পুরাবৃত্তের সংক্ষেপ বিবরণ/গ্রীক কলোনি
গ্রীক কলােনি।
এতৎ সমকালে গ্রীকেরদের কলােনিজেসিয়ন বিষয়ে যাহা প্রতিপন্ন হয় তাহাতে এইক্ষণে আমারদের দৃষ্টিপাত করা উচিত।
গ্রীকেরা যদ্রূপ উৎসাহপূর্ব্বক স্ব২ দেশহইতে কলােনি প্রেরণ করেন তদ্রূপ পূর্ব্বকালীন অন্য কোন লােকের মধ্যে দৃষ্ট হয় নাই। বাণিজ্যের বৃদ্ধিতে এই বিদেশীয় বসতি হইল বটে কিন্তু আরাে অনেক২ কলােনি অর্থাৎ বিদেশ বসতি গ্রীকেরদের আন্তরিক বিবাদ প্রযুক্ত হয় যেহেতুক দুর্ব্বল দল পরাজিত হইয়া কোন দূর দেশে বসতির আকাংক্ষায় দেশ পরিত্যাগ করিয়া যাইত। পরন্তু অন্যান্য এতদ্রূপ কলােনি মূল দেশের লােকবাহুল্য প্রযুক্তই হয়। ফলতঃ গ্রীকেরদের মনে কলােনি স্থাপনের স্বভাব এমত মূলীভূত যে অতিলঘু কারণ উপস্থিত হইলেও তাহারা তৎক্ষণাৎ অন্য দেশে কলােনি বসাইতে উদ্যত হইত।
এই কলােনির মধ্যে সর্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন গ্রীকের সমুখবর্ত্তি তটে ক্ষুদ্র আসিয়াতে স্থাপিত হইল। ত্রোজানেরদের সহিত যুদ্ধ করাতে গ্রীকেরা প্রথমতঃ এই মনােরম স্থান জ্ঞাত হইল এবং তৎপরে তাহারদের দেশে প্রথম উপপ্লব হইলেই তাহারদের কতক লোক ঐ স্থানে বসতি করণাভিপ্রায়ে গমন করিল। অপর হেরাক্লিডেরদের দক্ষিণ গ্রীক দেশে আগমনেতে পেলোপনিসসীয়েরদের অর্থাৎ এওলীয়েরদের এক মহা দল স্বদেশ হইতে বহিস্কৃত হইল তাহাতে পরাজিত অধ্যক্ষেরা স্ব২ প্রজারদিগকে সমভিব্যাহার করিয়া জাহাজ আরোহণে অন্য দেশে নতুন বসতির অন্বেষণার্থে প্রস্থান করিতে কিছু মাত্র বিলম্ব করিলেন না। তাঁহারা ক্ষুদ্র আলিয়ার তটে উপস্থিত হইয়া ত্রোজানের রাজ্যের যে অবশেষ ছিল তাহা একেবারে নির্ব্বাণ করিয়া ঐ দেশও তন্নিকটবর্ত্তি উপদ্বীপ সকল অধিকার করিলেন। তাহার অশীতিবর্ষ পরে আথেন্স নগরে রাজার পদ নিবৃত্তিহওয়াতে অনেক ইওনীয়নের তথাহইতে বহিষ্কৃত হইয়া ক্ষুদ্র আসিয়ার দেশের ভদ্রত্ববোধে তথায় গমনপূর্ব্বক এওলীয়নেরদের রাজ্যের দক্ষিণে বসতি করিয়া দ্বাদশ নগর সংস্থাপন করেন। ঐ সকল নগর যদ্যপি পরস্পর স্বাধীন তথাপি তাঁহারদের এক সাধারণ সভা ছিল এবং ধর্ম্ম ক্রিয়াসকল সাধারণরূপে সম্পন্ন করিতেন। তাহারদের স্থাপিত নগরের মধ্যে মাইলিটস বাণিজ্যবিষয়ক অনুশীলনের দ্বারা তৎকাল দৃষ্টে পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় শহরের ন্যায় গণিত হইল। ঐ নগরের বাণিজ্য কৃষ্ণসমুদ্রপর্য্যন্তব্যাপক হইল এবং সে সমুদ্রের তট ঐ শহরের নানা কলােনিতে আকীর্ণ হইল। কেহ কহেন যে ঐ কলােনির সংখ্যা একশতপর্য্যন্ত ছিল। স্থল পথে মাইলিসীয়েরা স্বীয় বাণিজ্য দ্রব্য আসিয়ার মধ্য স্থানপর্য্যন্ত লইয়া গেল বস্তুতঃ ঐ নগরের বাণিজ্যের উদ্যোগ কেবল টায়ের নিবাসিরদের বাণিজ্যাপেক্ষা ন্যূন। মাইলিটসের পর ফোসিয়া গণ্য এবং মাইলিটসের বাণিজ্য যেমন উত্তর ও পূর্ব্ব দিগে তেমনি ফোসিয়ার বাণিজ্য পশ্চিমদিগে ব্যাপক ছিল। ঐ শহরের জাহাজধ্যক্ষেরা জিবরাল্টের মহানাপর্য্যন্ত গমন করিয়া ইটালি ও গলদেশে কলােনি স্থাপন করেন। এই উপবসতির মধ্যে ফ্রান্স দেশের দক্ষিণ সীমা মার্সেল নগর সর্ব্বাপেক্ষা খ্যাত হ ইল। ঐ নগর ফোসিয়ারদের দ্বারা অদ্যাবধি