পোকা-মাকড়/ষষ্ঠ শাখার প্রাণী/কঠিনবর্ম্মী/চিংড়ির পাকযন্ত্র

চিংড়ির পাকযন্ত্র

 নিশ্বাস লইবার যন্ত্রের কথা বলা হইল; এখন চিংড়িদের পাকাশয় ইত্যাদির কথা বলিব।

 এখানে চিংড়ি মাছের আর একটা ছবি দিলাম। খোলা
চিত্র ২৪।
ছাড়াইয়া মাঝামাঝি চিরিলে চিংড়িকে যে-রকম দেখায়, ছবিতে তোমরা তাহাই দেখিবে।

 মাথার ভিতরে যে গোলাকার কালো অংশটা রহিয়াছে, উহাই চিংড়ির উদর। প্রাণীদের পাকাশয় প্রায়ই দেহের নীচে থাকে, কিন্তু চিংড়িদের সকলি অদ্ভুত। ইহাদের উদর

মাথার উপরে থাকে। যাহা হউক চিংড়িরা যাহা খায়, তাহা মাথার উপরকার সেই থলিতে ঠেলিয়া উঠে। চিংড়ি মাছ খাইবার জন্য কুটিবার সময়ে ঐ থলির মত উদরটা স্পষ্ট দেখা যায়। উদরের সঙ্গে সরু লম্বা নল লাগানো থাকে। ইহাই চিংড়িদের অন্ত্র বা নাড়িভুঁড়ি। এই নল পিঠের উপর দিয়া আসিয়া লেজের তলায় শেষ হইয়াছে; পেটের মল এই পথ দিয়া লেজের কাছে আসে এবং শরীর হইতে বাহির হইয়া যায়। চিংড়ি মাছ কুটিবার সময়ে পিঠের উপরের এই নল তোমরা খোঁজ করিলে দেখিতে পাইবে।

 ইহা ছাড়া চিংড়ির দেহে আর দুইটি সরু নল আছে। অন্ত্রের উপরে ইহাদের যকৃৎ অর্থাৎ লিভার থাকে। তাহা হইতে ঐ দুটি নল দিয়া পিত্তরস অন্ত্রে আসিয়া পড়ে; ইহাতে খাদ্য হজম হয়।