তৃষ্ণা-কাতর চুমুক দিয়ে উঠতি পথে কাঠের চাকায় বাঁশের ঝাড়ে ঘুর্নি হাওয়া পশ্চিমেতে পুঁট্লি কাঁধে মাঠ ফুরালো, ঐ দেখা যায় ঐ কাছারি, অশথ তলায় পথের পাশে জীর্ণ ঘাটে গরুর গাড়ির কাজ ফেলে সে
ছেলের দলে বটের ডালে গরুর গাড়ি নতুন বধূ
|
|
বলদ দুটি তৃষ্ণা মিটায় উঠছে গাড়ি ক্যাঁচোর ক্যাঁচোর বায়স ডাকে বন্বনিয়ে ঢললো রবি পথিক চলে ঐ যে মাঠের নান্দীপুরের ঐ যে গ্রামের চণ্ডীপূজার শ্যাওলা-ছাওয়া বাসন মাজে ক্যাঁচোর ক্যাঁচোর কৌতূহলে জট্লা ক’রে দোলনা ক’রে ঢুকলো এবার ঘোমটা টানে
|
|
নদীর জলে আবার চলে। নদীর পাশে, শব্দ আসে। বিকট সুরে; চলছে ঘুরে। কমলো বেলা, ঐ একেলা। শেষ সীমানা, গোসল-খানা, পাঠশালাটা, আটচালাটা। ময়লা দীঘি, বাগদিনী-ঝি; শব্দ পেয়ে দেখছে চেয়ে।
হল্লা তোলে দোদুল দোলে, গ্রামের মাঝে, বেজায় লাজে।
|
|