নয়

 বাংলা সাহিত্যে গত যুগের ছোটগল্পে প্রভাতকুমারের স্থান রবীন্দ্রনাথের পরেই। মাসিক-সাহিত্য এদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গত শতাব্দীর উত্তরার্ধে। এখনকার মতন তখন ঢাউস ঢাউস পত্রিকা প্রকাশিত হত না, তখনকার “ভারতী” ও “সাহিত্য” প্রভৃতি আকারে ডাগর পত্রিকাগুলি আজকের মাসিক কাগজগুলির বিরাট কলেবরের পাশে উল্লেখযোগ্য ব’লেই বিবেচিত হবে না। সেই সময়ে “দাসী” নামে একখানা পত্রিকা প্রকাশিত হ’ত আকারে যা “ভারতী” ও “সাহিত্য” প্রভৃতির চেয়েও ছোট ছিল। রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদকরূপে দেখা দেন প্রথম সেই “দাসী” নিয়েই।

 বাল্যকালে একসঙ্গে এক বছরের “দাসী” আমার হাতে পড়ে। তার মধ্যে দেখলুম প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের লেখা কবিতা, “স্বর্ণলতা” প্রণেতা তারকনাথের জীবনী ও “একটি রৌপ্য- মুদ্রার জীবনচরিত” নামক গল্প। সেইগুলি পাঠ করে প্রভাতকুমারের গুণপনার সঙ্গে প্রথমে পরিচিত হই এবং “একটি রৌপ্য-মুদ্রার জীবনচরিত”ই বোধ করি প্রভাতকুমারের লেখা প্রথম গল্প। “দাসী”র আর একজন নিয়মিত লেখক এখনো লেখনী ত্যাগ করেন নি। তিনি শ্রীহেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ

 তারপর “প্রদীপ” ও “ভারতী” পত্রে প্রভাতকুমারের আরো অনেক গল্প পাঠ করলুম এবং তাঁর বিশেষ ভক্ত হয়ে পড়লুম। মাসিক-সাহিত্যসমাজে তাঁর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়ে উঠতে লাগল।

 এবং হঠাৎ শুনলুম এক “রোমান্সে”র কাহিনী। স্বর্ণকুমারী দেবীর বিদ্যাবতী ও লেখিকা কন্যা সরলা দেবী প্রভাতকুমারের গল্প পাঠ করে তাঁর প্রতি অনুরাগিণী হয়েছেন, শীঘ্রই তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন। প্রভাতকুমার তখন বোধহয় ডাক-বিভাগে কেরাণীগিরি করতেন। নিজেদের পরিবারের যোগ্য ক’রে নেবার জন্যে সরলা দেবীর মাতা-পিতা প্রভাতকুমারকে বিলাতে পাঠাতে চাইলেন। তিনিও চাকরীতে ইস্তফা দিয়ে বিলাতে যাত্রা করলেন ব্যারিষ্টারি শেখবার জন্যে।

 এ-রকম ‘রোমান্স’ বাংলা সাহিত্যসমাজে বড় একটা ঘটে না, সহরের সাহিত্যবৈঠকগুলি কিছুদিন পর্যন্ত সরগরম হয়ে রইল। দেখতে দেখতে তিন চার বৎসর কেটে গেল। প্রভাতকুমার ব্যারিষ্টার হয়ে দেশে ফিরলেন। কিন্তু এরি মধ্যে ব্যাপারটা কি ঘটল ঠিক বোঝা যায় নি, তবে সরলা দেবীর সঙ্গে প্রভাতকুমারের বিবাহ আর হ’ল না! চোখের আড়াল হ’লে প্রাণের আড়াল হয়— বোধ করি সত্য হয়ে দাঁড়াল এই প্রবাদটাই।

 প্রভাতকুমার প্রথমে রংপুরে ও তারপরে গয়ায় গিয়ে কিছুকাল ব্যারিষ্টারি করলেন, তারপর কলকাতায় এসে হ’লেন ল কলেজের অধ্যাপক। সরলা দেবী কিছুকাল “ভারতী” সম্পাদনা ক’রে সাহিত্য-চর্চ্চা প্রায় ছেড়ে দিয়ে পাঞ্জাবে গিয়ে হ’লেন রামভুজ দত্তচৌধুরীর সহধর্মিণী। প্রভাতকুমার কিন্তু সাহিত্য-সাধনা ছাড়লেন না। প্রথমে “প্রবাসী” এবং তারপর অন্যান্য পত্রিকার জন্যে গল্প ও উপন্যাস রচনা করতে লাগলেন। অবশেষে গ্রহণ করলেন “মানসী ও মর্মবাণী”র সম্পাদনার ভার।

