পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২)/৮৩

◄  ৮২
৮৪  ►
৮৩

বিভাবতী বসুকে লিখিত

শ্রীশ্রীদুর্গা সহায়

মান্দালয় জেল
১১।৯।২৫

পূজনীয়া মেজবৌদিদি,

 আপনার চিঠি পেয়ে যার পর নাই আনন্দিত হয়েছি। আমার চিঠি পড়ে আপনারা যে রস উপভোগ করেছেন তা জেনে সুখী হয়েছি—কারণ মধ্যে ২ আশঙ্কা হয় যে হয়তো জেলে থাকতে থাকতে জীবনের সব রস শুকিয়ে যাবে। শাস্ত্রে বলে “রসো বৈ সঃ”—অর্থাৎ ভগবান নাকি রসময়। সুতরাং রস যে লোক হারিয়েছে—সে যে জীবনের সারবস্তু—আনন্দ— হারিয়েছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই—তার জীবন তখন ব্যর্থ, নিরানন্দ ও দুঃখময়। আমার চিঠি পড়ে আপনারা যদি আনন্দ পান, তাহলে বুঝতে পারব যে আমি আনন্দ দিবার ক্ষমতা এখনও হারাই নাই। পৃথিবীর বড় বড় লোকেরা—যেমন দেশবন্ধু, রবি ঠাকুর ইত্যাদি অনেক বয়স পর্য্যন্ত, এমন কি জীবনের শেষ দিন পর্য্যন্ত—আনন্দ ও স্ফূর্ত্তি হারান না। সে আদর্শ আমাদের পক্ষে অনুকরণীয়।

 যাক্—বক্তৃতা রেখে এখন গল্প করি। এখানে এমন একটা ঘটনা ঘটে গেছে যা শুনলে আপনারা মনে করবেন বুঝি নাটক অথবা উপন্যাসের কথা বলছি। আমাদের মলয় হঠাৎ খালাস পেয়ে বাড়ী চলে গেছে। তার সাত বৎসর মেয়াদ হয়েছিল এবং প্রায় সাড়ে তিন বৎসর মেয়াদ সে ভোগ করেছিল। গভর্ণমেণ্টের নূতন নিয়ম অনুসারে যাদের বেশী মেয়াদ হয়, তাদের মেয়াদের অর্দ্ধেকটা···ভোগ হয়ে গেলে, তারা খালাস পেতে পারে। সে নিয়মানুসারে হঠাৎ একদিন খবর এলো যে মলয় কালই খালাস পাবে। যার তিন বৎসর মেয়াদ বাকী আছে, সে যদি হঠাৎ খবর পায় কালই খালাস পাবে, তবে তার মনের অবস্থা কি রকম হবে—তা হয় তো কল্পনা করতে পারেন। বহুদিন যাদের দেখে নাই, বহুদিন যাদের খবর পায় নাই, বহুকাল যাদের দেখা পাবার আশা ছিল না—হঠাৎ তাদের সব কথা সব স্মৃতি যখন মনের মধ্যে ভেসে ওঠে তখন বোধ হয় মানুষের মন আনন্দে বিহ্বল হয়ে পড়ে। আমরা মনে করেছিলাম যে হঠাৎ খালাসের খবর পেয়ে সে আনন্দে নৃত্য করবে—কিন্তু তা যখন করলে না তখন বুঝতে পারলাম যে অত্যন্ত আনন্দের চাপে সে একেবারে বিহ্বল হয়ে পড়েছে। মনের অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করলে শুধু বলছে “কাউণ্ডে কাউণ্ডে” অর্থাৎ “ভাল ভাল।”

 তার খালাসের পূর্ব্বদিনে তাকে কাছে বসিয়ে তার বাড়ীর সব খবর জিজ্ঞাসা করলাম। শুনলাম তার দুইটি স্ত্রী, এবং দুইটি মেয়ে ও তিনটি ছেলে। এক স্ত্রীর কোন সন্তান হয় নাই। বহুকাল, অর্থাৎ প্রায় চার বৎসর, এদের সম্বন্ধে কোনও খবর পায় নাই। তাই খালাসের সময়ে তাদের মঙ্গল সম্বন্ধে অমঙ্গল চিন্তা করে মনটা আকুল হয়েছে। তারা সকলে বেঁচে আছে কিনা—তারা কেমন আছে এই সব চিন্তা এতদিন এক রকম চাপা ছিল। কিন্তু খালাসের সময়ে এই কথা মনে আসতে একদিকে আনন্দ হচ্ছে এবং অপর দিকে নানা প্রকার চিন্তা মনের মধ্যে দেখা দিচ্ছে। এই কারণে ও খালাসের খবর পেয়েও বেশী আনন্দ করতে পারে নাই।

