মা/দ্বিতীয় খণ্ড/দশ
—দশ—
পরদিন প্রত্যুষে ঘোড়ার গাড়িতে চেপে গাড়োয়ানের সঙ্গে কত-কি কথা কইতে কইতে মা রওয়ানা হলেন গ্রামের দিকে। বিকালবেলা নিকোলস্ক পৌছুলেন।
নিকোলস্ক একটি গণ্ডগ্রাম। একটা সরাইয়ে ঢুকে মা চায়ের অর্ডার দিয়ে জানালার কাছে বেঞ্চিতে বসে বাইরে বাগানের দিকে চেয়ে রইলেন। বাগানের গায়েই টাউন-হল। তার সিঁড়ির ওপর বসে একজন চাষী ধূমপান করছে।
হঠাৎ গ্রামের সার্জেণ্ট জোর ঘোড়া ছুটিয়ে টাউন হলের সামনে এসে উপস্থিত হল; তারপর হাতের চাবুকটা ঘুরিয়ে চেঁচিয়ে চাষীকে কি বললো। চাষী উঠে হাত বাড়িয়ে কি একটা দেখালো। সার্জেণ্ট তৎক্ষণাৎ লাফ দিয়ে মাটিতে নাবলো, তারপর চাষীর হাতে ঘোড়ার লাগামটা দিয়েই টাউন-হলের মধ্যে ঢুকে পড়লো।
আর কোন সাড়া-শব্দ পাওয়া গেলো না।
সরাইর একটি মেয়ে পরিচারিকা কাপ-প্লেট এনে টেবিলের ওপর রেখে সোৎসাহে বলে উঠলো, একটা চোর ধরেছে এইমাত্র। নিয়ে আসছে এখানে।
মা বললেন, সত্যি? কি রকম চোর বলতো?
জানিনে।
কি চুরি করেছিলো?
কে জানে? শুনলুম তাকে ধরেছে। চৌকিদার ছুটে পুলিস কমিশনারের কাছে গেলো।
মা জানালা দিয়ে চেয়ে দেখলেন, টাউন হলের সিঁড়ির ওপর চাষীরা জড়ো হচ্ছে দলে দলে···সবাই চুপ-চাপ। মা বইয়ের ব্যাগটা বেঞ্চির তলায় লুকিয়ে রেখে শালটা মাথায় জড়িয়ে সরাই থেকে বেরিয়ে সেখানে গিয়ে হাজির হলেন। সিঁড়ির ওপর উঠে দাঁড়াতেই তাঁর শরীরের রক্ত যেন হিম হয়ে এলো···শ্বাস রুদ্ধ···পা অসাড়। বাগানের মাঝখানে রাইবিন, পিঠ-মোড়া করে হাত বাঁধা...দু’পাশে দু’জন পুলিস!
মা স্থান-কাল-পাত্রেব কথা বিস্মৃত হ’য়ে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলেন রাইবিনের দিকে। রাইবিন কি যেন বললো, কিন্তু তা মার কানে গেলো না! মার কাছেই দাঁড়িয়েছিল একজন চাষী···নীল তার চোখ···মা তাকে জিগ্যেস করলেন, কি হয়েছে?
ঐ তো দেখছো।
একটি রমণী চীৎকার করে উঠলো, উঃ, কী ভীষণ দেখতে চোরটা!
