১৯০৫ সালে বাংলা/পুলিশের অত্যাচার
বহুসংখ্যক লাঠিধারী পুলিশ শূন্যহস্ত বালকদিগকে ঘিরিয়া যখন প্রহার করিতেছিল, তখন অগ্রগামী বা অনুসরণকারী কোন প্রতিনিধি জানিতে পারেন নাই যে, এণ্টীসাকুলার সােসাইটীর প্রতিনিধিদিগকে কেহ এমন করিয়া প্রহার করিতেছে। অনুসরণকারী প্রতিনিধিগণ যখন ফটক পার হইয়া রাজপথে গমন করিবার জন্য অগ্রসর হইলেন, তখন আর একদল পুলিশ তাঁহাদের উপর লাঠি চালাইয়া তাঁহাদিগকে বাটীর বাহির হইতে দিল না। পাছে তাঁহারা অগ্রসর হইয়া এণ্টিসাকুলার সোসাইটির প্রতিনিধিদিগকে সাহায্য করেন, সেই জন্য পথরােধ করিবার উদ্দেশ্যে তাহাদের উপর লাঠি চালাইতে লাগিল। ফটকের সম্মুখে কতকগুলি লণ্ঠন জ্বলিতেছিল, লাঠির আঘাতে সেগুলি ভাঙ্গিয়া গেল। তখন দেখা গেল বাবু কৃষ্ণকুমার মিত্র হাবেলির ভিতর হইতে বহির্গত হইলেন। পুলিশের লাঠি বর্ষণের ভিতর দিয়া রাজপথে আসিলেন। তাঁহার পশ্চাতে কৃষ্ণনগরের উকীল বাবু বেচারাম লাহিড়ী যেই ফটক পার হইয়াছেন, অমনি কাল কোর্তাওয়ালা একটা বাঙ্গালী কনেষ্টবল তাঁহাকে প্রহার করিল বেচারাম বাবু তাহা অগ্রাহ্য করিয়া অগ্রসর হইলেন। তখন কৃষ্ণবাবু সেই কনেষ্টবলটার গলা ধরিয়া টানিয়া আনিয়া মিঃ কেম্পের নিকট উপস্থিত করিলেন। কেম্প বলিলেন, “হাঁ আমি ইহাকে মারিতে দেখিয়াছি। আমি ইহাকে কয়েদ করিলাম।” প্রকাশ পাইল ইহার নাম শশিভূষণ দে।