 তারপর তার বাড়ীর অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করে শুনলাম যে সে গ্রাম্য জমিদার কি রাজা। পূর্ব্বে তারা একেবারে স্বাধীন ছিল এবং স্বাধীনতার জন্য বর্ম্মীদের রাজাদের সহিত লড়াই করেছিল। তারপর ইংরাজের অধীনে তারা গিয়ে পড়ে। মধ্যে প্রায় সাত বৎসর পূর্ব্বে, খাজনা বন্ধ করাতে ইংরাজের সহিত তাদের লড়াই হয়। সেই লড়াইতে উভয় পক্ষের অনেক লোক মরে। শেষে হার মেনে সে পলায়ন করে। প্রায় তিন বৎসর লুকিয়ে থাকবার পর তার বৈমাত্রেয় ভাই তাকে এবং তার ভাইকে ধরিয়ে দেয়। তার ভায়ের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর হয় এবং তার অর্থাৎ মলয়ের সাত বৎসর মেয়াদ হয়।

 তারপর মলয় তার শরীরের অনেকগুলি ক্ষতচিহ্ন দেখাইল সে সবগুলি যুদ্ধের সময়ে আঘাতের চিহ্ন। তারপর আমরা বর্ম্মাদেশের ইতিহাস শুনে দেখলাম যে তার কথা সত্য বটে। তার খালাসের পরও সেই দেশের অন্যান্য কয়েদীদের জিজ্ঞাসা করে জেনেছি যে মলয়ের কথা এক বর্ণও মিথ্যা নয়।

 একজন গ্রাম্য রাজাকে আমরা মেথর করে রেখেছি একথা শুনে আমরা লজ্জায় মাথা হেঁট করলাম। শেষে আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করলাম সে কেন মেথরের কাজ করতে স্বীকার করল। অত্যন্ত দুঃখের সহিত সে বললে—“কি করব—জেলের হুকুম! এখানে কি আর মানুষ আছি—এখানে কুকুর হয়ে গেছি। আবার বাহিরে গেলে তখন মানুষ হব।”

 তার করুণ কাহিনী শুনে আমরা জিজ্ঞাসা করলাম—ভবিষ্যতে সে কি করবে। অনেক চিন্তা করে বললে,—“এখনও কিছু স্থির করতে পারি নাই। আমার বৈমাত্রেয় ভাই আবার শত্রুতা আচরণ করবে কিনা জানি না—কারণ আমার অবর্ত্তমানে সে-ই জমিদারী ভোগ করছিল। ভয় হয়—হয় তো আমার কপালে এখনও অনেক দুঃখ আছে।”

 যাবার সময়ে আমরা জিজ্ঞাসা করলাম—বাড়ীতে গিয়ে আমাদের কথা ভুলে যাবে কিনা। তখন গদগদ কণ্ঠে বল্লে—“বেঁচে থাকতে আপনাদের স্নেহের কথা ভুলব না—এবং আমার ছেলে ও নাতিদের কাছে আপনাদের গল্প করব।”

 এখন আপনারা বলুন তো যে এ ঘটনা সত্য বলে মনে হয়, না উপন্যাসের গল্প বলে মনে হয়? ইংরাজীতে একটা প্রবাদ আছে যে সত্য ঘটনা অনেক সময়ে গল্পের চেয়েও অলৌকিক বলে বোধ হয়। এও তাই।

 বর্ম্মা ভাষা ভালো রকম শিখতে পারি নাই—তবে সাধারণ কথাবার্ত্তা চালাবার মত কিছু কিছু শিখেছি। বর্ম্মাদের মধ্যেও কেহ কেহ ইংরাজী বা হিন্দুস্থানী জানে তাদের সাহায্য নিয়ে বর্ম্মা কথা আমরা বুঝে থাকি। মোটের উপর একটু অসুবিধা হলেও আমরা কোন রকমে কাজ চালিয়ে নি।