রাইবিন মোটা গলায় বলে উঠলো, চাষী বন্ধুগণ, আমি চোর নই। আমি চুরি করিনে, আমি কারও ঘরদোরেও আগুন লাগাইনে। আমি শুধু যুদ্ধ করি মিথ্যার বিরুদ্ধে। তাই ওরা আমাকে ধরেছে। তোমরা কি শোনোনি সে-সব বইয়ের কথা, যার মধ্যে আমাদের চাষীদের সম্বন্ধে সত্য কথা বলা হয়েছে? আমি তাই ছড়িয়েছি চাষীদের মধ্যে। তারই জন্য আমার এ শাস্তি।
জনতা রাইবিনের দিকে চেপে দাঁড়ালো। রাইবিন উচ্চকণ্ঠে বললো, চাষীবন্ধুগণ, এই বইগুলোতে বিশ্বাস করো। এর জন্য আমায় হয়তো আজ প্রাণ দিতে হবে। কর্তারা আমাকে মেরেছে, যন্ত্রণা দিচ্ছে, কোত্থেকে আমি এ বইগুলি পাই তা জানার জন্য—আরো মারবে। কেন জানো? এই বইয়ের মধ্যে সত্য কথা লেখা হয়েছে। খাঁটি পৃথিবী আর সাঁচ্চা বাত —তার কদর রুটির চাইতে বেশি—এই হচ্ছে আমার কথা।
চাষীরা কথাগুলো শুনছে, কিন্তু তাদের মনে কেমন যেন একটা ভয়, কেমন যেন একটা সন্দেহ। একজন বললো, এসব ব’লে কেন মিছামিছি নিজের অবস্থা কাহিল করছে।
সেই নীলচোখ চাষীটি জবাব দিলো, ওতো মরতেই চলেছে, তার চাইতে তো আর কাহিল করতে পারবে না!
সার্জেণ্ট হঠাৎ আবির্ভূত হ’ল, এতো লোক কিসের? কে বক্তিমে করছে?
তারপর রাইবিনের দিকে এগিয়ে তার চুল ধরে ঝাঁকি দিয়ে বললো, তুই বক্তিমে করছিস? পাজি, গুণ্ডা কোথাকার, তুই বক্তিমে করছিস?
জনতা তখনও শবের মতো শান্ত···মার বুকে অক্ষম বেদনার জ্বালা। একজন চাষী ফেললো দীর্ঘনিশ্বাস। রাইবিন আবার ব’লে উঠলো, দেখছো তো, ভাইসব?
চুপ, ব’লে সার্জেণ্ট তার মুখে এক ঘা দিলো।
রাইবিন ঘুরে পড়ে বললো, ওরা শুধু এমনি করে মানুষের হাত বেঁধে মারে, যা খুশি ক’রে নেয়।
ধরো ব্যাটাকে। ভাগ্ ব্যাটারা—ব’লে সার্জেণ্ট রাইবিনের সামনে লাফিয়ে পড়ে উপর্যুপরি ঘুষি চালাতে লাগলো, মুখে, বুকে, পেটে।
একবার জনতার যেন ধৈর্যচ্যুতি হ’ল।
মেরোনা।···মারছো কেন? অকেজো পশু কোথাকার!··· ছিনিয়ে নিয়ে চলো ওকে।···
সেই নীল-চোখ চাষীটি রাইবিনকে সঙ্গে নিয়ে চললে। টাউন হলের দিকে। সার্জেণ্ট গর্জন ক’রে উঠলো, খবর্দার, নিয়ে যেয়োনা।···
নীল-চোখ চাষীটি জবাব দিলো, না, নোব; নইলে তোমরা একে মেরে ফেলবে।
রাইবিন এবার বেশ জোর গলায় বললো, চাষীবন্ধুগণ, তোমরা কি বুঝতে পারছো না, কী শোচনীয় তোমাদের জীবন? তোমরা কি বুঝতে পারছো না, ওরা কেমন ক’রে তোমাদের লুণ্ঠন করে— প্রতারণা করে— রক্ত পান করে? এই দুনিয়াকে রক্ষা করছে কারা—তোমরা। কাদের উপর দাঁড়িয়ে আছে এই বিশ্ব-ব্যাপী সভ্যতা?— তোমাদের ওপর। বিশ্বের সমস্ত কিছুর মূলীভূত শক্তি কাদের মধ্যে?—তোমাদের মধ্যে। কিন্তু সেই তোমরা কি পেয়েছো?···পেয়েছো উপবাস। ওই তোমাদের একমাত্র পুরস্কার।···
যথার্থ কথা! আরো ব’লো, আরো ব’লো, তোমার গায়ে হাত তুলতে দেবো না। ওর হাত খুলে দাও।
না, থাক।
খুলে দাও বলছি।
পুলিসরা ভয়ে হাত খুলে দিয়ে বললো, শেষটা পস্তাবে!
