পুরাবৃত্তের সংক্ষেপ বিবরণ/আসুরিয়া ও মিডিয়া ও বাবেলন ও পারস দেশ
আসুরিয়া ও মিডিয়া ও বাবেলন ও পারস দেশ।
আমরা পূর্ব্বে কহিয়াছি যে ইতিহাসবেত্তারা আসুরীয় রাজ্যের উৎপত্তি অতিপ্রাচীন এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন কালে হইয়াছিল এমত কহেন। সামান্যতঃ প্রবাদ আছে যে ঐ রাজ্য হয় নিমরােদ নতুবা নিনস্ স্থাপন করেন এবং অনুমান হয় যে খ্রীষ্টীয়ান শকের পূর্ব্বে ২০০০ বৎসরঅবধি শার্দনাপালসের সময় অর্থাৎ ৭৪৩ সালপর্য্যন্ত ঐ রাজ্য স্থায়ি হইয়া শেষােক্ত ব্যক্তির রাজ্যকালে বিনষ্ট হয়। অন্যান্য ইতিহাসবেত্তারা এই গণনা স্বীকার করেন না তৎপ্রযুক্ত এতদ্বিষয়ে আমরা যাহা কহিতে পারি সে কেবল অনুভবমূলক তদ্বারা পাঠকগণকে বিরক্ত করাতে কি ফল। কিন্তু শার্দনাপালসের আমলে আসুরীয় নামে বিখ্যাত যে বিশেষ রাজ্য বা অন্য কোন আসুরীয় রাজ্য বিনষ্ট হয় এমত অনুভবের মূল থাকিতে পারে। ঐ শার্দনাপালস পূর্ব্বদেশীয় অতি সৌখীনাবস্থায় কাল যাপন করিলেন প্রায় নিত্যই। তাঁহার অন্তঃপুরে অবস্থান হইত রাজকার্য্যে প্রায় দৃষ্টি ছিল না। প্রাচীন ঔদরিকেরদের মধ্যে এক জন চূড়ামণি খাওদাও আমােদ আহ্লাদ কর শর্দনাপালস রাজমণির এই মাত্র বাক্য ছিল কিন্তু ঈদৃশ ব্যক্তির হস্তে রাজ্য থাকিলে অতিশীঘ্র কোন প্রবল সুবাদারের হস্তেই পতিত হয়। এইক্ষণে আরবেসিসনামক মিদিয়ার অধ্যক্ষ উক্ত রাজমণির স্ত্রীবাধ্যতা দৃষ্টে সাহসিক হইয়া এবং স্বীয় উচ্চপদাভিলাষিতার মহােৎসুকতাতে কএক জন অসন্তুষ্ট মন্ত্রিরদের সঙ্গে বিশেষতঃ বাবেলন দেশের বিলােসসের সঙ্গে যােগ করিয়া স্বীয় রাজাকে সিংহাসনভ্রষ্ট করিতে উদ্যোগ করিলেন। কিন্তু শার্দনাপালসের সৌখীনাচার ব্যবহার বিষয় যদ্রূপ রাষ্ট্র ছিল তাহার অলীকতা দর্শায়নার্থ এমত মনােযােগপূর্ব্বক উদ্যোগ করিলেন যে বারম্বার আরবেসিসকে থামাইয়া রাখিলেন কিন্তু বিলােসস্ বাবেলন দেশীয় সহকারি সৈ ন্যেরদিগকে লইয়া আরবেসিসের সঙ্গে একত্র হইয়া রাত্রিযােগে একটা ছলদ্বারা ঐ রাজাকে পরাজয় করিলেন। পরাজিত রাজা অতিসুরক্ষিত নিনিবাহ নগরে আশ্রয় লন এবং আরবেসিস দুই বৎসরপর্য্যন্ত ঐ নগর বেষ্টন করেন তৎসময়ে ধারাবাহিক এমত জনরব চলিত ছিল যে টিগ্রীশ নদী যেপর্য্যন্ত ঐ নগরের প্রতিকূল না হয় সেপর্য্যন্ত তাহা অধিকার করিতে কাহারো সাধ্য হইবে না অতএব এই প্রবাদের উপর নির্ভর করিয়া অকুতােভয়ে শার্দনাপালস ঐ নগরে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন কিন্তু নগর বেষ্টন হওনের দ্বিতীয় বৎসরে টিগ্রিশ নদীর জলপ্লাবনে তটস্থ ভূমিসকল এবং নগরের একভাগপর্য্যন্ত মগ্ন হইল তাহাতে নগরের অলঙ্ঘনীয় প্রাচীরের একাংশ পতিত হওয়াতে নগরে প্রবেশনীয় বিপক্ষেরদের পথ মুক্ত হইল। পরে শার্দনাপালস আপনার রাজ্যের শেষ হইল বােধ করিয়া আপনি এবং স্ত্রী ও ধন নপুংসকপ্রভৃতিসমেত স্বীয় রাজ বাটীতে সম্বন্ধ হইয়া সকলেই পুড়িয়া মরিলেন এতদ্রূপে আসুরীয় রাজ্য বিলুপ্ত হয়।
