ব্যায়াম শিক্ষা (প্রথম ভাগ, ১৮৭৩)
ব্যায়াম শিক্ষা।
প্রথমভাগ।
শ্রীহরিশ্চন্দ্র শর্ম্মা
প্রণীত।
দ্বিতীয়বার মুদ্রিত।
কলিকাতা।
৯২ নং বহুবাজার ষ্ট্রীট।
সন ১২৮০ সাল।
মূল্য ।৹ চারি আনা।
To W. S. ATKINSON, Esq., M. A.,
Director OF Public Instruction,
Bengal, Behar & Orissa,
&c. &c. &c.
THIS LITTLE BOOK,
IS,
MOST RESPECTFULLY DEDICATED,
WITH
PERMISSION,
AS AN HUMBLE ACKNOWLEDGMENT OF THE DEEP
INTEREST, WHICH HE HAS EVER EVINCED IN
THE CAUSE OE NATIVE EDUCATION,
THE
ZEAL AND ABILITY, WITH WHICH HE HAS CARRIED OUT
VERY MANY REFORMS IN THE
EDUCATION DEPARTMENT,
AND THE
WARM ENCOURAGEMENT,
WHICH
PHYSICAL EDUCATION,
HAS RECEIVED
AT HIS HANDS.
By his humble,
but
Sincere admirer,
THE AUTHOR.
নানা শাস্ত্রাধ্যাপক অশেষ গুণ সম্পন্ন।
শ্রীল শ্রীযুক্ত ডবলিউ, এস, য়্যাট্কিন্সন এস্কোয়ার এম, এ,
ডিরেক্টর পবলিক ইন্স্ট্রকশন্,
বাঙ্গালা, বেহার এবং উড়িষ্যা।
মহোদয়,
অপ্রতিহত যশোভাজনেষু।
এ দেশীয় যুবকদিগের সুশিক্ষার জন্য
আপনি যে মহান্ যত্ন করিয়াছেন,
আপনাকর্ত্তৃক
শিক্ষা বিভাগের যে উন্নতি সিদ্ধ হইয়াছে,
এবং ব্যায়াম শিক্ষার পক্ষে
আপনি যে প্রকার উদ্যোগী,
তাহার জন্য আমরা সকলেই
আপনার নিকট কৃতজ্ঞ।
এরূপ সামান্য গ্রন্থকে
আপনার নামে অলঙ্কৃত করা
আমার পক্ষে স্পর্ধার কার্য্য,
কিন্তু
আপনার অনুমতি প্রাপ্ত হইয়াছি বলিয়াই
আমি এরূপ দুঃসাহসের কার্য্য করিয়াছি।
ভরসা করি অনুগ্রহ করিয়া গ্রহণ করিবেন।
আপনার একান্ত
বশম্বদ,
শ্রীহরিশ্চন্দ্র শর্ম্মা।
ব্যায়াম শিক্ষার পুস্তক অভাব ছিল বলিয়া আমি এই ক্ষুদ্র পৃস্তক প্রকাশ করিলাম। এইটী ব্যায়াম শিক্ষার প্রথম ভাগ। ইহা দুই অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রথম অধ্যায়ে, উপক্রমণিকা, ব্যায়ামের ফল, পরিচ্ছদ, আহার, ব্যায়ামের বিধান, ও দুর্ঘটনার চিকিৎসা লিখিত হইয়াছে। উপক্রমণিকাতে ব্যায়াম শিক্ষার আবশ্যকতার বিষয় কিঞ্চিৎ প্রকাশিত হইয়াছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে, ৬৭ প্রকার ব্যায়াম বর্ণিত হইয়াছে। এবং সেই সকল ব্যায়ামের প্রণালী পরিস্কাররূপে বুঝিবার জন্য ৪৮ টী চিত্র সন্নিবেশিত করা হইয়াছে। ইহার দ্বিতীয় ভাগে ভারতবর্ষীয় ব্যায়াম বিস্তারিতরূপে বর্ণন করিব বলিয়াই এক্ষুদ্র পুপুস্তকে তাহার বিশেষ উল্লেখ করিলাম না। ভাষার পারিপাট্ট বিষয়ে চেষ্টা করা হয় নাই। যাহাতে সর্ব্ব সাধারণের বোধগম্য হয় তাহার প্রতিই বিশেষ লক্ষ রাখা হইয়াছে। যদি এবিষয় কিঞ্চিন্মাত্রও কৃতকার্য্য হইয়া থাকি তাহা হইলেই পরিশ্রম সার্থক মনে করিব।
