ব্যায়াম শিক্ষা (প্রথম ভাগ, ১৮৭৩)/১১
৪র্থ ব্যায়াম।
সম্মুখে ঊর্দ্ধ লক্ষন।
একটী পাঁচ বা ছয় হাত লম্বা রজ্জু ভূমি হইতে অর্দ্ধ হস্ত ঊর্দ্ধে আড় ভাবে ঝুলাও।[১] দুই পা সংযত (যোড়) করিয়া সরল ভাবে রজ্জুর নিকটে দাঁড়াও। দুই পা যেন রজ্জু হইতে চারি পাঁচ অঙ্গুলি দূরে থাকে। দুই পা সংযত করিয়া, একেবারে লম্ফ দিয়া রজ্জু উল্লঙ্ঘন কর (পার হও)। এ সময় দুই পা যেন অসংযত অর্থাৎ ছাড়াছাড়ি না হয়, এবং রজ্জুতেও না লাগে। ৭ম চিত্র দেখ।
৭ম চিত্র
রজ্জুর দুই দিক দুই খুঁটিতে এ প্রকারে আবদ্ধ করিতে হইবে, যে ব্যায়াম-কারীর পা তাহাতে লাগিলেই যেন তৎক্ষণাৎ তাহা দুলিয়া পড়ে। রজ্জু দুই দিকে দুই জন ধরিয়া থাকিলে ভাল হয়, কারণ ব্যায়াম কারীর পা তাহাতে লাগিবা মাত্র রজ্জু-ধারীরা, রজ্জু ছাড়িয়া দিতে পারে। রজ্জুর দুই দিক যদি অত্যন্ত দৃঢ় রূপে আবদ্ধ থাকে, তাহা হইলে ব্যায়ামকারীর পা তাহাতে আবদ্ধ হইয়া কষ্ট দায়ক হইতে পারে। ব্যায়ামকারীর দুই পা সংযত করিয়া লম্ফ দিতে প্রথমে কঠিন বােধ হইবে, কিন্তু ক্রমে ক্রমে অভ্যাস করিলে সহজ হইয়া যাইবে। ক্রমশঃ রজ্জু উচ্চ করিতে হইবে। এ ব্যায়াম ভালরূপ অভ্যাস হইলে, দুই তিন রজ্জু বা অন্য কোন অবরােধ ব্যায়াম কারী অনায়াসে লম্ফ দিয়া পার হইতে পারিবে।
- ↑ লম্ফন শিক্ষা করিবার যন্ত্র অতি সাধারণ। ৩।৪ হাত ব্যবধান করিয়া দুইটী পাঁচ ছয় হাত লম্বা বাঁশ বা কাষ্ঠ ভূমিতে পুতিতে হইবে। দুই হাত পরিমাণ ভূমিতলে পোতা থাকিবে এবং তিন চারি হাত পরিমাণ উপরে থাকিবে। যে অংশ উপরে থাকিবে তাহার অর্দ্ধ হস্ত উপরে এক গাছি অঙ্গলি পরিমাণ মোটা রজ্জু সহজে যাতায়াত করিতে পারে তদুপযুক্ত ছিদ্র করিতে হইবে। প্রথম ছিদ্রের উপর ক্রমে চারি অঙ্গুলি অন্তরে উপর্য্যুপরি কতক গুলী ছিদ্র করিতে হইবে। প্রথম ছিদ্রের মধ্যে রজ্জু দিয়া, রজ্জুর বাহিরে দুইদিকে দুইটী ভাটা ঝুলাইতে হইবে। ভাটা যেন অধিক ভারি না হয়। দুই দিকে দুই ভাটাতে রজ্জু টান করিয়া রাখিবে। কিন্তু ব্যায়াম কারীর পা ব্যায়াম সময় যদি রজ্জুতে লাগে তবে তৎক্ষনাৎ রজ্জু শিথিল হইবে। ক্রমে আবশ্যক ও ইচ্ছা মত ব্যায়াম কারী আপনি রজ্জু উচ্চ ও নিম্ন করিয়া লইবে। এ ব্যায়াম অভ্যাসের সঙ্গে রজ্জু ক্রমে উচ্চ করিতে হইবে।