কথিত আছে যে জয়ী আরবেসিস্ মিডিয়া ও চতুর্দ্দিকস্থ প্রদেশ আপন হস্তে রাখিয়া বাবেলন প্রদেশ বিলোসস্কে প্রদান করিলেন। পুরাবৃত্তের মধ্যে দ্বৈধবিষয়ই এই যেহেতুক ধর্ম্ম পুস্তকে লেখে যে আসুরীয়েরা রাজা ফল্ এতৎসময়েই য়িহুদাহ দেশ আক্রমণ করেন ইহাতে কেহ২ অনুমান করিয়াছেন যে শার্দনাপালসের সাম্রাজ্য বিলুপ্ত হইয়া তাহাহইতে তিন রাজ্য উৎপন্ন হয় বিশেষতঃ বাবেলনের রাজ্য ও আসরীয় রাজ্য ও মিডিয়া রাজ্য। কেহ কহেন যে টিগ্রিশ নদী ও ফরাৎ নদীর সন্নিহিত তাবৎ দেশ আসরীয় নামে বিখ্যাত ছিল এবং ফল্ বিলোসসের এক নাম। এতদ্বিষয় স্পষ্টকরণার্থ আমারদিগের কোনখানে কিছু লেখা নাই যদিও তাহা থাকে তথাপি সে আবশ্যক বিষয় নহে যদ্যপি কোন স্বতন্ত্র আসুরীয় রাজ্য উৎপন্ন হইয়াছিল তথাপি তাহা বড় অধিক অশীতি বৎসর ব্যাপক থাকে ইতিমধ্যে বাবেলনের রাজ্য অন্যাপেক্ষা প্রাবল্যরূপে বৃদ্ধি হইতে লাগিল। নেবুকাডনেজর স্বীয় সৈন্যসমভিব্যাহারে ইতস্ততো ভ্রমণ করিয়া কিঞ্চিৎকালের নিমিত্তে পশ্চিম আসিয়ার মধ্যে বাবেলনের রাজ্য সর্ব্বাপেক্ষা পরাক্রমশালি হইল। ধর্ম্ম পুস্তকের মধ্যে স্বর্ণময় মস্তকের বিষয় যাহা লিখিত আছে তাহা নেবুকাডনেজের বিষয়ই। নেবুকাডনেজর য়িহুদীয় রাজ্য জয়করণানন্তর পৃথিবীর মধ্যে বাণিজ্যের প্রধান আডডা টায়র নগর খ্রীষ্টীয়ান শকের ৫৮৬ বৎসর পূর্ব্বে অধিকার করেন। তদনন্তর তিনি মিসরদেশ জয় করত অহঙ্কারে স্ফীত হইয়া ডিউরার মাঠে ষাইট হাত উচ্চ স্বর্ণময় স্বীয় এক প্রতিমূর্ত্তি স্থাপন করিয়া আপনার প্রজাগণকে আজ্ঞা দিলেন যে ভূস্পৃঙ্মুখ হইয়া তাহার পূজাদি করে। তাহার পর বাবেলের রাজারা উত্তরাধিকারিত্বক্রমে এক বৃহৎ রাজ্য ও ধনেতে পরিপূর্ণ কোষপ্রাপ্ত হইয়া রীতিক্রমে পূর্ব্বদেশীয় সৌখীন ব্যবহারে পতিত হইলেন এবং অতিশীঘ্র প্রবল প্রতিবাসি এক রাজাকর্ত্তৃক পরাজিত হন।
নেবুকাডনেজরের বংশ্যের দ্রাস হওন সময়ে পশ্চিম আসিয়ার অতি পুরাতন রাজ্য বিনষ্ট করিয়া তাহাহইতে পৃথিবীর মধ্যে অনুপম রাজ্য স্থাপন করিতে যে রাজার অদৃষ্ট ছিল এমত কোরসনামক রাজা পারস দেশের পর্ব্বতময় প্রদেশীয় অতি সাহসিক যোদ্ধারদের মধ্যে প্রতিপালন করিয়াছিলেন। তিনি প্রথমতঃ স্বদেশস্থ পর্ব্বতীয়েরদের মধ্যে অতি কষ্টরূপে কালযাপন করিয়া পরে উত্তরাধিকারিতর ক্রমে মিডিয়া দেশ প্রাপ্ত হইলেন। যে গুণের দ্বারা মনুষ্যের শ্রেষ্ঠত হয় সেই গুণ তাঁহার স্বাভাবিক ছিল। পশ্চিম আসিয়া রাজ্য তাঁহার সম্মুখেই বিস্তীর্ণ ছিল ঐ দেশের রাজগণ সকলেই স্ত্রীবাধ্য ও সৌখীন অতএব ঐ রাজ্য যে ব্যক্তি প্রথম জয় করি তে পারেন সুতরাং তাহা তাঁহারই হইত। অতএব পৃথিবীর রাজপরিবর্ত্তনের এক মহাকাল উপস্থিত এমত বোধ হইল। পরে