ঋষি রবীন্দ্রনাথ/১৬
(১৬)
রবীন্দ্রনাথ ব্রহ্মজ্ঞ কি না, এই প্রশ্নটি আমরা গ্রহণ করিয়াছিলাম। রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত উপলব্ধি এবং শাস্ত্রবাক্য, প্রশ্নটির বিচারের জন্য ইহারই শুধু আশ্রয় আমরা এতাবৎ একান্তভাবে গ্রহণ করিয়াছি। কিন্তু কবি রবীন্দ্রনাথকে কিছুমাত্র গ্রহণ করি নাই। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের রচনাবলীকে আলোচ্যক্ষেত্রে কখনও প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করা হয় নাই।
রবীন্দ্রনাথ কি ব্রহ্মজ্ঞপুরুষ—এই প্রশ্নের বিচারে তাঁহার সাহিত্য সৃষ্টিকে প্রমাণরূপে উপস্থাপিত করা চলে কি না, ইহাই এখন আমাদের জিজ্ঞাস্য। আমরা মনে করি যে, আলোচ্য বিষয়ে রবীন্দ্র রচনাবলী হইতে প্রমাণ সংগ্রহ করা মোটেই অযৌক্তিক বা অসঙ্গত নহে।
রবীন্দ্রনাথকে বলা হয় ঋষিকবি, যেমন অতীতে জনককে বলা হইত রাজর্ষি। রাজকুলে যিনি ঋষি, তিনিই রাজর্ষি। তেমনি কবিকুলে যিনি ঋষি কিম্বা ঋষিকুলে যিনি কবি, তিনিই ঋষিকবি। যে কবি ঋষি হইয়াছেন, কিম্বা যে ঋষি কবি হইয়াছেন, ইহার যে কোন একটি অর্থই রবীন্দ্রনাথের ‘ঋষিকবি’ সংজ্ঞা সম্পর্কে গ্রহণ করা চলিতে পারে।
বস্তুত রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে ঋষি এবং কবি একই অর্থবাচক। উপনিষদে ঋষি অর্থে কবি শব্দের বহু প্রয়োগ রহিয়াছে দেখা যায়। রবীন্দ্রনাথের কবি-পরিচয় তাঁহার ঋষিপরিচয়েরই একটা দিক বা প্রকাশ বলিয়াই আমরা মনে করি। ঋষি বলিতে রবীন্দ্রনাথকে পাই—দ্রষ্টারূপে এবং কবি বলিতে সেই দ্রষ্টাকেই পাই—স্রষ্টারূপে। আর দ্রষ্টা এবং স্রষ্টা যে একেরই দুই রূপ, ইহা উপনিষদে স্বীকৃত।
রবীন্দ্রনাথের রচনা এবং কাব্য দার্শনিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছে এবং তাঁহারা সেখানে তত্ত্বের অনুসন্ধান করিয়াছেন দেখা যায়। রবীন্দ্র রচনাবলীর মধ্যে নিছক সাহিত্য-সৃষ্টি বা কাব্য-সৃষ্টি ছাড়া নিশ্চয় এমন কিছু রহিয়াছে, যাহা দার্শনিকদেরও উপজীব্য। পূর্বেই উল্লেখ করা হইয়াছে যে, বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক ডাঃ রাধাকৃষ্ণণ ‘রবীন্দ্রদর্শন’ সম্বন্ধেই স্বতন্ত্র পুস্তক রচনা করিয়াছেন। মনীষী দার্শনিক ডাঃ সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তও রবীন্দ্রদর্শন সম্পর্কে আলোচনা করিয়াছেন এবং আরও অনেকেই করিয়াছেন। ইহা সম্ভবপর হইয়াছে এই কারণে যে, রবীন্দ্রনাথকে শুধু ‘কবি’ বলিয়া তাঁহারা কেহই গ্রহণ করিতে পারেন নাই, তাঁহাকে দার্শনিক বলিয়াও গ্রহণে তাঁহারা বাধ্য হইয়াছেন।