 টেনিস কোর্টের দরুন আমরা কতকটা ব্যায়াম করতে পারি। তা না হলে বোধ হয় বাতগ্রস্ত হয়ে বাড়ী ফিরতুম। এম্‌নি তো বাতের লক্ষণ দেখা দিয়েছে ব’লে বোধ হয়। পূর্ব্বে আমরা ব্যাডমিণ্টন খেলতে পেতাম। ব্যাডমিণ্টন আমি চিরকাল মেয়েদের খেলা বলে মনে করতাম এবং সেইজন্য কখনও খেলি নাই। জেলে এসে সব উল্টে যায়—তাই আবার শৈশব ফিরে আসে এবং আমরা ব্যাডমিণ্টন খেলতে আরম্ভ করি। প্রথমে যে একটু লজ্জা হ’ত না তা বলতে পারি না। তবে শাস্ত্রে বলে যে মধু না পাওয়া গেলে গুড় ব্যবহার করা উচিত। তাই অন্য খেলার অভাবে ব্যাড্‌মিণ্টন খেলা খেলে আশ মেটাতে হ’ত। আমাদের সব সময়ে জেলখানার মধ্যে আর একটা ক্ষুদ্র জেলে বাস করতে হয়—আমাদের ওয়ার্ডের (ward) বাহিরে আর কাহারও সহিত মিশিবার উপায় নাই। অধিকাংশ জেলে আমাদের কপালে এরূপ ward (ওয়ার্ড) জুটতে—যে কোন রকমে ব্যাড্‌মিণ্টন খেলার মত জায়গা করে নেওয়া যায়। এখানে একটু জায়গা বেশী থাকাতে টেনিস খেলা সম্ভব হয়েছে। তাতেও মুস্কিল এই যে বলগুলি প্রায় দেয়াল পার হয়ে বাইরে গিয়ে পড়ে। আর যে গুলি বাইরে যায় না সেগুলি দেওয়ালের গায়ে আঘাত খেয়ে আবার কোর্টের মধ্যে এসে পড়ে। তবুও—“নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল।”

 পুখুরের জল বাড়বার উপায় নাই। কারণ বাড়লেই উপছে নর্দ্দমা দিয়ে বেরিয়ে যায়। আর মধ্যে মধ্যে পুখুর খালি করে নূতন জল ভরতে হয়। বস্তুতঃ চৌবাচ্চা না বলে পুখুর বলবার কোনও কারণ নাই। তবে ব’লে মনকে বোঝান যায় যে পুখুরে স্নান করেছি।

 এখানে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। আশা করি এখানেই মায়ের পূজা করতে পারব। তবে খবচ নিয়ে কর্ত্তৃপক্ষদের সহিত ঝগড়া চলছে, দেখা যাক কি হয়। পূজার কাপড় এখানে পাঠাতে যেন ভুল না হয়—বিজয়া দশমী যখন এখানেই কাটবে।

 আমাদের হোটেলে সবই পাওয়া যায়। সেদিন ম্যানেজার বাবু আমাদের গরম গরম জিলিপী খাওয়ালেন—আর আমরাও দুহাত তুলে আশীর্ব্বাদ করলাম তিনি যেন চিরকাল জেলেই থাকেন। তার পূর্ব্বে রসগোল্লা খাইয়েছিলেন যদিও গোল্লা রসে ভাসছিল তবুও ভিতরে রস ছিল না এবং ছুঁড়ে মারলে রগ ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু আমরা সেই লৌহবৎ রসগোল্লা নিশ্চিন্তমনে গলাধঃকরণ করে কৃতজ্ঞ চিত্তে ম্যানেজার বাবুর দীর্ঘায়ু কামনা করেছিলাম।

 আমরা যখন বাঙ্গালী তখন বাঙ্গালী রকমের রান্না নিশ্চয় হয়। ম্যানেজার বাবু স্থির করেছেন যে জগতে একমাত্র পেঁপেই সত্য—তাই ঝোলে, ঝালে, অম্বলে, তরকারীতে, ডালনায়—সর্ব্বত্র পেঁপে পাওয়া যায়। আর যেহেতু আমাদের ম্যানেজার বাবু half-doctor অর্থাৎ আধা-ডাক্তার—তিনি তাই সিদ্ধান্ত করেছেন যে বেশী পরিমাণে পেঁপে ভক্ষণ করলে পেটের অবস্থা ভাল থাকবে। চলতি কথায় বলে—“খাওয়ার মধ্যে থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড়।” এখানে থোড়ও পাই না। আর বড়িও পাই না। তাই বলতে ইচ্ছা করে নিরামিষ রান্নার মধ্যে পেঁপে, বেগুন, শাক, পেঁপে। ভাগ্যিস পাঁঠা ও মুরগীটা খাওয়ার অভ্যাস ছিল তাই ম্যানেজারের গুণগান করতে পারছি—তা না হলে কি হোত, বলা শক্ত।

 এটা কিন্তু না বললে অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দেওয়া হবে যে এর মধ্যে ম্যানেজার বাবু অনেক অনুরোধের ফলে ধোঁকার ডাল্‌না, ছানার কালিয়া ও ছানার পোলাও খাইয়েছেন। অতএব তাঁর জয় হ’ক। দুর্ম্মুখেরাও যেন তাঁহার নিন্দা কখনও না করে!