কোরস মিডিয়া রাজ্য প্রাপ্ত হইয়া প্রথমতঃ আসুরীয় রাজ্যের প্রতি যুদ্ধ করিতে লাগিলেন কিন্তু ঐ রাজ্য জয় করিতে২ লিদিয়ার ক্রেসস্নামক রাজা এক নূতন শত্রুর ন্যায় তাঁহার প্রতিকূলে উত্থিত হইলেন। ঐ লিদিয়া ত্রয়দেশের পুর্ব্বদিগ্বর্ত্তি এক রাজ্য তাহার প্রাচীন বিবরণ তাবৎ অলীকময়। কোরসের দেদীপ্যমান হওনের কএক বৎসর পূর্ব্বে ক্রেসস্ উত্তরাধিকারিত্ব ক্রমে লিদিয়ার সিংহাসন প্রাপ্ত হইয়া এক মহারাজ্য স্থাপন করণের কল্প করিলেন এবং ক্ষুদ্র আসিয়াতে বসতিকারি তাবৎ গ্রীক কলোনিরদিগকে পরাজিত করিয়া হালিস নদীর পশ্চিমপর্য্যন্ত তাবৎ প্রদেশ অধিকার করিলেন। তাঁহার প্রজাগণ অত্যন্ত পরিশ্রমী ছিল এবং তিনি তৎকালীন তাবৎ রাজারদের অপেক্ষা ধনাঢ্য প্রসিদ্ধ ছিলেন কিন্তু ধনাঢ়্যতা বিষয়ে আপনাকে শ্লাঘ্য বোধ না করিয়া বরং বিদ্যানুশীলনবিষয়ে শ্রেষ্ঠতা বোধ করিতেন। তাঁহার দরবারে অতিবিজ্ঞ ও গুণি পণ্ডিত গ্রীকেরদের অত্যৈশ্বর্য্যশালি সমাজ হইত ঐ পণ্ডিতের প্রতি তাঁহার যেমন রাজতুল্য বদান্যতা তেমন অতি মধুর ইষ্টালাপও ছিল। তিনি অপরিমিতরূপে ডেলফিল দেবালয়ের যাজকেরদিগকে ধনদান করিয়াছিলেন অনুমান হয় গ্রীকীয়েরদের দমনকরণার্থ যে অভিপ্রায় করিয়াছিলেন তাহাতে যাজকেরদের সাহায্য প্রাপণাশয়ে ইহা করেন। কিন্তু কোরসের অতিশীঘ্র দিগবি্জয় দেখিয়া আত্মরক্ষা বিষয়ে কম্পিতকলেবর হইয়া কোরসের আগমন নিবারণ করণাশয়ে তিনি আসুরীয়ের রাজাকে সম্পূর্ণরূপে সাহায্য করিতে লাগিলেন। কোরস ইহা শুনিয়া তৎক্ষণাৎ এই নতন শত্রুর প্রতিকূলে যাত্রা করত অনিবার্য্য সৈন্য লইয়া লিদিয়ার রাজ্যের উপর পড়িতে নিশ্চয় করিলেন। পরে এক যুদ্ধমাত্রেই কোরস জয়ী হইয়া লিদিয়ার রাজ্যের অঙ্কুর বিনাশ করত তাবৎ ক্ষুদ্র আসিয়া পারসের সাম্রাজ্যের মধ্যে লীন করিলেন। অনন্তর মহা বাবেলন নগরের প্রতি দৃঢ়তর রূপ মনােযােগ করিয়া অনেক কালপর্য্যন্ত নগর বেষ্টন করত অত্যায়াসে তাহা অধিকার করিয়া বাবেলনের রাজ্য একেবারে বিলুপ্ত করিলেন। পৃথিবীর মধ্যে যদ্রূপ বৃহৎ সাম্রাজ্য কেহ কখন প্রাপ্ত হয় নাই কোরস স্বীয় শৌর্য্যের দ্বারা এমত সাম্রাজ্যাধিকারী হইয়া তাহার নির্ব্বন্ধ ও সৌষ্ঠব করিতে নিশ্চয় করিলেন। তিনি যেমন রণে সাহসিক তেমনি রাজদরবারে বিবেচক এবং তাঁহার অধীনে যে সকল দেশ হইল তদ্দেশীয়েরা তাহারদের স্ত্রী বাধ্য পূর্ব্ব রাজার পরিবর্ত্তে যে এমত গুণী ও সাহসিক রাজা প্রাপ্ত হইল তাহাতে তাহারদের কিছুমাত্র খেদ জন্মিবার বিষয় ছিল না যেহেতুক কোরসের স্বীয় প্রভুত্বের দ্বারা প্রজারদিগের যে বিলক্ষণ মঙ্গল হয় এমত তাঁহার নিতান্ত বাসনা বােধ হইল। অতএব যে আসুরিয়া বাবেলন মেদিয়া পালেস্টিন ফিনিসিয়াপ্রভৃতি রাজ্য ও সাম্রাজ্যের বিবরণ ইহার পূর্ব্বে দেদীপ্যমান আছে সে দেশ সকল যে সময় পারস দেশের চক্র রাজ্যে লীন হয় সে সময় অর্থাৎ পুরাবৃত্তের দ্বিতীয় কালপর্য্যন্ত প্রস্তাব ক্রমে এইক্ষণে আগত হওয়া গেল। খ্রীষ্টীয়ান শকের ৫৩০ বৎসর পূর্ব্বে কোরসের মৃত্যু হয়।
