ব্যায়াম শিক্ষা (প্রথম ভাগ, ১৮৭৩)/৫২
হরিজণ্ট্যাল বার।
এটী অতি সাধারণ যন্ত্র। দুইটী খুঠীর উপর একটা লম্বা গোল পরিষ্কৃত বাঁশ আড় ভাবে পড়িয়া থাকে। তাহাকে হরিজণ্ট্যাল বার কহে।
যে ব্যক্তির ব্যায়ামের জন্য ইহা প্রস্তুত হয়, তাহার আপনার উচ্চতা অনুসারে ইহার খুঠীর উচ্চতা হওয়া উচিত,যাহাতে ব্যায়াম কারী সরল ভাবে দাঁড়াইয়া ঈষৎ লম্ফ দিয়া ধরিতে পারে।
হরিজণ্ট্যাল বার কিছু উচ্চ হওয়া আবশ্যক। ইহা ৪ হস্ত হইতে ৫॥ বা ততোধিক দীর্ঘ হওয়া বিধেয়।
সেগুণ বা শাল কাষ্ঠের হইলে ভাল হয়। উহা উত্তম রূপে পরিষ্কার করিয়া গোল করিতে হয়। ইহাতে ধার যেন না থাকে। কারণ তাহা হইলে হাতে আঘাত লাগিবে। কাষ্ঠ অভাবে ভাল পাকা বাঁশের দ্বারা প্রস্তুত করিলেও হইতে পারে।
দুই দিকের খুঠী কাঠের হইলে ভাল হয়। শাল ও সেগুন কাঠের খুটিই ভাল। কাঠ অসার না হয়, কিম্বা তাহাতে গিরা যেন না থাকে।
খুঠী দুই হাত পরিমাণ যেন মৃত্তিকাতে পােতা থাকে এবং উহার গর্ত্ত যেন ইষ্টকাদি কঠিন দ্রব্যের দ্বারা বন্ধ করা হয়। মৃত্তিকা দ্বারা গর্ত্ত পূরাইলে, কিছূ কাল নাড়া চাড়া করিলে ব্যায়ামের সময় খুটী ঠিক থাকে না।
হরিজণ্ট্যাল বারের ন্যায় খুঠীও বাঁশের প্রস্তুত করা যায়। প্রতি খুঠীর দুই ধারে দুইটী ঠেক না দিলে শক্ত হইবে এবং ব্যায়ামের সময় ঠিক থাকিবে।
হরিজণ্ট্যাল বার বহু প্রকারে প্রস্তুত করা যাইতে পারে।
হরিজণ্ট্যাল বারের দুই পার্শ্ব। সম্মুখ পার্শ্ব ও পশ্চাৎ পার্শ্ব। বারের যে পার্শ্ব ব্যায়ামকারীর সম্মুখে থাকে সেই পার্শ্বকে বারের সম্মুখ-পার্শ্ব, এবং তাহার বিপরীত পার্শ্বকে বারের পশ্চাৎ-পার্শ্ব কহে। ব্যায়ামকারী এই দুইটী বিষয় ভাল করিয়া মনে রাখিবেন, কেননা ব্যায়াম সময় ইহার আবশ্যক হইবে।