একটা জিনিষকে চারজন লোক চারদিক থেকে চার রকম ভাবে দেখতে পারে। যে কোন মানুষও এক-একজন লোকের কাছে এক-একরকম ভাবে ধরা দেন। এই কেতাবে যাঁদের কথা বলা হয়েছে, আমি তাঁদের যে ভাবে দেখবার সুযোগ পেয়েছি, সেই ভাবেই দেখাবার চেষ্টা করেছি এবং কোথাও অত্যুক্তি বা অতিরঞ্জনের আশ্রয় নিই নি। অন্য কোন লেখক হয়তো তাঁদের ভিন্ন ভাবে ফুটিয়ে তুলতেন। এটা হচ্ছে ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্য মাত্র। পাঠকরা অনুগ্রহ ক’রে এই কথা মনে রাখলে বাধিত হব।
বহুকাল আগেকার কথাও কেবল স্মৃতির উপরে নির্ভর ক’রে লেখা হয়েছে, সুতরাং কোন কোন জায়গায় স্মৃতিবিচ্যুতির ফলে অল্পস্বল্প ভুলভ্রান্তি যে হয় নি, এমন দাবি করতে চাই না।
একখানি মাত্র পুস্তকে আরো অনেকেরই কথা বলা সম্ভবপর হ’ল না। এখানি হচ্ছে আর একখানি পুস্তকের অগ্রদূত। প্রথম খণ্ড সমাপ্ত হ’ল শরৎচন্দ্রের প্রসঙ্গ নিয়ে। দ্বিতীয় খণ্ড শেষ হবে রবীন্দ্রনাথকে অবলম্বন ক’রে। অলমতিবিস্তরেণ।
এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।