রাইবিন বললো, ভাই সব, আমি পালাবো না। পালিয়ে আমি আত্মগোপন করতে পারি কিন্তু সত্যকে কেমন ক’রে গোপন করবো? সে যে এইখানে···আমার অন্তরে।
জনতা এবার যেন গরম হ’য়ে উঠলো। রাইবিন তার রক্ত-মাখা হাত দু’খান। ঊর্ধ্বে তুলে বলতে লাগলো, ভাইসব, আমি দাঁড়িয়েছি তোমাদেরই জন্য···তোমাদেরই দাবি নিয়ে। এই দেখ আমার রক্ত—সত্যের জন্য এ রক্তপাত হয়েছে।···সেই সত্যের দিকে তোমরা নজর রেখো, সেই বই পড়ো। কর্তারা, পুরুতরা বলবে···আমরা নাস্তিক, ধ্বংসবাদী···তাদের কথায় বিশ্বাস কোরো না। সত্য চলেছে পৃথিবীর বুকের ওপর গোপন-পদসঞ্চারে, মানুষের মধ্যে খুঁজছে সে নীড়। কর্তাদের চোখের সামনে প্রকাশিত হচ্ছে অগ্নি-তপ্ত ছুরিকার মতো···তারা একে সইতে পারে না···এ তাদের কেটে—পুড়িয়ে দিয়ে যাবে।···এ তাদের মরণ-শত্রু; তাই এর গতি গুপ্ত। কিন্তু এই সত্যই তোমাদের পরম মিত্র।
সাঁচ্চা কথা।···কিন্তু ভাই এর জন্য তোমার সর্বনাশ হ’বে।···
কে ধরিয়ে দিলো এঁকে?
একজন পুরুত···একটি পুলিস বললো।
এমন সময় পুলিস-সাহেব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেন। জনতা কেমন যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে পথ করে দিলো। সাহেব এসেই রাইবিনের আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে বললে, ব্যাপার কি? এর হাত বাঁধা নেই কেন?···এই বাঁধো···
একজন পুলিস বললে, বাঁধাই ছিলো হুজুর, ওরা খুলে দিলো।
সাহেব জনতার দিকে চেয়ে হুমকি দিয়ে বললেন, ওরা কারা? কোথায় সে লোক?···তুমি? সুমাখভ্ ব’লে সেই নীল চোখ চাষীটির বুকে তরবারির মুঠো দিয়ে দিলেন এক ঘা। আর তুমি···মিশিন বলে, আর একজনের দাড়ি ধরে দিলেন টান। তারপর বাকি লোকগুলোকে তাড়া দিয়ে বললেন, ভাগ্ ব্যাটারা···সাহেব যে খুব অগ্নি-শর্ম্মা হ’য়ে উঠলেন তা নয়, সব যেন তিনি যন্ত্রের মত করে যাচ্ছেন
জনত। পালালো না, শুধু খানিকটে সরে সরে দাঁড়ালো।
সাহেব পুলিসটির দিকে চেয়ে বললেন, কিহে, হাত বাঁধছো না যে? ব্যাপার কি?
জবাব দিলো রাইবিন, আমি হাত বাঁধতে দিতে চাইনে। কেন বাঁধবে? পালাচ্ছিওনে, লড়াইও করছিনে।
সাহেব তার দিকে এগিয়ে বল্লেন, কি বলছো?