প্রথম বারের মুদ্রাঙ্কনে ষে সকল ছাপার ভূল ছিল এবং ব্যায়ামের নামকরণে যে ত্রুটিছিল, তাহা এবারে সাধ্যানুসারে সংশোধন করা হইয়াছে। ভারতবর্ষীয় পণ্ডিতগণ ব্যায়াম বিষয় যাহা লিখিয়াছেন তদ্বিষয়ে যে কতিপয় সংস্কত পংক্তি উদ্ধার করা হইয়াছিল, এবারে তাহার বাঙ্গালা অর্থ সন্নিবেশিত করা হইয়াছে।
সংবাদ পত্রের সমালোচনা।
বঙ্গদর্শন চৈত্র সন ১২৮০ সাল।
ব্যায়াম শিক্ষা প্রথম ভাগ শ্রীহরিশ্চন্দ্র শর্ম্মা প্রণীত। কলিকাতা সন ১২৮০ সাল।
ব্যায়াম শিক্ষার এই প্রথম গ্রন্থ, এরূপ গ্রন্থের বিশেষ প্রয়োজন ছিল। গ্রন্থখানি পাঠ করিয়া বোধ হয়, ব্যায়াম কার্য্যে বিশেষ সুনিপুণ এবং চিকিৎসা বিদ্যায় সুদক্ষ ব্যক্তির দ্বারা ইহা লিখিত হইয়াছে। বস্ততঃ হরিশ বাবু যে রূপ প্রতিষ্ঠা লব্ধ এবং কৃতবিদ্য চিকিৎসক, এগ্রন্থখানি তাহারই উপযুক্ত হইয়াছে। ইহা অতি, সরল ভাষায় লিখিত হইয়াছে, এবং ব্যায়াম কৌশল এবং তদনুসঙ্গীক শারীরিক বিধান সকল অতি পরিষ্কৃতরূপে বর্ণিত হইয়াছে। আমাদিগের এমন বোধ হয় যে ইহার. সাহায্যে, বিনা শিক্ষকেও ব্যায়াম কৌশল সকল অভ্যাস করা যাইতে পারে। এই গ্রন্থখানি ছাত্রদিগের শিক্ষার বিশেষ উপযোগী, এবং শিক্ষাবিভাগের কর্ত্তৃপক্ষগণ বিদ্যালয় সমুহে ইহার পাঠের নিয়ম করেন, ইহা আমাদিগের বিশেষ অভিলাষ। ইহার মূল্য ও অতি অল্প, চারি আনা মাত্র। এই সুমুল্যতাও এরূপ গ্রন্থের বিশেষ একটি গুণ।
বাঙ্গালীর পক্ষে ব্যায়াম শিক্ষা বিশেষ প্রয়োজনীয়। বাঙ্গালীর বিদ্যা বুদ্ধির অভাব নাই, বলও সাহস হইলেই আমরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠজাতির মধ্যে গণ্য হইতে পারি। বল হইলেই সাহস হইবে, বলের পক্ষে ব্যায়াম বিশেষ প্রয়োজনীয়। ব্যায়াম শিক্ষার পক্ষে সকলেরই যত্ন করা কর্ত্তব্য। সেই জন্যই হরিশ বাবুর গ্রন্থের এত প্রয়োজন, এবং সেই জন্যই উহ সকল বিদ্যালয়ে ব্যবহৃত হওয়া উচিত। আমাদিগের দেশের বালকেরা শারীরিক পরিশ্রম করেনা, মানসিক পরিশ্রম করে, ইহাতে তাহারা রূগ্ন ও দুর্ব্বল হইয়া পড়ে। এই অনিষ্ট নিবারণের একমাত্র উপায় ব্যায়াম শিক্ষা।
এই গ্রন্থখানি দুই অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রথম অধ্যায়ে, উপক্রমণিকায় ব্যায়ামের প্রয়োজন, তৎপরে ব্যায়ামের ফল, পরিচ্ছদ, আহার ইত্যাদি, ব্যায়ামের বিধান, দুর্ঘটনার চিকিৎসা, এই সকল অবশ্য জ্ঞাতব্য বিষয় লিখিত হইয়াছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে, প্রথমে যে সকল ব্যায়ামে কোন প্রকার যন্ত্রের প্রয়োজন নাই তাহাই বর্ণিত