছি। মাঝখানে আমার অনুপস্থিতির সময়ে আমাকে Trade Union Congress-এর President করে দিয়েছে।
সেনগুপ্তের দল আমাদের অপদস্থ ও বিধ্বস্ত করবার জন্য বার বার প্রাণপণ চেষ্টা করেছে—এখনও কৃতকার্য্য হতে পারেনি। এখন আমাদের dispute পণ্ডিত মতিলালের হাতে। যদিও আমরা election-এ অন্যায় কিছু করিনি। তবুও কেন যেন আশঙ্কা হচ্ছে যে
এই লেখায় এই অংশে একটি চিত্র থাকা উচিৎ। যদি আপনি তা দিতে পারেন, তবে, দয়া করে সাহায্য:চিত্র দেখুন। |
পণ্ডিতজী সেনগুপ্তকে সমর্থন ক’রে, sylhet-এর, B. P. C. C.-র এবং A. I. C. C.-র নির্ব্বাচন নাকচ করবেন।
জেলখানায় কখন যাওয়া উচিত তাই ভাবছি—বড় দিনের আগে না পরে? আশা করি Conviction হবেই। উপর থেকে যদি অন্যরূপ Policy চলে তা’ হলে কি হবে বলতে পারি না—তবে General Amnesty-র বিশেষ আশা আমি রাখি না।
যাক্ শুকনো রাজনীতির কথা লিখে আর কি হবে? দেখা হ’লে বড় ভাল হ’ত—অনেক কথা ছিল কিন্তু উপায় দেখছি না যাবার।
আপনার স্নেহাশীর্ব্বাদ আমাকে মানুষ করে তুলুক ইহাই আমার একান্ত প্রার্থনা। মানুষ হতে বুঝি আর পারলুম না।
আমাদের এই বিপদের সময়ে ডাঃ রায়ের কাছে আশানুরূপ সহায়তা পাচ্ছি না। নির্ম্মলবাবু অনেকটা করেছেন।
আপনার শরীর কেমন? এখানে সকলে কেমন আছেন?
আপনার সেবক