 বাগানের খবর জিজ্ঞাসা করেছেন। এখানে বাগানের অবস্থা শোচনীয়। ফুলের বীচি লাগান হয়েছিল পিঁপড়ে ও পোকার উপদ্রবে বেশী গাছ গজায় নি। যে কয়টি হয়েছিল মুরগী কয়টা মিলে সেগুলি ধ্বংস করেছে। ফলে, গাছের মধ্যে এখন দাঁড়িয়েছে সূর্য্যমুখী এবং ঐ জাতীয় দুই এক রকম গাছ। রজনীগন্ধা গাছ কয়েকটা আছে কিন্তু গন্ধ নাই বলিলে অত্যুক্তি হয় না। গন্ধ ও গানের অভাব সময় সময় বোধ করি। কিন্তু উপায় কি?

 এ মুলুকে ভাল চা পাওয়া যায় না—তাই কলিকাতা থেকে ভাল চা আনবার জন্য দোকানে আমরা ফরমাস দিয়েছি। এখানকার লিপ্‌টন ও ব্রুক বণ্ড চা অখাদ্য এবং উভয়ই বিলাতী। আমি গত চিঠিতে খলের কথা লিখেছিলাম। একটা ভাল খল কবিরাজী ওষুধ খাবার জন্য। এবং খুড়োকে বলবেন ভালো চায়ের দোকানের ঠিকানা আমাকে জানাতে। আমরা দার্জিলিঙের অরেঞ্জ পিকো (Orange Pekoe) চা খাই। এখানকার দোকানে ফরমাস দিয়ে আমরা কলকাতার সেই দোকান থেকে চা আনাবো।

 সবচেয়ে সুন্দর এখানকার ইলিশ মাছ। দেখতে ঠিক গঙ্গার ইলিশ। কিন্তু গঙ্গার অথবা বাঙ্গালার ইলিশের মত একটুও স্বাদ নাই। খাবার সময় বলতে পারা যায় না কি মাছ। মাছের মধ্যে রুই ভিন্ন ভাল মাছ পাওয়া যায় না। চিংড়ি মাছ পাওয়া যায় বটে—কিন্তু আগুন দর।

 আশা করি ওখানকার সব কুশল। কঞ্চি মামা এখন কোথায়? প্রাক্‌টিশ কেমন হচ্ছে? মেজদাদাকে বলবেন যে টাকার কথা যা লিখেছিলাম তা যেন পাঠান। আপনারা কি এবার দেশে যাবেন পূজার সময়? আমার Financial Secretary-র খবর কি? তিনি এখন বোধ হয় কটকে? অরুণার ও গোরার বিবাহ কি স্থির হল? বড়দিদিরা কেমন আছেন? শরীর কেমন?

 কাপড় জামা ইত্যাদি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেছেন। আপনারা কি জানেন না যে আমরা সম্রাটের অতিথি? আমাদের কি কোন অভাব থাকতে পারে? আমাদের অভাব মানে যে সম্রাটের নিন্দা। আর তাও কি হতে পারে?

 আমার শরীরের কথা জিজ্ঞাসা করেছেন। সুখে দুঃখে দিনগুলি একরকম কেটে যাচ্ছে। গরমের সময় বেশ অসুবিধা হয়েছিল আর স্বাস্থ্যও খারাপ হয়েছিল। বদলী হবার জন্য যে দরখাস্ত করি সে দরখাস্ত নামঞ্জুর হয়। কর্ত্তৃপক্ষেরা বোধ হয় মনে করেন যে আমি ছলনা করে বলছি যে—আমার শরীর খারাপ। অথবা মনে করেন যে আমি নিতান্ত অকৃতজ্ঞ; সরকার এত কষ্ট করে আমার খোরাক পোষাক বিনা খরচে যোগাচ্ছেন—আর আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে বদলী হবার জন্য ব্যস্ত। যাক্ এখন আর বদলী হবার আকাঙ্ক্ষা রাখি না। গরমটা কমেছে; শরীরটা তাই পূর্ব্বাপেক্ষা একটু ভাল আছে। যদি হজমের গোলমাল না বাড়ে, তবে শীতকালটা ভাল থাকব বলে ভরসা করি। এখান থেকে বর্ম্মারাজার প্রাসাদ দেখতে পাওয়া যায়—এবং তাঁরই কেল্লার মধ্যে যে জেলখানা সেই জেলখানার মধ্যে আমরা বাস করি। পূর্ব্ব গৌরবের কথা প্রায় মনে হয় এবং বর্ত্তমান অবস্থার কথা চিন্তা করলে যে চোখে জল আসে না তা বলতে পারি না। ভারত কি ছিল—আর কি হয়েছে।

 এখানে এসে অনেক শিখেছি এবং সে হিসেবে অনেক লাভও হয়েছে। ভগবান যা করেন—মঙ্গলের জন্য করেন। দেশকে কত ভালবাসি তা বোধ হয় এখানে এসে ভালরকম বুঝতে পেরেছি।

 আপনারা সকলে আমার প্রণাম জানবেন।

ইতি— 
শ্রীসুভাষ