লেফ্টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস/লণ্ডনে প্রথম রাত্রি
ত্রয়বিংশ পরিচ্ছেদ।
লণ্ডনে প্রথম রাত্রি।
সুরেশ যাহা দেখিলেন স্বপ্নে কখনও তাহা তিনি ভাবেন নাই! কি বিস্তৃত সহর, কি মনুষ্যের জনতা! কত গাড়ী ঘোড়া! এরূপ সুন্দর সুন্দর অট্টালিকা তিনি কখন দেখেন নাই,—এরূপ মনমুগ্ধকর সুসজ্জিত দোকান যে কখন কোথায়ও আছে, তাহা তিনি কখনও মনে ভাবেন নাই। চারিদিকেই সাহেব মেমের ভিড়, সকলেই যেন মহা ব্যস্ত, সকলেই যেন কি গুরুতর কার্য্যে ধাবমান; দেখিলে বোধ হয় যেন এদেশে বুঝি কেহ বিনা কাজে বসিয়া থাকিতে পায় না। এত সাহেব মেমও সুরেশ একত্রে কখন দেখেন নাই। এখানে সাহেব ভিক্ষুক টুপি হস্তে তাঁহার নিকট ভিক্ষা চাহিতেছে, সাহেব কোচম্যান তাঁহাকে গাড়ী ভাড়া লইবার জন্য অনুরোধ করিতেছে! তিনি বাঙ্গালী, এখানে যে ভারতবর্ষের ন্যায় সাহেবগণ দেশীয় বলিয়া তাঁহাকে ঘৃণা করিতেছেন না, বরং সকলেই তাঁহাকে সাদর সম্ভাষণ করিতেছেন, এ সমস্তই সুরেশের নিকট নূতন, অভূতপূর্ব্ব; তিনি রাজপথে চলিবেন কি? প্রতিপদেই তিনি আশ্চর্য্যের উপর আশ্চর্য্যান্বিত হইতে লাগিলেন। যে দিকে চাহেন সেই দিকেই চক্ষু থাকে, আর কোনদিকেই ফিরিতে চাহে না। তিনি একটী গ্যাসের স্তম্ভে ভর করিয়া দাঁড়াইয়া ব্যাকুলভাবে চাহিয়া আছেন, তাঁহার সঙ্গী পুনঃ পুনঃ তাঁহাকে আহ্বান করায়ও তিনি অগ্রসর হইতে পারিতেছেন না। তাঁহার সঙ্গী বোসেন সাহেব কয় দিন মাত্র স্থলে বাস করিবার অবসর পাইয়াছেন, তিনি এ কয়দিন আমোদ প্রমোদ করিতে ব্যাকুল, এরূপে একস্থানে দাঁড়াইয়া সময় নষ্ট করিতে তিনি সম্পূর্ণ অনিচ্ছুক। তিনি জেদাজিদি করিয়া সুরেশকে সঙ্গে লইয়া চলিলেন।
বোসেন সাহেব সুরেশকে লণ্ডনের বিখ্যাত ইষ্ট এণ্ড পল্লীতে লইয়া গেলেন। লণ্ডন শহরের দরিদ্রগণের আবাস-স্থল ইষ্ট এণ্ড, ইহার ন্যায় অপরিষ্কার স্থান ভারতবর্ষেও নাই। লণ্ডনের যত বদমাইস প্রভৃতির ইহাই বাসস্থান ও আড্ডা। পদে পদে মদের দোকান! রাস্তায় মাতালের হুড়াহুড়ি; এখানে যেরূপ দরিদ্র দেখিতে পাওয়া যায় সেরূপ জগতে আর কুত্রাপি আছে কি না বলা যায় না। যেমন দারিদ্র্য প্রবল প্রতাপে এখানে রাজত্য করে, পাপও সেইরূপ সকল আকারে ঘোর প্রতাপে এখানে বিরাজিত। অনাহারে প্রপীড়িত বালক বালিকাগণ পথিপার্শ্বস্থ নর্দ্দামায় কুকুর শূকরের ন্যায় খেলা করিতেছে। অনাহারে ও অতি পরিশ্রমে কঙ্কালাবশিষ্টা কত শত স্ত্রীলোক হতাশের মেঘে আবরিত হইয়া শূন্য মনে মধ্যে মধ্যে ঘুরিতেছে। কার্য্যের অভাবে কার্য্যান্বেষী শ্রমজীবিগণ পথের পাশে মধ্যে মধ্যে দলবদ্ধ হইয়া কথোপকথন করিতেছে,—প্রত্যেক মদের দোকান হইতে হাস্যধ্বনি, কলহের রব—ঘোর কোলাহল শ্রুত হইতেছে।
সুরেশ এই সকল দেখিয়া শুনিয়া স্তম্ভীত হইলেন। লণ্ডনের আর একটি ভাল দৃশ্য আছে যে তাহা তখন তাঁহার মনে হইল না। যে যেখানকার লোক সে সেইখানে যায়। বোসেন জাহাজী গোরা মাত্র, ভদ্র সমাজের ধার তিনি ধারেন না। যেখানে তাঁহার আলাপ পরিচয়, সুরেশকে তিনি সেইস্থানে লইয়া গেলেন।
