স্রোতের গতি/অষ্টম পরিচ্ছেদ

অষ্টম পরিচ্ছেদ

নদীজলে

 নদী-কিনারে দূরবিস্তৃত বালুর চর। বর্ষায় কখন কখন চর ডুবিয়া যায়, ক্ষুদ্রা নদী বিপুলকায়া হইয়া উঠে। প্রতি বৎসরই যে এমন হয়, তাহা নহে―যেবার জল বাড়ে, সেইবারই এমন হয়। নদীর জল বাড়ায় দেশের কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না। তাহার কারণ―নদীতট বহু উচ্চ, দ্বিতল পরিমাণ। তীরভূমি হইতে নদীটিকে অনেক নিম্নে দেখায়। ইচ্ছা করিলেই যেখানে সেখানে নামিতে পারা যায় না। মানুষের নিত্য-ব্যবহারের জন্য স্থানে স্থানে নদীতে নামিবার জন্য ঘাট আছে।

 প্রাণতোষবাবুর কৃষিক্ষেত্রে জল-সেচনের জন্য যে ঘাটটিতে পাম্প বসান হইয়াছিল, সেইটি কেবল পাকা ইটের গাঁথা। বৈকালে বেড়াইতে বাহির হইয়া অমিয়া এ ঘাটগুলি অনেকদিন দেখিয়া গিয়াছে। এসব ঘাটে লোকজন প্রায়ই আসে। গ্রাম্য-ছেলে মেয়েরা অনেক সময় আশ্চর্য্যদর্শনের ন্যায় অবাক হইয়া তাহাকে চাহিয়া দেখে। ইহাতে সে মনে মনে অত্যন্ত অস্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করিতে থাকে। তাই লোকচক্ষুর বাহিরে থাকিবার ইচ্ছায় সে আজ তীরে তীরে চলিয়া, অন্যমনে একেবারে বাড়ী হইতে অনেকখানি দূরে আসিয়া পড়িয়াছিল। এখানটা নদীর একটা বাঁক। নদীও এখানে অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত হইয়া আসিয়াছে। পরপারে সূর্য্যাস্তের শোভা দেখা যাইতেছিল। নদীজলে তাহারই অপরূপ আলোকস্রোত বহিতেছিল। অমিয়া নদীতীরে বসিয়া মুগ্ধ হইয়া তাহাই দেখিতেছিল।

 দেখিতে দেখিতে সূর্য্য ডুবিয়া অপরাহ্ণ বেলার অন্ধকারছায়া ঘনাইয়া আসিল। নদীজলে ও গাছের মাথায় ‘হা হা’ হাসির লহর তুলিয়া আচমকা একটা ঝড়ের বাতাস ধূলা উড়াইয়া বহিয়া গেল। অমিয়া চাহিয়া দেখিল, আকাশে স্তরে স্তরে মেঘ জমা হইতেছে―এখনি একটা ঝড় বৃষ্টি আসিল বলিয়া। সে ব্যস্ততা অনুভব করিয়া তাড়াতাড়ি উঠিয়া দাঁড়াইতেই, অনবধানে তাহার শালের রুমালখানি ক্রোড়চ্যুত হইয়া জলের দিকে গড়াইয়া পড়িয়া গেল। একেবারে নীচে পড়িল না, মধ্যপথে একটা বন্য গাছের শাখায় বাধিয়া ঝুলিয়া রহিল। আর একটা দমকা-বাতাস আসিলেই হয়ত এখনি নদীজলে পড়িয়া যাইবে। শালখানি দামী ও সৌখীন। ফিরিবার সময় কোন কোন দিন শীত অনুভূত হয়, তাই আজই কেবল সেখানি সঙ্গে আনিয়াছিল। ব্যবহারের প্রয়োজন না হওয়ায় কোলের উপরই ফেলিয়া রাখিয়াছিল।

