মানসিংহ/মজুন্দারের রাজ্য
মজুন্দারের রাজ্য।
ধূধূ ধূধূ নৌবত বাজে রে। বরপুত্র অন্ন-
দার, ভবানন্দ মজুন্দার, রাজা হৈলা বাগু
য়ান মাঝে রে॥ ভোঁ ভোঁ ভোরঙ্গ বাজে, ধাঁ ধাঁ ধামসাগাজে, ঝাঁঝাঁঝাঁ ঝম ঝমঝাঁজে রে॥ ঘড়ীবাজে ঠন ঠন, ঘণ্টা বাজে রন রন, গন গন গজ ঘণ্টা গাজেরে॥ ভাঁড়াই করিছে ভাঁড়, চোয়াড়ে লুফিছে কাঁড়, সিপাই সমুখে পুর সাজে রে। ভবানী সহায় হাঁকে, নকীব সেলাম ডাকে, দেওয়ান বসিল রাজকাজে রে॥ নব গুণে নব রসে, ভুবন ভরিল যশে, চাঁদের কলঙ্ক হৈল লাজে রে॥ অন্নপূর্ণা মহামায়া, দেহ রাঙ্গাপদ ছায়া, ভারতের কৃষ্ণ চন্দ্র রাজে রে।
পরম আনন্দে ভবানন্দ মজুন্দার। স্নান পূজা করিয়া বাহিরে দিলা বার॥ ঘড়িয়াল ঠন ঠন বাজাইছে ঘড়ী। চোপদার সমুখে দাড়ায় লয়ে ছড়ী। দেওয়ান আমীন বক্সী মুনসী দপ্তরী। খাজাঞ্চী নিযুক্ত কৈলা বিবেচনা করি॥ সহবতী হিসাব নিকাশ বাজে দফা। মুহরির রাখিল হিসাব করি রফা। ফরমান মত সব সনন্দ লিখিয়া। মফঃস্বলে নায়েব দিলেন পাঠাইয়া॥ পরগণা পরগণা হইল আমল। দেখা কৈল যত প্রজা গোমস্তা মণ্ডল॥ শিরোপা দিলেন সবে বিবিধ প্রকার। সেলাম দিলেক সবে চতুর্গুণ তার॥ এই রূপে রাজত্বের যে কিছু নিয়ম। ক্রমে ক্রমে করিলা যতেক উপক্রম॥ হায়নের অগ্র অগ্রহায়ণ জানিয়া। শুভদিনে পুণ্যাহ করিলা বিচারিয়া॥ পৌষমাঘ ফাল্গুণ বঞ্চিয়া সুখসার। চৈত্রমাসে পূজা আরম্ভিলা অন্নদার॥ আজ্ঞা দিলা কৃষ্ণচন্দ্র ধরণী ঈশ্বর। রচিলা ভারত চন্দ্র রায় গুণাকর॥