ASSYRIA, MEDIA, BABYLON, PERSIA.
Historians, as we have remarked, place the foundation of the Assyrian empire in remote and obscure antiquity. Its origin is generally ascribed to Nimrod or Ninus; and it is supposed to have continued from the year 2000 to the time of Sardanapalus, in whose reign it was subverted, B. C. 743. This account is controverted by others: all that can be offered therefore on this subject amounts only to conjecture, with which we shall not embarrass the reader. There appears, however, solid ground for the conclusion, that the Assyrian empire, or an Assyrian empire, was overturned in the time of Sardanapalus. He lived a life of oriental luxury, always in his seraglio, and seldom at his royal post. He stands forth in history as the prince of ancient epicureans, ‘Eat, drink, and be merry,’ so said the royal sage, Sardanapalus. An empire under such government must soon fall into the hands of some of its more energetic viceroys. Arbaces, governor of Media, encouraged by the king's effeminacy, and urged by his own ambition; leagued himself with some other discontented chiefs, more particularly with Belosus, the Babylonian, and determined to depose his sovereign. Sardanapalus, as if to disprove the popular opinion of his effeminacy, exerted himself with such vigour as repeatedly to check Arbaces; but Belosus bringing up the Babylonian auxiliaries, defeated him by a nocturnal stratagem, and he immediately took refuge in the wellfortified city of Nineveh. Arbaces besieged it for two years. It is said that a traditional prophecy, then current, had foretold that Nineveh would never be taken until the river Tigris became its enemy. Relying on this prophecy, Sardanapalus had shut himself up in the city; but in the second year of the siege, the Tigris overflowed its banks, inundated a portion of the city, and threw down a part of its impregnable walls, thus leaving an open path to the enemy. Sardanapalus, convinced that the term of his empire approached, shut himself up in his palace, with his wives, his treasures, and eunuchs, and setting fire to it, perished. Thus fell the empire of Assyria.