রাইবিনও চড়া গলায় জবাব দিলো, বলছি, তোমরা পশু —তাই মানুষকে এমনভাবে নির্যাতিত কর। কিন্তু সাবধান, সেই রক্ত-দিবস অচিরেই আসছে।···সেই দিন কড়ার-গণ্ডায় শোধ হবে এর।
কী! কি বললি পাজি, বদমাস। কি বললি — বলে সাহেব রাইবিনের মুখে এক প্রচণ্ড ঘুষি বসিয়ে দিলেন।
রাইবিন তার দিকে মুখ তুলে বললো, ঘুষি দিয়ে সত্যকে বধ কর। যায় না, কর্তা!···আমি জানতে চাই, কোন্ অধিকারে কুকুরের মতো কামড়াচ্ছো আমায়?
সাহেব আর এক ঘুষি ছুঁড়লেন, কিন্তু রাইবিন চকিতে সরে দাঁড়াতে সাহেব প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলেন। জনতার মধ্যে হাসির হররা বয়ে গেল। রাইবিন গর্জন করে বললো, খবর্দার, নরকের পশু···গায়ে হাত তুলিসনি···আমি তোর চেয়ে দুর্বল নই···চেয়ে দেখ্···
সাহেব দেখলেন গতিক বড় ভাল নয়। লোকগুলো ক্রমশ ঘনিয়ে আসে তার দিকে। তখন এদিক-ওদিক চেয়ে ডাকলেন, নিকিতা!
ভিড় ঠেলে গাঁট্টা-গোট্টা চেহারার একটি চাষী এসে সাহেবের সামনে দাঁড়ায়।
এই ব্যাটার কান প্যাঁচিয়ে বেশ একটা নম্বরি ঘুষি চালাও তো।
চাষীটি রাইবিনের সামনে গিয়ে ঘুষি পাকালো। রাইবিন নড়লোনা একটুকুও। সোজা তার মুখের দিকে চেয়ে প্রগাঢ় স্বরে বললো, দেখ ভাইসব, পশুরা কেমন ক’রে আমাদের হাত দিয়েই আমাদের কণ্ঠরোধ করে। দেখ, দেখ···একবার ভাব···কেন আমাকে মারতে চায়? কেন?···বলতে বলতে নিকিতার ঘুষি এসে পড়লো তার মুখে।
জনতা কোলাহল ক’রে উঠলো,— নিকিতা, পরকালের কথা একেবারে ভুলে ব’সে আছিস বুঝি!
সাহেব নিকিতার ঘাড়ে ঠ্যালা দিয়ে বলে, আমার হুকুম, মারো।
নিকিতা একপাশে স’রে দাঁড়িয়ে মাথা নীচু ক’রে গম্ভীরভাবে বললো, আমি আর পারবোনা।
কী?
সাহেব রেগে আগুন হ’য়ে নিজেই রাইবিনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। তারপর দু’ঘুষিতে রাইবিনকে মাটিতে ফেলে বুকে, পাশে, মাথায় লাথি ছুঁড়তে লাগলেন। জনতাও পলকে উত্তেজিত হয়ে হুংকার দিয়ে এগিয়ে এলো সাহেবের দিকে। সাহেব ব্যাপার দেখেই তরবারি হাতে নিয়ে বলে উঠল, বটে, দাঙ্গা করছো, তোমরা দাঙ্গা করছো?···তারপর এদিকওদিক চেয়ে অবস্থার গতিক দেখে বলে, বেশ, নিয়ে যাও, ছেড়ে দিচ্ছি; কিন্তু জেনে রেখো, এ একজন রাজনৈতিক আসামী···জারের বিরুদ্ধে··· একে তোমরা আশ্রয় দিচ্ছো···তোমরাও তাহলে বিদ্রোহী···
জনতা এ কথায় ভয়ানক দমে গেলো। তাদের সে উত্তেজনা দূর হ’য়ে সুরে ফুটে উঠলো যেন মিনতির ভাব। বলতে লাগলো, দোষ করেছে···আদালতে নিয়ে যাও··· মেরোনা···মাপ কর ওকে···এসব অত্যাচারের অর্থ কি? দেশে কি এখন বে-আইনের রাজত্ব?···এমনি ক’রে সবাইকে ঠ্যাঙাতে শুরু করলেই হয়েছে আর কি···শয়তানের দল, খালি মারধর শিখেছে।
জন-কয়েক চাষী রাইবিনকে মাটি থেকে তুললো। পুলিসরা আবার তার হাত বাঁধতে গেলো।
জনতা বাধা দিয়ে বললো, একটু সবুরই কর না!
