অনবধান।

কোথা হতে এ মলিন পথ পঙ্কখানি
আসিল আমার ঘরে, বহুযত্ন মানি
দুগ্ধ-শুভ্র আস্তরণে ঢেকেছিনু তারে,
কভু যাই নাই আমি বাহির দুয়ারে
হেরিতে উৎসব যাত্রা, সৌধ-ছাদ’পরে
অলক্তে চরণ রঞ্জি রূপ-গর্ব্বভরে
মোহন মন্থর গতি করিনি ভ্রমণ;
পাছে ধূলি লেগে হয় ধূসর বরণ
ধৌত শুভ্র শোভা তার লাবণ্য নবীন—
পথিক গায়ক সেই শুনালে যেদিন
অজ্ঞাত বিশ্বের গাথা দুয়ারে দাঁড়ায়ে
ব্যগ্র প্রাণে মহানন্দে দুবাহু বাড়ায়ে
তাহারে আনিনু ঘরে; মহা কৌতুহলে
পুণ্য পাদোদক দিতে গিয়েছিনু ভুলে।