Arbaces, the conqueror, is said to have given the province of Babylon to Belosus, retaining Media and the neighbouring provinces for himself. Here commences the chief difficulty of this history. The Sacred Scriptures inform us that to this time Phul, king of Assyria invaded Palestine. Some writers therefore maintain that three empires arose out of that of Sardanapalus; viz. the Babylonian, the Assyrian, and the Median. Others, that Assyria was the general name for the region in the neighbourhood of the Tigris and the Euphrates, and that Phul was only another name for Belosus. This point we have not sufficient data to clear up, nor indeed does it appear of any great importance; for if a separate Assyrian empire did arise, it did not continue more than eighty years. The new Babylonian kingdom was in the mean time advancing to supreme dominion. Nebuchadnezzar carried his arms far and wide, and for the time, made Babylon the predominant power in Western Asia. He was the ‘head of gold’ mentioned in Scripture. After subduing the kingdom of Judah, he conquered Tyre, the great mart of commerce, B. C. 586 years. He next subjugated Egypt, and inflated with pride, erected a golden image sixty cubits high on the plains of Dura, which he commanded his subjects to fall down and worship. His successors receiving by inheritance a vast empire and a rich treasury, sunk as usual into oriental luxury, and were speedily overcome by a more energetic neighbour.
During the decline of the royal house of Nebuchadnezzar, Persia, a mountainous region of hardy warriors, was nourishing in its bosom a prince destined to overthrow the decayed kingdoms of Western Asia, and from their wreck to create such an empire, as the world had not hitherto seen. Cyrus, brought up to a hardy life in his native mountains, but gifted by nature with those qualities which form a great man, obtained possession of Media by inheritance. Western Asia lay before him, with its effeminate monarchs, ready to yield to the first conqueror. The period for another great revolution had arrived. After the acquisition of Media, Cyrus turned his arms against Assyria; but before he had time to subdue it, a new enemy arose in the person of Croesus, king of Lydia. Lydia, was a kingdom lying east of the region of Troy: its early history is fabulous. A few years before the rise of Cyrus, Cresus had succeeded to it by inheritance, and forming the plan of establishing a grand empire, subdued the Grecian colonies of Asia Minor, and extended his conquests westward to the river Halys. His subjects were a very industrious race of men, and he was reputed the richest monarch of the age: but he prided himself more on his love of philosophy than on wealth. His court contained a most brilliant assembly of wise and learned Grecians, who found in him a generous patron, and a cheerful companion. He had been liberal beyond measure to the priests at Delphi, whose influence he perhaps hoped to secure in the views which he cherished against the liberties of Greece. But the rapid progress of the arms of Cyrus made him tremble for his own safety, and in the hope of arresting his career, he gave all his support to the Assyrian monarch. Cyrus instantly determined to turn his arms against this new foe, and marched down with an overwhelming force upon Lydia. One single battle, in which Cyrus was completely victorious, nipped the empire of Lydia in the bud, and annexed the whole of Asia Minor to the Persian empire. Then bending his undivided attention to Babylon the Great, Cyrus took it after a long and fatiguing siege, and thus extinguished for ever the Babylonian empire. Having acquired by his valour the most extensive empire which the world had seen, he determined to consolidate and improve it. He was as wise in the cabinet as valorous in the field, and the nations under his sway had no reason to lament the exchange of their own effeminate monarchs for a vigorous and wise sovereign, who seemed anxious to render his sovereignty a real blessing to his subjects. We have now arrived at the second epoch of history, when the great empires and kingdoms which had occupied so conspicuous a place on the page of history, Assyria, Babylon, Media, Palestine, Phenicia, were incorporated in the almost universal monarchy of Persia. The death of Cyrus is placed 530 years B. C.