দুই সহস্র বৎসর পূর্ব্বে স্থাপিত হইয়া ইদানীং পৃথিবীর মধ্যে অতিসমূদ্ধ বাণিজ্যের শহরের মধ্যে গণ্য। অপর আসিয়ার তটে বসতি করিবার নিমিত্তে যে তৃতীয় শ্রেণী আগতা হয়। তাহারা ডােরীয় জাতীয় তাহারা ইওনিয়ার দক্ষিণ দিগস্থ দেশ এবং কুস ও রােজ উপদ্বীপ অধিকার করিল। এতদ্রূপ এই দীর্ঘ তাবৎ তট অতি উৎসাহী অথচ প্রতিভান্বিত গ্রীকেরদের দ্বারা পরিপূর্ণ হইল। যে বিবাদের দ্বারা তাহারদের পৈতৃক দেশের উৎখাত হইয়াছিল সেই বিবাদহইতে ইহারা মুক্ত হইয়া সভ্যতাচরণের রীতি অনুপম রূপে সম্পন্ন করিয়া মহব্যাপক বাণিজ্য স্থাপন ও অদ্বিতীয়রূপে যুদ্ধজাহাজ সৃষ্টি করিলেন। এই অতি কোমল স্থানে ভাস্করীয় বিদ্যাপ্রভৃতি ও কাব্য এবং নীতিশাস্ত্রের প্রথমােদয় হয়। কাব্যের জনক হােমর এতদ্দেশনিবাসী ছিলেন এবং এতদ্দেশেও আলকেয়স ও সাফো কাব্য পুষ্পের মুকুল প্রস্ফোটিত করিলেন। পরে এই২ কলোনিহইতে ঐ সকল বিদ্যার অনুরাগ পুনর্ব্বার তাঁহারদের পৈতৃক দেশে প্রচলিত হয় এবং এতদ্রূপে গ্রীক দেশহইতে যাঁহারা বহিষ্কৃত হন তাঁহারদের সন্তানেরা গ্রীক দেশের সৌষ্ঠব সম্পন্নকারিরদের মধ্যে অগ্রগণ্য।
প্রপণ্টিস ও কৃষ্ণ সমুদ্রের তট মৈলিটসহইতে আগত কলোনির দ্বারা আবৃত হইল এবং অতিদূরব্যাপক বাণিজ্য বিশেষতঃ তাবদ্দক্ষিণ রুসিয়া ও পূর্ব্বদিগে মহা বখারিয়ার বাণিজ্যের আড্ডা হইল। অনুমান হয় যে খ্রীষ্টীয়ান শকের ৬০০ অথবা ৮০০ বৎসর পূর্ব্বে এই কলোনি স্থাপিত হয়।
অপর কোরিন্থ ও আরগসহইতে প্রেরিত কলোনির দ্বারা থ্রাকিয়া ও মাকিদোন দেশে বসতি হয়। খ্রীষ্টীয়ান শকের পূর্ব্ব ৭৫০। ও ৬৫০ বৎসরের মধ্যে গ্রীক দেশ হইতে অন্য কলোনি নির্গত হইয়া দক্ষিণ ইটালিতে বসতি করে এবং ঐ বসতি অতিশীঘ্র এমত সমৃদ্ধ হইল যে তদ্দেশ মহাগ্রীক নামে বিখ্যাত হইল। ঐ কলোনির মধ্যে টারেণ্টম ও ক্রোটন ও সিবারিস নগর অত্যল্প কালের মধ্যে অত্যন্ত ঐশ্বর্য্যবান হইল কথিত আছে যে শেষোক্ত নগর ক্রোটনের সহিত যুদ্ধ করণসময়ে রণস্থলে তিন লক্ষ লোক যোটান গেল। কিন্তু ঐ নগরে প্রাচীন পণ্ডিতের চূড়ামণি পিথাগোরসের নিবাস হওয়াপ্রযুক্ত তাহা বিশেষরূপে স্মরণীয় হইয়াছে। তৎ সমকালীনই কোরিন্থ নগরহইতে সিসিলি উপদ্বীপে কলোনি স্থাপিত হয় এবং ঐ উপদ্বীপের তটে পুরাবৃত্ত বিবরণে অতিবিখ্যাত শিরাক্যুশ নগর স্থাপিত হইল। গ্রীকেরদের মধ্যে কলোনি স্থাপনের উত্তেজনার বলে তাঁহারা অতিদূরস্থ স্পাইন দেশে ও আফ্রিকা দেশের কাইরিণীতে গমন করিয়া বসতি স্থাপন করিলেন। এতদ্রূপে ত্রোজানের যুদ্ধের পর কএক শতবৎসরের মধ্যে গ্রীকেরা সাধারণ প্রভুত্বের রাজ নিয়ম স্থাপন করিয়া তাঁ হারদের মধ্যে স্বাধীনতার সাধারণ বাসনা এবং অসমসাহসিক কর্ম্মের উৎসাহ জন্মিল এবং তাঁহারাদর কলােনি চতুর্দ্দিগস্থ তাবৎ তটের উপর ব্যাপ্ত হইয়া নূতন রাজ্যের মূল হইল। অতএব যৎসময়ে তাঁহারদের দেশ মধ্যে এতদ্রূপ রাজশাসনের শক্তি এবং বাহিরে এত দৃশ ঐশ্বর্য্যের প্রভাব যে তৎসময়ে পশ্চিম আসিয়ার তাবৎ মেলবন্ধ সৈন্যের সহিত তাঁহারদিগের যুদ্ধ করিতে হইল। এইক্ষণে পৃথিবীস্থ অন্যান্য দেশের প্রতি অবলােকন করিয়া ঐ যুদ্ধ কালপর্য্যন্ত তদ্বিবরণ সকল আহরণ করি।
GREEK COLONIES.
