১৪

(কৃষ্ণচূড়া)

এই যে কুসুম শিরােপরে, পরেছি যতনে,
মম শ্যাম-চুড়া-রূপ ধরে এফুল রতনে!
বসুধা নিজ কুন্তলে পরেছিল কুতুহলে
এ উজ্বল মণি,
রাগে তারে গালি দিয়া, লয়েছি আমি কাড়িয়া—
মাের কৃষ্ণ-চূড়া কেনে পরিবে ধরণী?

এই যে কম মুকুতাফল, এফুলের দলে—
হে সখি, এ মাের আঁখিজল, শিশিরের ছলে!
লয়ে কৃষ্ণচূড়ামণি, কাঁদিনু আমি, স্বজনি,
বসি একাকিনী,
তিতিনু নয়ন জলে; সেই জল এই দলে
গলে পড়ে শােভিতেছে, দেখ্ লাে কামিনি!

পাইয়া এ কুসুম রতন—শােন্ লো যুবতি,
প্রাণহরি করিনু স্মরণ—স্বপনে যেমতি!

দেখিনু রূপের রাশি, মধুর অধরে বাঁশী,
কদমের তলে,
পীত ধড়া স্বর্ণ রেখা, নিকষে যেন লাে লেখা,
কুঞ্জ শােভা বরগুঞ্জমালা দোলে গলে?

8

মাধবের রূপের মাধুরি, অতুল ভুবনে—
কার মনঃ নাহি করে চুরি, কহ, লাে ললনে?
যে ধন রাধায় দিয়া, রাধার মনঃ কিনিয়া।
লয়েছিলা হরি,
সেধন কি শ্যামরায়, কেড়ে নিল পুনরায়?
মধু কহে তাও কভু হয় কি, সুন্দরি?