হইয়াছে। তাহার পরে যে সকল ব্যায়ামে যন্ত্রের আবশ্যক, কিন্তু সহজে বা অনিষ্টপাতের কোন সম্ভাবনা ব্যতীত সম্পন্ন হইতে পারে, তাহাই বর্ণিত হইয়ছে। সর্ব্বশেষে অপেক্ষাকৃত কঠিন ব্যায়াম সকলের বিধান লিখিত হইয়াছে। এই রূপ সুপ্রপালীতে গ্রন্থলিখিত হওয়ায়, শিক্ষক এবং ছাত্র উভয়ের ব্যায়াম শিক্ষা বিশেষ সুসাধ্য বোধ হইবে। এই গ্রন্থ প্রণয়নের জন্য আমরা হরিশ বাবুকে বিশেষ ধন্যবাদ করি।
২৯ ফাল্গুন ১২৮০ অমৃতবাজার পত্রিকা।
আমরা ডাক্তার হরিশ্চন্দ্র শর্ম্মার ব্যায়াম শিক্ষা নামক পুস্তকের এক খণ্ড পাইয়া পুলকিত হইলাম। এইরূপ একখানা পুস্তকের প্রকৃত অভাব ছিল, এত দিন পরে সেই অভাব সুন্দর রূপে পূরণ হইল। হরিশ বাবু এক জন খ্যাতিপন্ন ব্যক্তি। পুস্তক খানিও সর্ব্বাংশে তাঁহার উপযুক্ত হইয়াছে। পুস্তক খানি সচিত্র ও সরল ভাষায় লিখিত, ও প্রবন্ধ গুলি এরূপ সুশৃঙ্খলবদ্ধ যে সকলে গুরু উপদেশ ব্যতীত পুস্তক খানি দেখিয়া ব্যায়াম চর্চ্চা করিতে পারিবেন। কর্ত্তৃপক্ষীয়েরা সম্ভবতঃ এই পুস্তক খানি সমুদায় বিদ্যালয়ে প্রচার করিবেন, যদি না করেন তবু বঙ্গবাসী মাত্রের কর্ত্তব্য, এই পুস্তকের একখানি ক্রয় করিয়া ব্যায়াম চর্চ্চা করেন। মুল্য অতি অল্প, ৷৹ চারি আনা মাত্র। আমাদের শারীরিক বল নাই তাহাতেই আমাদের এই দুর্দ্দশা, আর শারীরিক বল বৃদ্ধির ব্যায়াম চর্চ্চা এক প্রধান উপায়।
সূচিপত্র।
সংখ্যা। |
ব্যায়ামের সংখ্যা।
|
|
১ |
…
|
|
২ |
…
|
|
৩ |
…
|
|
৪ |
…
|
|
৫ |
…
|
|
৬ |
…
|
|
৭ |
১
|
|
৮ |
২
|
|
৯ |
৩
|
|
১০ |
…
|
|
১১ |
৪
|
|
১২ |
৫
|
|
১৩ |
৬
|
|
১৪ |
৭
|
|
১৫ |
৮
|
|
১৬ |
৯
|
|
১৭ |
১০
|
|
১৮ |
১১
|
|
১৯ |
১২
|
|
২০ |
১৩
|
|
২১ |
১৪
|
|
২২ |
১৫
|
|
২৩ |
১৬
|
|
২৪ |
১৭
|
|
২৫ |
১৮
|
|
২৬ |
১৯
|
|
২৭ |
২০
|
|
২৮ |
২১
|
|
২৯ |
২২
|
|
৩০ |
২৩
|
|
৩১ |
২৪
|
|
৩২ |
২৫
|
|
৩৩ |
২৬
|
|
৩৪ |
২৭
|
|
৩৫ |
২৮
|
|
৩৬ |
২৯
|
|
৩৭ |
৩০
|
|
৩৮ |
...
|
|
৩৯ |
৩১
|
|
৪০ |
৪২
|
|
৪১ |
৩৩
|
|
৪২ |
৩৪
|
|
৪৩ |
৩৫
|
|
৪৪ |
৩৬
|
|
৪৫ |
৩৭
|
|
৪৬ |
৩৮
|
|
৪৭ |
৩৯
|
|
৪৮ |
৪০
|
|
৪৯ |
৪১
|
|
৫০ |
৪২
|
|
৫১ |
৪৩
|
|
৫২ |
,,
|
|
৫৩ |
৪৪
|
|
৫৪ |
৪৫
|
|
৫৫ |
৪৬
|
|
৫৬ |
৪৭
|
|
৫৭ |
৪৮
|
|
৫৮ |
৪৯
|
|
৫৯ |
৫০
|
|
৬০ |
৫১
|
|
৬১ |
৫২
|
|
৬২ |
৫৩
|
|
৬৩ |
৫৪
|
|
৬৪ |
৫৫
|
|
৬৫ |
৫৬
|
|
৬৬ |
৫৭
|
|
৬৭ |
৫৮
|
|
৬৮ |
৫৯
|
|
৬৯ |
৬০
|
|
৭০ |
৬১
|
|
৭১ |
৬২
|
|
৭২ |
৬৩
|
|
৭৩ |
৬৪
|
|
৭৪ |
৬৫
|
|
৭৫ |
৬৬
|
|
৭৬ |
৬৭
|
|
৭৭ |
...
|
|
এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।