রেণু/বসন্তের প্রতি
১
হে ললিত সুকুমার কিশোর সুন্দর,
কুহক পরশে তব বিশ্ব চরাচর
উৎসুক অধীর আজি প্রণয়-চঞ্চল,
নবীন যৌবন সম, ধরার অঞ্চল
পরিপূর্ণ বাসনার রাঙা পুষ্পস্তরে,
পাগল কোকিল সারানিশি দিন ধরে
গাহিছে মিনতি গাথা, উতলা মলয়
কাহারে খুঁজিয়া আজি ফেরে বিশ্বময়
অশ্রান্ত উচ্ছ্বাসে, মুগ্ধ সুনীল গগন
চাহি ধরণীর মুখে নিষ্পন্দ নয়ন।
পুলক আকুল বিশ্ব মিলন-কাতর
তোমারি কারণে, তব চঞ্চল অন্তর
চাহেনা কহারে, তুমি চির উদাসীন
অপরে বাঁধগো প্রেমে, আপনি স্বাধীন
হে নব বসন্ত,
আমার সে প্রিয়তম তোমারি মতন
তরুণ সুন্দর তনু বিশ্ববিমোহন,
হৃদয় তাহার চির বন্ধন বিহীন
তোমারি মলয় সম, সারা নিশিদিন
আমারে আকুল করি পরশ আভাষে
জাগায়ে কত না আশা অনন্ত আকাশে
মিলিয়া মিশিয়া যায় ধরিবার আগে,
তবুও ক্ষণেক তরে যেথা স্পর্শ লাগে
মুঞ্জরিয়া ওঠে লতা, সুধাসিক্ত স্বরে
গাহে পিক, ফোটে ফুল, নব নৃত্য ভবে
নিঝরিণী জাগি ওঠে যৌবন চঞ্চল।
তোমারে হেরিয়া তাই হৃদয় চপল
তাহারি মিলন লাগি, তারে মনে করে
তাই আনিয়াছি গীতি আজ তোমা তরে।