বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র/প্রস্তুত হও—সময় নাই
প্রস্তুত হও—সময় নাই।
“দেশবাসিগণ! আর সময় নষ্ট করিও না। তোমরা প্রস্তুত হও এবং এই মুহূর্ত্তেই শেষ সংগ্রামে অবতীর্ণ হও! শীঘ্রই আমরা ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করিব, এবং ভারতভূমিতে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করিব। অতঃপর দিল্লী অভিমুখে আমাদের ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু হইবে। সর্ব্বশেষ ইংরাজটি ভারতবর্ষ ত্যাগ করিলেই, এ যাত্রা শেষ হইতে পারে, কিন্তু তাহার পূর্ব্বে নহে। দিল্লীর বড়লাট ভবনে যেদিন আমাদের জাতীয় পতাকা সগৌরবে উড়িতে থাকিবে এবং যেদিন ভারতের মুক্তি ফৌজ প্রাচীন লালকেল্লার অভ্যন্তরে বিজয় উৎসবে মাতিয়া উঠিতে পারিবে—কেবলমাত্র সেইদিনই এ অভিযানের শেষ হইবে।”
অবশেষে জাতীয় বাহিনী সীমান্ত প্রদেশ অতিক্রম করিয়া ১৯ শে মার্চ্চ তারিখে ভারত ভূমিতে পদার্পণ করিতে সমর্থ হইল। এই সৈন্যগণের শৌর্য্য, বীর্য্য, কষ্ট-সহিষ্ণুতা ও স্বার্থত্যাগ দেখিয়া পূর্ব্ব এশিয়ার ৩০ লক্ষ প্রবাসী ভারত-সন্তান বিস্ময়াবিষ্ট হইয়া তাহাদের জয়গান করিতে লাগিল।