রাইবিন হাত দিয়ে রক্ত মুছে দাঁড়াতেই দেখলো, মা···ভিড়ের মধ্যে। মার সঙ্গে ইঙ্গিত-বিনিময় ক’রে পাশে দাঁড়ানো সেই নীল-চোখ চাষীর সঙ্গে বাক্যালাপ করে রাইবিন। তারপর জনতাকে সম্বোধন করে বলে উঠলো, সাহস এবং আশা-ভরা কণ্ঠে: বন্ধুগণ, কোন ভয় নেই। আমি দুনিয়ায় একা নই। সকল সত্যকে ওরা গ্রেপ্তার করতে পারবে না···আমি যাবো, কিন্তু আমার স্মৃতি থাকবে···একটি নীড় ওরা নষ্ট ক’রে দেয় দিক ···আরো বহু নীড়, বহু বন্ধু, বহু সঙ্গী আছে আমার···তারা সত্যের নব নব নীড় রচনা করবে।···তারপর একদিন বেরোবে তারা মুক্তির অভিযানে। মানুষকে করবে মুক্তি-প্রভায় সমুজ্জ্বল।
সাহেবের সুর তখন অনেকটা নরম হ’য়ে এসেছে···বলে, আমি মেরেছি বলেই তোমরা আমার বিরুদ্ধে হাত তুলবে? এতো সাহস তোমাদের?
কেন?···তুমি কোন্ স্বর্গ থেকে নেমে এসেছো?··· রাইবিন জবাব দিলো। তারপরই আবার শুরু হল জনতার কোলাহল।
তর্ক কোরোনা।···তুমি কাদের বিরুদ্ধে লেগেছো, জানো?— সরকারের।
রাগ করবেন না হুজুর। ওর মাথার ঠিক নেই।
শহরে নিয়ে যাবে তোমায়।
সেখানে সুবিচার পাবে।
পুলিসরা রাইবিনকে নিয়ে টাউন-হলের মধ্যে চলে গেলো। চাষীরাও যে যার বাড়ি চলে গেলো।
তারপর একটা গাড়ি এসে দাঁড়ালো টাউন হলের সামনে। রাইবিনকে হাত-বাঁধা অবস্থায় এনে ঠেলে ভ’রে দেওয়া হলো তার মধ্যে রাত্রির সেই অন্ধকার ভেদ ক’রে বেজে উঠলো রাইবিনের কণ্ঠস্বর: বিদায়, বিদায় বন্ধুগণ! সত্য সন্ধান কোরো, সত্য রক্ষা কোরো, সত্য-সেবক যে তাকে বিশ্বাস করো, সাহায্য করো, সত্যব্রতে আপনাকে উৎসর্গ করে দাও··· কিসের জন্য দুঃখ করছো তোমরা? এ জীবন তোমাদের কি দিয়েছে? কেন তোমরা মরতে বসেছো···অনাহারে? মুক্তির জন্য বুক বেঁধে দাঁড়াও।···মুক্তি তোমাদের মুখে অন্ন দেবে। সত্যের উদ্বোধন করো···
বলতে বলতে গাড়ি চোখের সামনে অদৃশ্য হয়ে যায়। রাইবিনের কণ্ঠস্বর ক্ষীণ, ক্ষীণতর, ক্ষীণতম হ’য়ে বাতাসে মিলিয়ে যায়।