এইরূপভাবে সুরেশ কয়েকদিন ধরিয়া লণ্ডন সহর দেখিয়া বেড়াইলেন; যেখানে যাহা দেখিবার ছিল সমস্ত দেখিলেন; বিস্তৃত লণ্ডনের রাস্তা ঘাটও কতকটা চিনিলেন। তিনি প্রত্যহ প্রাতে জাহাজ হইতে সহর দেখিতে বাহির হইতেন, সমস্তদিন আর জাহাজে ফিরিবার সময় হইত না, সহরেই কোন স্থানে আহার করিয়া লইতেন। সন্ধ্যার পর জাহাজে ফিরিয়া আসিয়া রাত্রিযাপন করিতেন। এইরূপে কয়দিন কাটিয়া গেল, আর জাহাজ লণ্ডনে দুই একদিন মাত্র আছে,—এখন একটা বাসা না যোগাড় করিলে নহে। তাঁহার বন্ধু জাহাজের বোসেন সাহেব তাঁহার জন্য একটা বাসা ঠিক করিয়া দিলেন। বাসা খুব সস্তায় বন্দোবস্ত হইল বটে, কিন্তু তিনি যে ঘরটি পাইলেন, সেটী একটী ক্ষুদ্র বাক্স বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। একটি বৃহৎ প্রস্তর নির্ম্মিত অট্টালিকায় এই ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ, কাষ্ঠ নির্ম্মিত প্রাচীর, তাহার উপর কাগজ মারা। বহুকালের ধূলি ও নানাবিধ দ্রব্য লাগিয়া এই কাগজ অভূতপূর্ব্ব আকার ধারণ করিয়াছে। গৃহে একখানা ভাঙ্গা চেয়ার ও ভাঙ্গা টেবিল কাছে, এক পাশে একটা অর্দ্ধ ছিন্ন গদিও আছে।
বাড়ীতে অসংখ্য স্ত্রীপুরুষ বাস করে, সকলেই পাপের শেষ স্তরে অবতীর্ণ হইয়াও যেন সন্তুষ্ট নহে। সকল প্রকার উচ্ছৃঙ্খলতা ও পাপকার্য্যেই যেন তাহাদের বিপুল আনন্দ। পুরুষদিগকে দেখিলে ভয় হয়, মারামারি ও দাঙ্গা হাঙ্গামা করা ও সুবিধা পাইলেই মদ খাওয়াই যেন তাহাদের কার্য্য। লাল মুখ মদে মদে যেন আরও লাল হইয়াছে। সকলেরই মুখের কোন না কোন স্থান কাটা, দাঙ্গা হাঙ্গামের চিহ্ন। পুরুষদিগের ন্যায় স্ত্রীলোকগণও ঘোর সুরাশক্ত, মদ পাইলে আর কিছুই চাহে না। একটু মদের জন্য না করিতে পারে এমন কার্য্যই নাই। ইহারা জোঁকের ন্যায় পুরুষদিগকে ধরিয়া আছে। যতক্ষণ যাহার নিকট এক কপর্দ্দকও থাকে, ততক্ষণ ইহারা তাহাকে ছাড়ে না।
সুরেশ এই সকল নর নারীর মধ্যে আসিয়া কতকটা ভীত হইলেন। ইহাদের স্বভাব, প্রকৃতি, আচার ব্যবহার তাঁহার নিকট অতি বীভৎস ও ভয়াবহ বলিয়া বোধ হইল;—কিন্তু উপায় নাই। ভাল স্থানে বাস করিবার উপযুক্ত অর্থ তাঁহার ছিল না। প্রথম রাত্রিবাসেই সুরেশ বুঝিলেন যে এ স্থানে তাঁহাকে কি রূপ জীবন অতিবাহিত কঝিতে হইবে। তাঁহার তখন বয়স ১৭ বৎসর মাত্র, তিনি বাঙ্গালী;—তিনি যে এই সকল মাতাল জঘন্য প্রকৃতির সাহেব মেমদিগের সহিত বাস করিতে পারিয়াছিলেন ইহাতে তাঁহার সাহসের প্রশংসা না করিয়া থাকা যায় না। তিনি যে একেবারে পুণ্যাত্মা বা সুনীতির আদর্শ ছিলেন এ রূপ নহে;—একটু আধটু কখন কখনও মদ খাইতেন, কিন্তু এই সকল নর নারীর অশ্লীল বচন, বীভৎস কার্য্য, লোমহর্ষণ ব্যবহার দেখিয়া তাঁহার প্রাণ কাঁপিয়া উঠিল;—হৃদয় হৃদয়ে যেন বসিয়া গেল। তিনি মনে মনে স্থির করিলেন, যাহাই অদৃষ্টে থাকুক, এ রূপ স্থানে থাকা হইবে না। কাল প্রাতেই অন্যত্র আর একটা বাসা করিতে হইবে।
