অযোধ্যা বর্ণন।

জানকী জীবন রাম। নব দূর্ব্বাদল শ্যাম॥
ভবপারাবারে, পারকরিবারে, তরণি রামের
নাম। চারুজটাজুট, রচিত মুকুট, তাহে
বনফুল দাম॥ হাতে শরাসন, দক্ষিণে
লক্ষ্মণ, ধ্যানে সুখমোক্ষ ধাম। হনুমান সঙ্গে
পুলকিত অঙ্গে, ভারত করে প্রণাম॥ ধ্রু ॥

 প্রয়াগ হইতে যাত্রা কৈলা মজুন্দার। ডানি বামে যত গ্রাম কত কব তার॥ দাসু বাসু নিবেদয়ে শুনহ ঠাকুর। এথা হইতে অযোধ্যা নগর কত দূর। দেখিব রামের বাড়ী এবড় বাসনা। কৃপা করি মো সবার পূরাহ কামনা॥ কহিলেন মজুন্দার কিছু ফের হয়। যে হৌক সে হৌক তথা যাওন নিশ্চয়॥ দেখে যেই জন রাম জনম ভবন। ধরায় ধরিয়া তনু ধন্য সেই জন॥ জিজ্ঞাসিয়া পথিকে পথের ভেদজানি। উত্তরিলা অযোধ্যা রামের রাজধানী॥ অযোধ্যায় গিয়া দেখিলেন মজুন্দার। যে যেখানে রামচন্দ্র করিলা বিহার॥ অযোধ্যা নিবাসি যত ব্রাহ্মণ পণ্ডিত। মজন্দারে আসি সবে মিলিলা ত্বরিত॥ নানাধনে মজুন্দার তুষিলা সবারে। সাধু সাধু তারা সবে কহে মজুন্দারে॥ মহানন্দে মজুন্দার নানা কুতুহলে। করিলেন স্নানদান সরযূর জলে॥ দিন কত সেই স্থানে বিশ্রাম করিয়া। অযোধ্যা নিবাসি লোক সংহতি লইয়া, সকল অযোধ্যাপুরী করি দরশন। শুনিলেন বাল্মীকি প্রণীত রামায়ণ॥ দাসু বাসু বিনয়ে কহিছে মজন্দারে। ভাষা করি এই কথা বুঝাও আমারে॥ সাত কাণ্ড রামায়ণ সঙ্খেপ ভাষায়। এই ছলে কহিছে ভারতচন্দ্র রায়॥