 প্রভাতকুমারের গল্পগুলি প্রধানত আখ্যানবস্তু এবং কৌতুককর ঘটনা ও বর্ণনার জন্যে সর্বশ্রেণীর পাঠকদের আকর্ষণ করে। তাঁর ভাষায় প্রসাদগুণ আছে যথেষ্ট, কিন্তু তিনি মার্জিত ও অসাধারণ রচনারীতি ব্যবহার করেন নি, ভাষাকে নানারূপ সুনির্বাচিত অলঙ্কার দিয়েও সাজাতে যান নি। তবে কৌতুক ও হালকা ভাবের সাহায্যে তিনি যে জীবনের গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিতও দিতে পারেন, “প্রবাসী” পত্রিকায় সেদিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন স্বর্গীয় দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর (“ডাঙ্গায় বাঘ ও জলে কুমীর” প্রবন্ধে)।

 “ভারতবর্ষ” প্রকাশের কিছুকাল পরে স্বর্গীয় অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণের সম্পাদকতায় “সঙ্কল্প” নামে একখানি স্বল্পজীবী সুবৃহৎ পত্রিকা প্রকাশিত হয়, আমি তার সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ করতুম। যদিও তখনো আমি গ্রন্থকার হইনি, তবে গল্পলেখকরূপে মাসিক সাহিত্যে কিঞ্চিৎ খ্যাতি লাভ করেছি। সেই সময়ে খবর পেলুম, হেদোর ধারে “মানসী”র কার্যাধ্যক্ষ সুবোধচন্দ্র দত্তের বাড়ীতে এসে উঠেছেন প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। এতদিন পর্যন্ত তাঁকে স্বচক্ষে দেখবার সুযোগ পাই নি, সুতরাং এ সুযোগ ছাড়লুম না। কিছু কাল আমিও “মানসীর” দলভুক্ত ছিলুম, সুবোধবাবু আমার বন্ধু, তাই অসঙ্কোচেই তাঁর বাড়ীতে গিয়ে হাজির হলুম।

 একতালার বৈঠকখানায় ব’সে ছিলেন প্রভাতকুমার। দীর্ঘ দেহ, কৃষ্ণ বর্ণ, দাড়ী-গোঁফ কামানো মুখ, শান্ত দৃষ্টি, দোহারা ভারিক্কে চেহারা। বয়সে প্রৌঢ়।

 প্রণাম করলুম। সুবোধবাবু পরিচয় করিয়ে দিলেন। প্রভাতকুমার মৃদুমধুর হেসে বললেন, ‘“সঙ্কল্পে” আপনার ‘কপোতী’ গল্পটি আমি পড়েছি। আমার ভালো লেগেছে।’

 তাঁর মত গুণী লেখকের মুখে সুখ্যাতি শুনে যে খুসি হয়েছিলুম সে কথা বলা বাহুল্য। বললুম, ‘আগে আপনি কবিতা লিখতেন। আর লেখেন না, কেন?’

 —‘কবিতা আর আসে না।’

 সেদিন কিন্তু ভালো ক’রে আলাপ জমল না। আমি আরো দু-একটা প্রশ্ন করলুম, তিনি খুব সংক্ষেপে উত্তর দিলেন। তাঁর গাম্ভীর্য দেখে আমি আর বেশী কথা কইতে ভরসা করলুম না।

 কয়েক মাস পরে “সংস্কল্প” উঠে গেল। খুব ঘটা ক’রে “ভারতবর্ষে”র সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবার জন্যে “সঙ্কল্পে”র জন্ম হয়েছিল। গুণে সে “ভারতবর্ষে”র চেয়ে খাটো ছিল না, কিন্তু অর্থবল না থাকলে প্রতিযোগিতা সফল হয় না। তারপরেই নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায় ও অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণের সম্পাদনায় “মর্মবাণী” নামে একখানি সাহিত্য সম্পর্কীয় সপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়, আমি ছিলুম তার সহকারী সম্পাদক। আসলে সম্পাদকীয় সমস্ত কর্তব্য পালন করতে হ’ত আমাকেই। কারণ কাগজখানি প্রকাশিত হবার অল্পদিন পরেই মহারাজা দীর্ঘকালের জন্যে বিদেশে চ’লে গিয়েছিলেন এবং অমূল্যবাবু নানা কার্যে ব্যস্ত হয়ে থাকতেন, সম্পাদকীয় কাজে মনোনিবেশ করবার অবসর বড় একটা পেতেন না। পত্রিকাখানির আরম্ভ হয়েছিল আশাপ্রদ। কিন্তু হঠাৎ বাধে পৃথিবীর প্রথম মহাযুদ্ধ, কাগজের ও অন্যান্য জিনিষের দাম বেড়ে ওঠে, লাভের চেয়ে লোকসানই হ’তে থাকে বেশী। প্রায় বৎসর খানেক নিজের পৃথক অস্তিত্ব বজায় রেখে “মর্মবাণী” পরে “মানসী”র সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যায়। এই “মর্মবাণী”র সময়েই আমার প্রথম গল্পগ্রন্থ “পসরা” প্রকাশিত হয়।