 প্রথমে সে সাহায্যের আশায় ইতস্ততঃ চারিদিকে চাহিয়া দেখিল―কোথাও জনমানবের চিহ্নমাত্রও নাই। নিজের প্রতি রাগ ধরিতেছিল, ইচ্ছা করিয়াই সে যে আজ নিজেকে লোকালয় হইতে নির্ব্বাসিত করিয়াছে? ফিরিয়া গিয়া লোক ডাকিবার সাহস হয় না―হয়ত ততক্ষণে পবনদেবের অনুগ্রহে শালখানি উড়িয়া নদীজলে পড়িয়া চিরদিনের জন্য দৃষ্টিপথের বহির্ভূত হইয়া যাইবে। অথচ এখান হইতে নামিবার কোন পথ নাই। সে তীরের উপর উবুড় হইয়া, যতদূর হাত যায় হাত বাড়াইয়া দেখিল, হাত পৌঁছাইল না; কিন্তু আর একটুখানি,―একটুখানি মাত্র আগাইলেই ধরিতে পারা যাইবে। সে জুতা খুলিয়া পা ঝুলাইয়া বসিয়া দেখিল, পায়ের আঙ্গুলের সাহায্যে ধরিতে পারা যায় কি না। এই যে নরম নরম মসৃণ পশমের চাদরখানি তাহার পায়ের তলায় লাগিতেছে, কিন্তু তবু ইহাকে উঠান যায় না কেন? হয় ত কাঁটা-গাছের কাঁটায় আটকাইয়া গিয়া থাকিবে; টানাটানি করিতে গেলে এখনি ছিঁড়িয়া যাইবে। সে আর একটুখানি শরীর ঝুঁকাইয়া পা দিয়া সাবধানে শালখানি ধরিতে চেষ্টা করিল, কিন্তু তাহার শরীরের ভরে, অথবা সেখানকার মাটি আলগা থাকায়, যে কারণেই হইক, কতকটা তীর-ভাঙ্গা মাটির চাপের সহিত সে গড়াইয়া সু-উচ্চ তীরভূমি হইতে একেবারে নদী-কিনারে আসিয়া পড়িল।

 এই অভূতপূর্ব্ব ঘটনায় সে এমনি স্তম্ভিত হইয়া গেল যে, গড়াইয়া পড়িবার সময় কঠিন মৃত্তিকাস্তূপে ও আগাছায় তাহার দেহের স্থানে স্থানে ছড় লাগিয়া ও কাপড় ছিঁড়িয়া গেলেও সে তাহা অনুভব করিতে পারিল না। যাহার জন্য এই বিপত্তি, সেই হারানিধি শালখানি তাহার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়িয়া গিয়া বালুর উপর লুটাইতেছিল। অমিয়া চাহিয়া দেখিল, কিন্তু অভিমানের বৈরাগ্যে তাহাকে উঠাইয়াও লইল না―উহারই অবাধ্যতার জন্য আজ তাহার এই দুরবস্থা!

 অন্ধকার ক্রমেই ঘনাইয়া আসিতেছিল। বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ আসন্ন ঝড়ের সম্ভাবনা বুঝাইয়া দিল। নদীর কলোচ্ছ্বাস, স্থানটি যে নিরাপদ নহে, তাহাই যেন কান্নার সুরে জানাইতেছিল। নদীতীরে যতদূর দৃষ্টি যায়, অমিয়া চাহিয়া দেখিল, উপরে উঠিবার কোথাও পথরেখা দৃষ্ট হয় না। পাহাড়ের মত উচ্চ তীরভূমি। নদীজলও সমরেখা বিশিষ্ট নহে। কোথাও তীর হইতে দূরে, কোথাও একেবারে তীর ঘেঁসিয়া চলিয়া গিয়াছে। ধারে ধারে চলিয়া সে যে কোনো ঘাটে গিয়া পৌঁছাইবে তাহারও সম্ভাবনা নাই।

 তাহার চীৎকার করিয়া কাঁদিতে ইচ্ছা করিতেছিল। সে ভাবিয়া পাইল না, এ অ-স্থানে কে তাহার সংবাদ লইতে আসিবে। এ সম্ভাবনা কাহারই বা মনে হইবে? এত রাত্রি পর্য্যন্ত সে ত কখন বাহিরে থাকে না। মীনা হয় ত এতক্ষণ উত্তমকে হারিকেন লইয়া তাহার খোঁজে পাঠাইয়াছে—আহা উত্তম যদি এদিকে আসে। কিন্তু কেনই বা তা আসিবে? সে ত তাহার মত পাগল নয়, যে এই লোকালয়ের বাহিরে পাহাড়ের মত উঁচু পাড় হইতে লাফ দিয়া জলে পড়িবার সম্ভাবনা কল্পনা করিতে পারিবে? সে যখন সম্ভাবিত স্থানগুলি খুঁজিয়া দেখিয়া বাড়ী গিয়া খবর দিবে—‘কোথাও পাওয়া গেল না’—তখন সেখানে কি কম ভয় ভাবনা পড়িয়া যাইবে! মীনা হয় ত কাঁদিতেই আরম্ভ করিবে। অমিয়া কল্পনায় সে দৃশ্যটি যেন প্রত্যক্ষ দেখিতেছিল। প্রাণতোষবাবু লণ্ঠন-হাতে উত্তমকে অনুবর্ত্তী হইবার আদেশ দিয়া আর একবার খোঁজা জায়গাগুলি হয়ত খুঁজিয়া দেখিবেন। তারপর শুষ্কমুখে বাড়ী ফিরিয়া হতাশভাবে ইজিচেয়ারে শুইয়া পড়িবেন। আর রণেন্দ্র?— তিনি হয় ত দিব্য নিশ্চিন্ত-মুখে ফিলজফির পাতা উল্টাইয়া যাইবেন—তাঁহার নিরুদ্বেগ-মুখে এতটুকু চাঞ্চল্যের ছায়াও ফুটিবে না।

