ব্যায়াম শিক্ষা (প্রথম ভাগ, ১৮৭৩)/১০
লম্ফ দেওয়া (লাফান।)
লম্ফন কার্য্যের অভ্যাসে কটীদেশ সবল হয়। লম্ফ দিতে হইলে দুই হাত ঈষদুচ্চ করিয়া, দুই জানু সম্মুখে বক্রভাবে রাখিয়া, মস্তক ও বক্ষঃস্থল সম্মুখ ভাগে ঈষদবনত করিয়া একেবারে হঠাৎ সমস্ত শরীর ঊর্দ্ধে নিক্ষেপ করিতে হয়। লম্ফন সাধারণতঃ চারি প্রকার; যথা, ঊর্দ্ধলম্ফন, অধােলম্ফন, পরিসর লম্ফন এবং মিশ্র লম্ফন। লম্ফ দ্বারা উচ্চ স্থানে আরোহণ করাকে ঊর্দ্ধ লম্ফন বলে। লম্ফ দিয়া নিম্ন স্থানে পতিত হওয়াকে অধোলম্ফন বলে। সমান ভূমিতে লম্ফ দিয়া এক স্থান হইতে অন্য স্থানে যাওয়াকে পরিসর লম্ফন কহে। এবং লম্ফ দিয়া ভিত্তি বা অন্য কোন প্রকার অবরোধ উল্লম্বন করিয়া কোন স্থানে পতিত হওয়াকে (যে লম্ফন ক্রিয়াতে ঊর্দ্ধ লম্ফন ও পরিসর লম্ফন, বা ঊর্দ্ধ লম্ফন ও অধোলম্ফন, বা পরিসর লম্ফন ও অধোলম্ফন মিলিত হয়) মিশ্র লম্ফন কহে। এই চারি প্রকার লম্ফনের প্রত্যেক লম্ফন তিন প্রকারে অভ্যাস করিতে হইবে। তাহাদিগকে সম্মুখ লম্ফন, পশ্চাৎ লম্ফন এবং পার্শ্ব লম্ফন কহে। লম্ফ দ্বারা সম্মুখে অগ্রসর হওয়াকে সন্মুখ লম্ফন, পশ্চাৎদিকে যাওয়াকে পশ্চাৎ লম্ফন, এবং দক্ষিণ অথবা বাম দিকে যাওয়াকে পার্শ্ব লম্ফন বলে।