 প্রভাতকুমার সে সময়ে গয়ায় থাকতেন। আমি তাঁর কাছে তাঁর কবিতা রচনার কথা তুলেছিলাম ব’লে কিংবা নাটোরের মহারাজার অনুরোধে তিনি “মর্মবাণী”র জন্যে যে দীর্ঘ রচনাটি পাঠালেন তার নাম “সূক্ষ্মলোম পরিণয়”। সেটি হচ্ছে কৌতুকনাটিকা এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত। জন্তুরা হচ্ছে তার পাত্র-পাত্রী, নায়ক ও নায়িকা হচ্ছে ভল্লুক ও ভল্লুকী। জন্তুদের নিয়ে তার আগে বাংলা ভাষায় আর কোন নাটক বা উপন্যাস রচিত হয় নি। রচনাটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়ুয়াদের চমৎকৃত করেছিল। সকলের মুখেই শুনেছি তার সুখ্যাতি। কিন্তু বড়ই দুঃখের বিষয় যে, এমন মনোজ্ঞ রচনাও আজ পর্যন্ত “মর্মবাণী”র পৃষ্ঠার মধ্যেই নিদ্রিত হয়ে আছে, গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় নি।

 সেই সময়েই প্রভাতকুমারের সঙ্গে একাধিকবার পত্রালাপ হয়েছিল বটে, কিন্তু তাঁর সঙ্গে আবার আমার চোখোচোখি দেখা হয় অনেক বৎসর পরে, প্রভাতকুমার যখন কলকাতায় এলেন তখন। তাও মাঝে মাঝে। তিনি অভিনয়ের অনুরাগী ছিলেন, মিনার্ভা থিয়েটারে তাঁর সঙ্গে দেখাশুনো হ’ত— কিন্তু ঐ পর্যন্ত। যদিও তখন আমি আর বয়সে কাঁচা বা নাবালক নই, দস্তুরমত পুত্রকন্যার পিতা, তবু তাঁর পরম গম্ভীর মুখ দেখে দূর থেকেই প্রণাম ক’রে আমি স’রে পড়তুম, সাহস সঞ্চয় ক’রে আলাপ জমাতে পারতুম না।

 আমি তখন ‘নাচঘরে’র সম্পাদক। “ইণ্ডিয়ান সিনেমা আর্টস” নামক চলচ্চিত্র সম্প্রদায় প্রভাতকুমারের “নিষিদ্ধ ফল” নামে গল্প অবলম্বন ক’রে একখানি নির্বাক ছবি তুললে এবং তাদের বাঘমারির ষ্টুডিওয় ছবিখানি সর্বপ্রথমে দেখবার জন্যে আমন্ত্রিত হলুম। সেইখানেই আবার প্রভাতকুমারের সঙ্গে দেখা এবং তাঁর সঙ্গে ভালো ক’রে কথা কইবার সুযোগ পেলুম। চিত্র-প্রদর্শনী শেষ হ’ল। শ্রীকালীপ্রসাদ ঘোষের পরিচালনায় তোলা সেই ছবিখানি আমারও ভালো লাগল এবং পরে জনসাধারণও তাকে সাদরে গ্রহণ করেছিল।

 একই মোটরে প্রভাতকুমারের সঙ্গে ফিরে আসছি, হঠাৎ তিনি আমার কানে কানে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হেমেন্দ্রবাবু, আপনি এখন কোথায় যাবেন?’