The colonization of the Greeks, which was commenced and carried forward during this epoch, next demands attention.
No nation of antiquity sent forth colonies with more ardour than the Greeks. The progress of their commercial enterprises gave birth to many of these foreign settlements, but a far greater number sprung from the internal discords with which Greece was agitated, the weaker party seeking on their defeat some distant abode; many also may be traced to the exuberance of population. So deeply rooted was the spirit of colonization in their minds, that the slighest cause was sufficient to give birth to a new settlement.
Of these colonies the most ancient were planted in Asia Minor, on the coast fronting Greece. The Trojan war brought the Greeks acquainted with this lovely region, to which on the first subsequent revolution at home, they resorted with the view of forming a settlement. The descent of the Heraclidæ had expatriated a large body of the Peloponnesians or Æolians, and the conquered chiefs lost no time in embarking with their subjects in search of a new abode. Arriving on the coast of Asia Minor, they extinguished the last remnant of the Trojan kingdom, and took possession both of the continent and the neighbouring islands. About eighty years after, the Ionians, being driven from Athens, on the extinction of the kingly office, were allured to this continent, and settling southward of their Æolian breathren, built twelve cities, which though independent of each other, held a federal council, and performed a national sacrifice. Among these cities Miletus became for that age the second commercial city in the world. She carried her trade far up the Black Sea, and peopled its shores with her colonies, computed by some at a hundred. By land the Milesians carried their commodities into the interior of Asia, and were in fact inferior only to the Tyrians in the extent of their commercial enterprises. Next in rank to Miletus was Phocæa, which extended its traffic to the west as the former had done to the north and the east. Its mariners visited the straights of Gibraltar, and founded colonies both in Italy and Gaul. The most renowned of these branch colonies was Marseilles at the southern extremity of France. It was founded by the Phocæans more than two thousand years ago, and is at the present time one of the most flourishing commercial towns in the world. The third stream of settlers to the coast of Asia Minor consisted of the Dorians, who took possession of the country lying south of India, including the islands of Cos and Rhodes. The whole line of coast was thus peopled by the lively and enterprising Greeks, who, emancipated from the discord which distracted Greece, carried the arts of civilized life to perfection, established an extensive commerce, and created a splendid navy. It was in this mild climate that the fine arts, and poetry and philosophy first dawned. Homer, the father of poesy was an inhabitant of this region; and it was here that Alcæus and Sappho expanded the blossoms of this art. From these colonies a taste for the fine arts was carried back to the mother country; and those who had been expelled from Greece were among the foremost to contribute to its improvement.
The shores of the Propontis and of the Black Sea, were covered with colonies from Miletus, which became the marts of a far extended traffic, embracing the whole of Southern Russia, and stretching eastward as far as Great Bukharia. These colonies were planted probably between the sixth and eighth centuries before Christ.
The coasts of Thrace and Macedon were peopled with colonies from Corinth and Argos. Between the years 750 and 650 before Christ, other colonies issued from Greece, and formed settlements in Southern Italy, which soon attained so flourishing a state, that this country came to be called Greece the Greater. The cities of Tarentum, Croton, and Sybaris, founded in those colonies, rose to amazing grandeur in a very short period; indeed this latter city in a war with Croton is said to have led 300,000 men into the field; but that which gave it especial renown, was the residence of Pythagoras the first of ancient philosophers, within its walls. About the same time also, colonies were planted by Corinth in the island of Sicily; and Syracuse, one of the most celebrated cities of antiquity, arose upon its shores. The ardour of colonization led the Greeks to the still more remote regions of Spain, and to Cyrene in Africa, and thus in the age immediately succeeding the Trojan war, the Greeks had acquired, with a popular form of government, a national love of independence, and a spirit of boundless enterprise; while their colonies, spread over all the neighbouring coasts, were laying the foundation for new empires. In this state of internal vigour, and external splendour, did the Greeks meet the combined forces of Western Asia. We now turn to the other nations of the world, and trace their history down to this period.