কেহ তাঁহার গবেষণায় দেখাইয়াছেন যে, উপনিষদ এবং বেদান্তই রবীন্দ্রদর্শনের উৎস।
কেহ বা বলিয়াছেন যে, রবীন্দ্রদর্শনে বৈষ্ণবধর্মেরই প্রভূত প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
এমন কথাও অনেকে বলিয়াছেন যে, রবীন্দ্রদর্শনে বা রচনায় খীষ্টধর্মের প্রভাব রহিয়াছে।
বৌদ্ধদর্শন বা কাহিনীর প্রভাবও কেহ কেহ রবীন্দ্র রচনা তথা দর্শনে দেখিয়াছেন।
সহজিয়া এবং বাউল সম্প্রদায়ের প্রভাব রবীন্দ্রদর্শনে অত্যন্ত স্পষ্ট, ইহাও অনেকে বলিয়াছেন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ নিজেও বাউলদের গান সম্বন্ধে নিজের অনুরাগ এবং আকর্ষণের কথা বলিয়াছেন।
কবীর, দাদু প্রমুখ মধ্যযুগীয় সন্তদের প্রভাবও রবীন্দ্রদর্শনে অনেকে আবিষ্কার করিয়াছেন।
কেহ রবীন্দ্রনাথকে অদ্বৈতবাদী শঙ্করপন্থী বলিয়াছেন, আবার অপরে তাঁহাকে বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী বলিয়াছেন।
রবীন্দ্র-রচনাবলীর ভিত্তিতেই রবীন্দ্রদর্শন এবং পূর্বোক্ত বিভিন্ন অভিমত সৃষ্ট হইয়াছে, বলা বাহুল্য। রবীন্দ্রনাথের কবিতা শুধু কবিতা নয়, তাহার চাইতেও একটু বেশী, অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের ‘কবি পরিচয়’ একান্তভাবে কবিতেই সীমাবদ্ধ নহে, অন্তত এই কবি যে একজন ‘দার্শনিক’—ইহাই মনীষিগণের পূর্বোক্ত রচনা ও অভিমতসমূহে হইতে প্রমাণিত হইয়া থাকে।
এখানে দেখা গেল যে, কবির কাব্যকে দর্শনেরই বিচার্য বিষয়রূপে গ্রহণ করা হইয়াছে। কবির মধ্যে অর্থাৎ কবির রচনায় একজন দার্শনিকই আত্মপ্রকাশ করিয়াছেন, ইহাই এতদ্বারা প্রমাণিত হয়। আর এখানেই আমাদের বক্তব্য যে, রবীন্দ্রনাথ ‘দার্শনিক’ নহেন, তিনি হইলেন—‘দ্রষ্টা’।
এখন আমাদের জিজ্ঞাস্য যে, রবীন্দ্রনাথ দার্শনিক, ইহা প্রমাণ করিবার জন্য যদি তাঁহার রচনাবলীকে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করা যাইতে পারে, তবে রবীন্দ্রনাথ দ্রষ্টা, রবীন্দ্রনাথ ব্রহ্মজ্ঞ ঋষি, এই কথা প্রমাণের জন্য তাঁহার রচনাবলীর সাহায্য কেন লওয়া যাইবে না? আমাদের বিচার্য বিষয়ে আমরা যদি রবীন্দ্র রচনাবলী হইতে সাক্ষ্য, প্রমাণ ইত্যাদি উদ্ধৃত করি, তাহা আদৌ অযৌক্তিক বা অসঙ্গত বলিয়া কদাচ বিবেচিত হইতে পারে কি?