 রণেন্দ্রের এই কল্পিত নির্ম্মমতা স্মরণে অমিয়া মনে মনে যেন পীড়িত হইল। কল্পনার স্বপ্ন শীঘ্রই ভাঙ্গিয়া গেল। মনে হইল, সে যেন পায়ের তলায় শীতল জলের স্পর্শ অনুভব করিতেছে। নদীতে জল বাড়িতেছে নাকি? হয়ত তাই! সে শেষ-চেষ্টায় আর একবার মাটীর দেওয়ালে ফাটলের মধ্যে যে সকল আগাছা জন্মিয়াছিল, তাহাই ধরিয়া উপরে উঠিবার চেষ্টা করিল। অসম্ভব! মাটী ধরিতে গেলে ধস্ ভাঙ্গিয়া পড়ে। আল্‌গা মাটীর উপরকার ছোট ছোট শিকড়শুদ্ধ গাছগুলা উপাড়িয়া আসে, অন্ধকারে চোখে মুখে শুষ্ক মাটীর চাপ ঝরিয়া পড়ে, লাভের মধ্যে যন্ত্রণার সীমা থাকে না। মানুষের যতক্ষণ আশা থাকে, ততক্ষণ সে তৃণগাছিও অবলম্বনের চেষ্টা করে। কিন্তু আশা ফুরাইলে আর তাহার ভয় ভাবনা কিছুই থাকে না।

 অন্ধকারে পথহীন অচিন্ত্যনীয় বিপদের মুখে সে যখন পায়ের তলার শীতলস্পর্শ হাঁটুর কাছাকাছি আসিয়াছে অনুভব করিল, তখন এমন একটা শারীরিক ও মানসিক অবসাদ অনুভব করিল যে, ভয়ের হেতুটা নিকটাগত বুঝিতে পারিয়াও সে আর যেন ভীত হইল না। মনে হইল, এই চন্দ্রনক্ষত্রহীন নদী-বক্ষেই তাহার নিয়তি হয় ত তাহাকে আকর্ষণ করিয়া আনিয়াছে। তটাহত জলের কলধ্বনিতে সে যেন মরণেরই সুর শুনিতে পাইতেছিল। নদী তাহাকে আদর করিয়া ডাকিতেছিল, “আয় আয়।” জলস্থল শূন্য ব্যোম যেন স্তব্ধ হইয়া তাহারই পানে চাহিয়া ছিল। তাহাকে বিদায় দিবার জন্য কেহ কোথাও অপেক্ষা করিয়া নাই। অমিয়ার মনে পড়িল—মাসীমার কথা। মাসীমা যখন ফিরিয়া আসিয়া সব শুনিবেন, কি দারুণ দুঃখের ব্যথায় তাঁহার জীর্ণ অন্তর বিদীর্ণ হইয়া যাইবে। কলিকাতায় ইন্‌ফ্লুয়েঞ্জায় মরিলেই ত চুকিয়া যাইত? এমন সুস্থ-দেহে অকারণে জলে ডুবিয়া মরার চেয়ে সে যে সহস্রগুণে প্রার্থনীয় ছিল।

 মরণ নিকটাগত বুঝিয়া এইবার সে মনে মনে ভগবানের নাম স্মরণ করিতে লাগিল। আকাশে একটুখানি চাঁদ উঠিয়াছিল। ক্ষীণ ম্লান আলোকে অমিয়ার মনে হইল, দূরে নদীবক্ষে কি যেন একটা ভাসিয়া আসিতেছে। জেলেদের মাছ ধরিবার নৌকাও হইতে পারে। কিন্তু সে কেমন করিয়া নিজের অস্তিত্ব উহাদের কাছে জানাইবে? চীৎকার করিলে শুনা যাইবে কি? কি বলিয়া চেঁচাইবে? মনে করিল, চীৎকার করিয়া নৌকারোহীর মনোযোগ আকৃষ্ট করিবে, কিন্তু কণ্ঠ হইতে একটি শব্দও নির্গত হইল না। উপায় বুঝি করতলগত হইয়াও আবার ফিরিয়া যায়। হা ভগবান, শেষে কি সত্য সত্যই অপমৃত্যু লিখিয়াছিলে?

