পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২)/৪১
তোমাকে যখন ছেড়ে আসি তখন বুঝেছিলাম তোমার মনের অবস্থা ভাল নয়। তবুও আসিতে বাধ্য হয়েছিলাম। এ কয়দিন যাবৎ তোমাকে পত্র দিই নাই— কিন্তু তা বলে তোমারও কি পত্র দিতে নাই? ইচ্ছা ছিল তোমার সঙ্গে পর দিন প্রাতে দেখা করা— কিন্তু বিশেষ কারণ বশতঃ তাহা পারি নাই। যাহা হউক তুমি কেমন আছ বিস্তৃত ভাবে জানাবে। তোমার শরীর দেখে কে কি বলেছে শুনিতে ইচ্ছা করি।
আমার পড়াশুনা বন্ধ হইবে এইরূপ মনে হইতেছে—আমি একটি ভীষণ সমস্যার সম্মুখে উপস্থিত। এতদিন ধরে এর তার সাহায্য চেয়েছিলাম এবং মত জানতে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি যে মীমাংসা প্রধানতঃ আমার উপরই নির্ভর করিতেছে। তা ছাড়া এখন মনের অবস্থা আমার ভাল নয়—বাঁচি কি মরি জানি না— তবে দেখছি আমার Life-এর Experience এই যে “আশা” জিনিষটা আমাকে সর্ব্বদা বাঁচিয়ে রাখে—কখনও জীবনের দিকে বিমুখ হইতে দেয় না। জানি না—এটা কুহকিনী কি না। আমার এ বিপদের সময়ে তুমি কি পশ্চাৎপদ হইবে?
যে সমস্যা আমার নিকট উপস্থিত—তাহা যে এত ভীষণ হইবে তাহা কোন দিন ভাবি নাই।
অধিক কি লিখিব। বিস্তৃত পত্র দিও। ওখানকার খবর কি?