রবীন্দ্রনাথের প্রথম আধ্যাত্মিক উপলব্ধিটির বিশ্লেষণ করিতে গিয়া আমরা পূর্বেই দেখিয়াছি যে, উক্ত উপলব্ধিটি তাঁহার কবি-জীবনে কি গভীর প্রভাব বিস্তার করিয়াছে। রবীন্দ্রনাথের সমগ্র সাহিত্য সাধনা ও সৃষ্টিরই মূলে থাকিয়া এই প্রভাবটি সক্রিয় রহিয়াছে, ইহাই সেখানে দেখানো হইয়াছে। সেই প্রসঙ্গেই আমরা রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সৃষ্টিতে ‘জীবনদেবতা’র উল্লেখ করিয়াছিলাম।
রবীন্দ্রনাথ ব্রহ্মজ্ঞ, ইহা প্রমাণ করিবার জন্য আমরা রবীন্দ্র-রচনাবলীর আদৌ কোন সাহায্য গ্রহণ করিব কি না, ইহা অবশ্য স্বতন্ত্র কথা। আমাদের জিজ্ঞাস্য শুধু এই—বিচার্য বিষয়ে রবীন্দ্র-রচনাবলীকে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করা চলে কি না? আমরা যতটকু আলোচনা করিয়াছি, তাহাতে এই অভিমতই অভিব্যক্ত হইয়াছে, হাঁ, এই বিষয়ে তাঁহার রচনাবলী প্রমাণ ও সাক্ষ্য হিসাবে উপস্থাপিত করা চলে এবং উচিতও।
নিজের সাহিত্য-সাধনা এবং সৃষ্টিকে রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং কি দৃষ্টিতে দেখিয়া থাকেন, সে আলোচনা এই প্রসঙ্গে স্বভাবতই আসিয়া পড়িবে। এই বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের নিজস্ব অভিমতেরই গুরুত্ব সর্বাধিক। কাজেই, তাঁহার ঋষি চরিত্রের উপর তাঁহার কাব্যসৃষ্টি কতটা আলোকপাত করে জানিতে হইলে নিজের সৃষ্টিকে ঋষিকবি কি দৃষ্টিতে দেখিয়া থাকেন, সে আলোচনা অপরিহার্য।
অতঃপর সংক্ষেপে সে আলোচনাই করা যাইতেছে। ইহার পরে ‘রবীন্দ্রনাথ ব্রহ্মজ্ঞ’—ইহা প্রমাণের জন্য রবীন্দ্র রচনাবলী হইতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হইবে কি না, সে সম্বন্ধে মনঃস্থির করার সুযোগ আমরা যথাসময়ে পাইব।
রবীন্দ্রনাথের ‘আমার ধর্ম’ নামক একটি প্রবন্ধ ‘সবুজপত্র’ নামক মাসিক পত্রে প্রকাশিত হইয়াছিল। ‘শান্তিনিকেতন’ (দুই খণ্ড) নামক গ্রন্থকে বলা হয় উপনিষদের রবীন্দ্র-ভাষ্য এবং বিশেষভাবে এই গ্রন্থের ভিত্তিতেই রবীন্দ্রনাথকে বলা হয় এ যুগে উপনিষদের শ্রেষ্ঠতম ভাষ্যকার। কিন্তু নিজের ‘ধর্ম’ ব্যাখ্যায় বা পরিচয়ে রবীন্দ্রনাথ এই ‘শান্তিনিকেতন’-কেও বাতিল করিয়া এই কয়টি কথা বলিয়াছেন—
“কিন্তু যেখানে আমি স্পষ্টত ধর্মব্যাখ্যা করেছি, সেখানে আমি নিজের অন্তরতম কথা না বলতেও পারি—সেখানে বাইরের শোনা কথা নিয়ে ব্যবহার করা অসম্ভব নয়। সাহিত্যরচনায় লেখকের প্রকৃতি নিজের অগোচরে নিজের পরিচয় দেয়—সেটা তাই অপেক্ষাকৃত বিশুদ্ধ।”