 —‘বাড়ীতে।’

 —‘নিশ্চয়ই নয়। আজ আপনাকে আমার ওখানে গিয়েই রাত্রের ডান হাতের ব্যাপারটা সম্পন্ন করতে হবে। যদি আপত্তি করেন সে আপত্তি মানব না।’

 সহসা এই অপ্রত্যাশিত প্রস্তাব শুনে এতই বিস্মিত হলুম যে, কোন আপত্তিই করতে পারলুম না। নীরবে তাঁর সঙ্গে গাড়ী থেকে নামলুম এবং সেইদিনই সর্বপ্রথমে লাভ করলুম আসল প্রভাতকুমারের সাহচর্য। খুলে পড়ল তাঁর গাম্ভীর্যের মুখোস, পানাহারের সঙ্গে প্রাণ খুলে গল্প করতে করতে তিনি সহচরের মত একেবারে ঘুচিয়ে দিলেন আমাদের বয়সের ব্যবধান। পরে বুঝেছিলুম তিনি মোটেই গম্ভীর নন, একান্ত মুখচোরা মানুষ, নূতন লোক দেখলে সাবধানে নির্বাক হয়ে থাকেন, নিজেকে প্রকাশ করতে পারেন না। এই জন্যেই কেউ তাঁকে কোনদিনই কোন সভায় নিয়ে গিয়ে সভাপতি করতে বা বক্তৃতা দেওয়াতে পারে নি। এদিক দিয়ে তিনি ছিলেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মত। দ্বিজেন্দ্রলালকেও আমি কলকাতার কোন সভায় সভাপতি হ’তেও দেখি নি, বক্তৃতা দিতেও শুনি নি। একবার আমি তাঁকে একটি সভায় হাজির থাকতে দেখেছিলুম বটে, কিন্তু নির্বাক শ্রোতারূপে।

 তারপর কত সন্ধ্যা আমার প্রভাতকুমারের সঙ্গে কেটে গিয়েছে কত আনন্দে তার আর সংখ্যাই হয় না। এক একদিন তাঁর আসরে এসে হাজির হ’তেন স্বর্গীয় মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রীশিশিরকুমার ভাদুড়ীশ্রীপ্রেমাঙ্কুর আতর্থী প্রমুখ সুধীবৃন্দ, সে সব দিনে গল্প করতে করতে আমাদের আর হুঁশ থাকত না যে, বেজে গিয়েছে কখন রাত বারোটা। প্রভাতকুমার যখন মন খুলতেন, একেবারে মজলিসী লোক হয়ে উঠতেন। আর কতরকম গল্পই তিনি জানতেন! সাহিত্যের গল্প, অন্যান্য চারুকলার গল্প, বিলাতের গল্প, সাধারণ খোসগল্প। তার উপরে পরম স্নেহভরে সকলকে খাওয়ানো-দাওয়ানো, আদর-আপ্যায়ন। তাও অল্প উপভোগ্য ছিল না। এক-একদিন আলাপ করতে করতে রাত্রি এমন গভীর হয়ে উঠত যে, তিনি আমাকে বাড়ীতে ফিরতে দিতেন না। সেদিন তাঁর সঙ্গেই এক শয্যায় শয়ন ক’রে কাবার হয়ে যেত বাকি রাত্রিটা। এখন সেই সব কথা মনে করি আর দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবি— হায়, সাহিত্যজগতে আর প্রভাতকুমারের মতন মানুষ নেই, সে সব সুখের দিন আর ফিরে আসবে না।

 দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের প্রসঙ্গে ব’লেছিলুম, তাঁর সঙ্গে আমার শেষ-দেখা হয়েছিল বারাণসী ঘোষ স্ট্রীট আর কর্ণওয়ালিস স্ট্রীটের সংযোগস্থলে। তারপরেই পেয়েছিলুম সন্ন্যাস রোগে তাঁর মৃত্যুসংবাদ। একদিন বৈকালে ঠিক সেইখানেই দাঁড়িয়ে আছি, হঠাৎ দেখলুম চলন্ত ট্রামে ব’সে আছেন প্রভাতকুমার। আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে তিনি একটুখানি হাসলেন। তারপর সেই সন্ধ্যাতেই তিনি সন্ন্যাস রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন শুনে তাড়াতাড়ি তাঁকে দেখতে গেলুম। আমি আর একবার তাঁকে দেখলুম বটে, কিন্তু প্রভাতকুমার আমাকে দেখতে পেলেন না। তিনি তখন মূর্চ্ছিত। সে মূর্ছা আর ভাঙে নি।

 আমার মুখে ঐ দুটি কাহিনী শুনে বিখ্যাত অভিনেতা স্বর্গীয় নির্মলেন্দু লাহিড়ী একদিন আমাকে বলেছিলেন, ‘ভাই হেমেন্দ্র, আমিও ঐ রোগে ভুগছি। তাই ট্রামে চড়ে যেদিন বারাণসী ঘোষ স্ট্রীটের মোড়ের কাছে আসি, ভয়ে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নি। কি জানি বাবা, যদি তোমার সঙ্গে দেখা হয়ে যায়!’