সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা/কৃদন্ত
ধাতুর উত্তর কতকগুলি প্রত্যয় হয়। সেই সকল প্রত্যয়কে কৃৎ বলে। কৃৎ প্রত্যয় নানা; তন্মধ্যে তুম্, ত্বা, য, এই তিনের বিষয় লিখিত হইতেছে।
নিমিত্ত অর্থ বুঝিতে ধাতুর উত্তর তুম্ প্রত্যয় হয়। যথা, দাধাতু—তুম, দাতুম্; দিবার নিমিত্ত। স্থাধাতু—তুম্, স্থাতুম্; থাকিবার নিমিত্ত। পা ধাতু—তুম্, পাতুম্; পান করিবার নিমিত্ত। হনধাতু—তুম্, হন্তুম; বধ করিবার নিমিত্ত। গম ধাতু—তুম্, গন্তুম্; যাইবার নিমিত্ত। গ্রহধাতু—তুম্, গ্রহীতুম্; গ্রহণ করিবার নিমিত্ত। কৃধাতু—তুম্, কর্ত্তুম্; করিবার নিমিত্ত। বচধাতু—তুম্, বক্তুম্; বলিবার নিমিত্ত। জিধাতু—তুম্, জেতুম্; জয় করিবার নিমিত্ত। দৃশধাতু—তুম্,দ্রষ্টুম্; দেখিবার নিমিত্ত। জ্ঞাধাতু—তুম্, জ্ঞাতুম্; জানিবার নিমিত্ত। চিন্তিধাতু-তুম্, চিন্তয়িতুম্; চিন্তা করিবার নিমিত্ত। ভুজধাতু—তুম্, ভোক্তুম্; খাইবার নিমিত্ত ইত্যাদি। অনন্তর অর্থে ধাতুর উত্তর ত্বা প্রত্যয় হয়। যথা, কৃধাতু—ত্বা, কৃত্বা; করিয়া, করণান্তর। জিধাতু—ত্বা, জিত্বা; জয় করিয়া, জয়ানন্তর। গমধাতু—ত্বা, গত্বা; যাইয়া, গমনান্তর। ভুজ ধাতু—ত্বা, ভুক্ত্বা; খাইয়া, ভোজনানন্তর। দৃশ ধাতু—ত্বা, দৃষ্ট্বা; দেখিয়া, দর্শনানন্তর। দাধাতু—ত্বা, দত্ত্বা; দিয়া, দানানন্তর। পাধাতু—ত্বা, পীত্বা; পান করিয়া, পানানন্তর। চিন্তিধাতু—ত্বা, চিন্তয়িত্বা; চিন্তা করিয়া, চিন্তানন্তর। বচধাতু—ত্বা,উক্ত্বা; বলিয়া, কথানানন্তর। গ্রহধাতু—ত্বা, গৃহীত্বা, লইয়া, গ্রহণানন্তর ইত্যাদি।
যদি ধাতুর পূর্ব্বে উপসর্গ থাকে তাহা হইলে তাহার উত্তর অনন্তর অর্থে য প্রত্যয় হয়। যথা, আ-দাধাতু—য, আদায়; গ্রহণ করিয়া গ্রহণানন্তর। আ—গমধাতু—য, আগম্য, আগত্য; আসিয়া আগমনানন্তর। আ—হনধাতু—য, আহত্য; আঘাত করিয়া, আঘাতানন্তর। বি—জিধাতু—য, বিজিত্য; জয় করিয়া, জয়ানন্তর। সং—স্মৃধাতু—য সংস্মৃত্য; স্মরণ করিয়া, স্মরণানন্তর। প্র—নমধাতু য, প্রণম্য, প্রণত্য; প্রণাম করিয়া প্রণামানন্তর। আ-কৃষধাতু—য, আকৃষ্য; আকর্ষণ করিয়া, আকর্ষণানন্তর।