নানা চিন্তায় তিনি একেবারেই কিছু আহার করিতে পারিলেন না;—শুইয়া পড়িলেন।
কিয়ৎক্ষণ এইরূপে শুইয়া সুরেশ আকাশ পাতাল নানা নানা ভাবনা ভাবিতেছেন,—এ রূপ সময়ে সহসা তাঁহার বোধ হইল যেন ঘরটী আরও গাঢ়তর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হইল। তাঁহার বোধ হইল যেন আর এক জন কে গৃহে প্রবেশ করিয়াছে। বিদেশ, বিভূমি,—সম্পূর্ণ ভিন্ন জাতীয়, ভিন্ন প্রকৃতির লোক মধ্যে তিনি আসিয়া পড়িয়াছেন। কি রূপ ভয়ানক লোক এই বাটীতে বাস করে তাহাও তিনি দেখিয়াছেন,—‘‘তাঁহার কপালে বড় বড় ঘাম দেখা দিল; কি এক রূপ অভাবনীয় ভীতি ধীরে ধীরে যেন তাঁহার দেহে ব্যাপ্ত হইল,—এরূপ ভয়ের ভাব তাঁহার হৃদয়ে কখনও আসে নাই। কে তাঁহার গৃহে এত রাত্রে প্রবেশ করিল? কি উদ্দেশ্যে সে আসিয়াছে? সম্ভবত তাঁহাকে হত্যা করিয়া তাঁহার নিকট যাহা কিছু আছে তাহাই লওয়া ইহার উদ্দেশ্য;—এই রূপ ভাব সুরেশের মনে আসিবা মাত্র সুরেশ হৃদয় হইতে ভয়ের ভাব দূরীভূত করিলেন,—মরিতে তিনি কখনই ভীত ছিলেন না। যদি মরিতে হয় তবে শৃগাল কুকুরের ন্যায় মরিব না;—লড়িয়া মরিব,—এই ভাবিয়া সুরেশ আপনার পকেটে বেশ বড় ছোড়া ছিল তাহাই ধীরে ধীরে বাহির করিয়া প্রস্তুত হইলেন। ভাবিলেন যেই হউক না কেন, তাঁহাকে আক্রমণ করিলে তিনি সহজে তাহাকে ছাড়িবেন না।
তাঁহার বোধ হইল একটা লম্বা ছায়ামূর্ত্তি তাঁহার বিছানার চারি দিকে নিঃশব্দে ধীরে ধীরে পদচারণ করিতেছে। সে যে কে তাহা তিনি কিছুই স্পষ্ট দেখিতে পাইতেছেন না। অন্ধকারে কিছুই ভাল দেখা যাইতেছিল না। কিয়ৎক্ষণ অপেক্ষা করিয়া তিনি গলায় শব্দ করিলেন। তাঁহার বোধ হইল অমনি যেন সেই মূর্ত্তি বাতাসে মিলিয়া গেল। তিনি উঠিয়া বসিয়া গৃহের চারিদিক বিশেষ করিয়া দেখিলেন,—কাহাকেও কোথায়ও দেখিতে পাইলেন না। তখন পকেট হইতে দেশ্লাই বাহির করিয়া জ্বালিলেন, দেখিলেন গৃহে কেহই নাই। শয়নের পূর্ব্বে তিনি যে রূপ দ্বার রুদ্ধ করিয়া দিয়াছিলেন এক্ষণেও সেইরূপ দ্বার রুদ্ধ আছে। তবে এ কে? এ কি ভূত? সুরেশ ভূত বিশ্বাস করিতেন না। ভূতের কথা মনে হইয়া মনে মনে হাসিলেন।
তিনি এবার শয়ন করিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরেই নিদ্রিত হইয়া পড়িলেন। রাত্রে আর কোন কিছুই ঘটিল না। অতি প্রত্যুষে উঠিয়াই তিনি একটা ভাল বাসা ও কোন কাজের চেষ্টায় বহির্গত হইলেন। সমস্ত দিন নানা স্থানে ঘুরিয়া বেড়াইলেন কিন্তু কোন কিছুই করিয়া উঠিতে পারিলেন না। যেখানে হাজার হাজার সাহেব মেম প্রত্যহ চাকুরীর হাহাকার করিয়া দ্বারে দ্বারে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে, সেখানে বিদেশী বাঙ্গালী বালক সুরেশ যে চাকুরী পাইবেন এ রূপ আশা