 কিছুক্ষণের জন্য সে যেন বাহ্যজ্ঞান শূন্য হইয়া গিয়াছিল। যখন হুঁস্ হইল, সে চাহিয়া দেখিল, একখানি ক্ষুদ্র জেলে-নৌকা তাহার অত্যন্ত নিকটে আসিয়া থামিয়াছে। নৌকারোহী মাঝিকে নৌকা ধরিবার হুকুম দিয়া জলের ভিতর নামিয়া দাঁড়াইয়াছে। ক্ষীণ চাঁদের আলোয় তাহার মুখ ভাল করিয়া দেখা যাইতেছিল না। অমিয়ার দৃষ্টির উপরেও কুয়াশার জাল বুনিয়া আসিতেছিল, তবু চাহিয়া সেই মুহূর্ত্তেই চিনিল—সে রণেন্দ্র। তাহার পর কি যে ঘটিল, কিছুই আর তাহার স্মরণ হয় না।

 ভাল করিয়া যখন জ্ঞান ফিরিয়া আসিল, সে অনুভব করিল, সে যেন কোথায় ভাসিয়া চলিয়াছে। চাহিয়া দেখিয়া বুঝিল, সে নৌকার উপর শয়ন করিয়া রহিয়াছে। বুড়া মাঝি তাহার মাথার কাছে বসিয়া ছিল—রণেন্দ্র হাল ধরিয়া আছে। অমিয়াকে উঠিয়া বসিতে দেখিয়া মাঝি আনন্দ প্রকাশ করিয়া কহিল—“ভাগ্যে আজ বাবুর ঝরণা দেখ্‌তে যাওয়ার সখ হয়েছিল, নৈলে ত আমরা এ পথে কক্ষণই আস্‌তাম না। কেউ-ই আস্‌ত না! নদীতে ঢল নেমেচে, আমরা এসে না পড়লে এতক্ষণ মাঠাক্‌রুণকে কোথায় ভাসিয়ে নিয়ে চলে যেত, আর কি খুঁজে পেতাম! আমি ত নৌকা ভিড়ুতেই চাইনি, বলি ওখানে কি আর এমন সময় মানুষ থাকে—থাকেন ত অপদেবতাই থাক্‌বেন। বাবু কেবল জোর করে নিয়ে এলেন।”

 চাঁদ তিন ভাগ উঠিয়াছিল। নদীজলে চাঁদের আলো শোভা বিস্তার করিতেছিল। পরপারে দূরে পাহাড়ের অস্পষ্ট দৃশ্য গাছপালা নদীতীর অন্ধকারে বিস্তীর্ণ উচ্চাবচ স্তূপের ন্যায় দেখাইতেছিল। অমিয়ার জামা কাপড় সমস্তই জলে ভিজিয়া গিয়াছিল, শীতে কাঁপিতে কাঁপিতে সে সেই অন্ধকারের দিকেই চাহিয়া রহিল। এই মাত্র যাঁহার দয়ার ঋণে সে বদ্ধ হইয়া মরণের দ্বারপ্রান্ত হইতে ফিরিয়া আসিয়াছে, ইচ্ছাসত্ত্বেও তাঁহাকে একটা কৃতজ্ঞতার বাণীও সে জানাইতে পারিল না। তাহার শোচনীয় দুরবস্থার সাক্ষী এই মানুষটির করুণার দৃষ্টি কল্পনা করিতেও তাহার শীতার্ত্ত হৃদয় যেন শীতে জমিয়া আসিতেছিল। তবু সেই লজ্জার দুঃখের অভ্যন্তরে সুখের একটি অতি ক্ষীণ আনন্দের ধারাও বুঝি মৃদুভাবে বহিতেছিল—রণেন্দ্রই তাহাকে মৃত্যুর মুখ হইতে বাঁচাইয়া আনিয়াছে। ইহাতে লজ্জা যতই থাক, সুখও বুঝি অনেকখানি ছিল। বিশ্লেষণ করিয়া সে ইহার গতি নিরুপণের চেষ্টা করিল না, শুধু মনের অত্যন্ত গোপন অংশে আনন্দের আভাস অনুভব করিতেছিল।

 নৌকা তীরে লাগিলে রণেন্দ্র লাফাইয়া নিজে নামিয়া, অমিয়ার সাহায্যের জন্য হাত বাড়াইয়া দিয়া যখন সহজভাবে কহিল—“জায়গাটা ভারী পিছল, হাত ধরুন, নৈলে পড়ে যাবেন” সে তখন যে হাতে পুরুষ-বিদ্রোহে কলম ধরিয়াছে, সেই হাতেই শত্রু-পক্ষীয়ের সাহায্য গ্রহণ করিতে দ্বিধা বোধ করিল না। মাঝি তাহাদের সঙ্গে বাড়ী পর্য্যন্ত আসিল। রণেন্দ্র তাহাকে বক্‌শিস্ দিয়া বিদায় করিল।

 মীনা এতক্ষণ অমিয়ার জন্য দুশ্চিন্তায় অস্থির হইয়া বাড়ীসুদ্ধ সকলকে বিব্রত করিয়া তুলিয়াছিল। নিরানন্দগৃহে আবার আনন্দের হাসি ফুটিল।