ব্যায়াম শিক্ষা (প্রথম ভাগ, ১৮৭৩)/৪
(পৃ. ৭)
আহার।
পরিশ্রম করিলে অধিক পরিমাণে পুষ্টিকর আহার আবশ্যক হয়। যাহারা আলস্য পরবশ হইয়া কালযাপন করে,তাহাদিগের আহারাপেক্ষা পরিশ্রমশীল ব্যক্তিদিগের আহার স্বভাবতই অধিক। যে সকল দ্রব্যের সার-ভাগ অধিক, অর্থাৎ ছােলা, ময়দা, দুগ্ধ ও মাংস ইত্যাদি, এবং ঘৃত, মাখন স্নেহ দ্রব্যাদি, ব্যায়ামকারীদিগের সচরাচর আহার্য্য হওয়া উচিত। ক্ষুধা, ইচ্ছা ও শারীরিক অবস্থা ইত্যাদি বুঝিয়া আহার করা কর্ত্তব্য। অল্প আহারে যে প্রকার শরীর শীর্ণ ও দুর্ব্বল হয়, অধিক আহারে তদপেক্ষা গুরুতর কষ্টদায়ক অজীর্ণ রোগাদির উৎপত্তি হয়। অতএব উপযুক্ত আহারই সর্ব্বাপেক্ষা উত্তম। চারি পাঁচ ঘণ্টা ব্যবধানে আহার করা উচিত। একবারের ভুক্ত দ্রব্য পাকস্থলিতে সম্পূর্ণ পরিপাক হইতে হইতেই পুনরায় আহার করিলে অজীর্ণ রােগ জন্মে,এবং তাহাতে শরীর অতিশয় ক্লিষ্ট হয়।