করাই উন্মত্ততা ভিন্ন আর কিছুই নহে। সন্ধ্যার সময় ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত হইয়া তিনি বাসায় ফিরিলেন। তৃষ্ণার্তও হাইয়াছিলেন। একটু সুরা পান করিলে দেহে ও মনে বল পাইবেন ভাবিয়া তিনি যেখানে মদ বিক্রয় হয় সেইখানে উপস্থিত হইলেন। শত শত সাহেব মেম মদ খাইতেছিলেন;—কালো সুরেশকে দেখিয়া অনেকে আসিয়া তাঁহাকে ঘেরিয়া দাঁড়াইয়া কোন এক অদ্ভুত দেশের অদ্ভুত লোক ভাবিয়া দেখিতে লাগিল। দুই জন মেম এক স্থানে বসিয়া মদ খাইতেছিলেন তাঁহারা আসিয়া সুরেশের সহিত আলাপ করিলেন;—তাঁহারা তাঁহাদের সহিত সুরেশকে সুরাপান করিবার জন্য পীড়াপীড়ি করিতে লাগিলেন। সুরেশ তাহাদের উপরোধ অনুরোধ এড়াইতে পারিলেন না; তাহাদের সহিত গৃহের এক পার্শ্বে একটী টেবিলের পার্শ্বে বসিয়া সুরাপান আরম্ভ করিলেন।
শীঘ্রই সে বোতল শেষ হইল,—তখন সুরেশ আর এক বোতল হুকুম করিলেন,—পরে আরও এক বোতল আসিল। বলা বাহুল্য তখন সুরেশ ঘোর মাতাল হইয়া পড়িয়াছিলেন;—মেমদ্বয়ও তদনুরূপ,—তিন জনে কতই নৃত্য, কতই গীত,—কতই চীৎকার হইল;—শেষ রমণীদ্বয় আরও এক বোতল মদ সঙ্গে লইয়া সুরেশকে টানিতে টানিতে তাহারা যে গৃহে বাস করিত সেইখানে লইয়া গেল।
তাহার পর কি হইল সুরেশের মনে নাই। পর দিন প্রায় দুই প্রহরের সময় তাঁহার নিদ্রা ভঙ্গ হইল;—তখনও তাঁহার পূর্ণ মাত্রায় নেশা। তিনি মাথা তুলিতে পারিতেছেন না;—মাথা ছিঁড়িয়া পড়িতেছে। দেখিলেন পার্শ্বে অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় মেম দ্বয় পড়িয়া আছে;—গৃহের দ্রব্যাদি লণ্ডভণ্ড, মাতলামির চূড়ান্ত হইয়া গিয়াছে। তাঁহারও অধঃপতনের শেষ হইয়া গিয়াছে।
তিনি রমণীদ্বয়কে জাগরিত করিবার জন্য তাহাদের অধরে চুম্বন করিলেন, তাহারাও চমকিত হইয়া চক্ষু মেলিল। আবার মদ আসিল,—সে দিনও সেইরূপ কাটিল। আবার মদ আসিল, তাহার পর দিনও সেইরূপে কাটিল,—এ বিপদে সুরেশকে রক্ষা করিবার কেহ ছিল না। তাঁহাকে সদুপদেশ দেন এমন কেহ আত্মীয় ছিল না। কয়েক দিনের মধ্যে তাঁহার যাহা কিছু অর্থ ছিল সমস্ত নিঃশেষ হইয়া গেল। তখন সেই রমণীদ্বয় তাঁহার নিকট আর এক পয়সাও নাই দেখিয়া তাঁহাকে ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেল। অর্থ-শূন্য অবস্থায় সুরেশ লণ্ডনের রাজপথে দাঁড়াইলেন।
যখন তাঁহার নেশা ছুটিল, জ্ঞান আসিল, তখন অনুতাপে তাঁহার হৃদয় দগ্ধ হইতে লাগিল; কিন্তু অনুতাপের আর সময় নাই। তাঁহার নিকট আর এক কপর্দ্দকও নাই,—তিনি আজ কি আহার করিয়া জীবন রক্ষা করিবেন? এই বিদেশে তাঁহার কি অবস্থা হইবে? কাহার নিকট কোথায় যাইবেন? এ ভারতবর্ষ নহে যে লোকের দ্বারে গেলে লোকে একমুষ্টি ভিক্ষা দিবে? এ ইংরাজের দেশে যাহারা ভিক্ষা করে তাহাদিগকে কারাগারে দেওয়া হয়;—এখানে ভারতের ন্যায় অতিথিসৎকার নাই। সুরেশ উন্মত্তের ন্যায় লণ্ডনের রাজপথে বহির্গত হইলেন।