সাহিত্য রচনায় লেখকের প্রকৃতি নিজের অগোচরে প্রকাশিত হয়, ইহাই রবীন্দ্রনাথের নিশ্চিত অভিমত। অন্তত তাঁহার নিজের রচনায় তাঁহার আপন প্রকৃতিই অজ্ঞাতসারে আত্মপ্রকাশ করিয়াছে, ইহাই রবীন্দ্রনাথ বলিতে চাহিয়াছেন।
তাঁহার সাহিত্য সৃষ্টিতে তাঁহার ‘অন্তরতম’ কথা বা চরিত্রটি ব্যক্ত হইয়াছে, ইহাই রবীন্দ্রনাথ মনে করেন। কাজেই, নিজের সাহিত্যকেই তিনি নিজের ‘ধর্ম’ সম্বন্ধে বিশুদ্ধ সাক্ষ্য বলিয়া ‘আমার ধর্ম’ প্রবন্ধে গ্রহণ করিয়াছেন।
সত্তর বৎসর বয়স পূর্তিতে রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসবে তাঁহার ‘প্রতিভাষণে’ তিনি যাহা বলিয়াছেন, তাহা হইতে পূর্বে কিছুটা উদ্ধৃত হইয়াছে। আলোচ্য ক্ষেত্রেও সেই উদ্ধৃতিটকুর পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন মনে হইতেছে। তিনি সেখানে নিজের রচনা সম্বন্ধে এই অভিমত প্রকাশ বা এই দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করিয়াছেন—
“অনেকদিন থেকেই লিখে আসছি, জীবনের নানা পর্বে নানা অবস্থায়। শুরু করেচি কাঁচা বয়সে—তখনো নিজেকে বুঝিনি। তাই আমার লেখার মধ্যে বাহুল্য এবং বর্জনীয় জিনিস ভুরি ভুরি আছে তাতে সন্দেহ নেই। এ সমস্ত আবর্জনা বাদ দিয়ে বাকি যা থাকে আশা করি তার মধ্যে ঘোষণাটি স্পষ্ট যে, আমি ভালোবেসেছি এই জগৎকে, আমি প্রণাম করেছি মহৎকে, আমি কামনা করেছি মুক্তিকে, যে-মুক্তি পরমপুরুষের কাছে আত্মনিবেদনে, আমি বিশ্বাস করেছি মানুষের সত্য মহামানবের মধ্যে, যিনি সদা জনানাং হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট॥”
রবীন্দ্রনাথ নিজের সাহিত্য-সৃষ্টিকে স্বয়ং কি মনে করেন, সে প্রশ্নের উত্তর উদ্ধৃতিটুকুতে অতি স্পষ্ট। তিনি জগৎকে ভালোবাসেন, তিনি মুক্তিকামী যে-মুক্তি পরমপুরুষের মধ্যে আত্মনিবেদনে, যিনি সদা ‘জনানাং হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট’ তিনি তাঁহারও হৃদয়ে স্থিত ইত্যাদি ঘোষণাই তাঁহার সাহিত্য-সাধনায় ও সৃষ্টিতে তিনি করিতে চাহিয়াছেন। অর্থাৎ, রবীন্দ্রনাথের অভিমতে তাঁহার সাহিত্য আর কিছুই নহে তাহা এক মুক্তিকামী পুরুষের ব্রহ্মসাধনারই পরিচয় মাত্র।
এই জন্যই অন্যত্র তিনি বলিয়াছেন, “অতি অল্প বয়স থেকে স্বভাবতই আমার লেখার ধারা আমার জীবনের ধারার সঙ্গে সঙ্গেই অবিচ্ছিন্ন এগিয়ে চলেছে॥”
কবি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যজীবন এবং মানুষ রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত জীবন দুটি স্বতন্ত্র ধারা হইলেও তাহা অবিচ্ছিন্ন এবং যুক্তভাবেই প্রবাহিত, ইহাই রবীন্দ্রনাথ বলিতে চাহিয়াছেন। ইহার অর্থ, তাঁহার সাহিত্য সৃষ্টিকেই তিনি, আপনার সত্যিকার জীবনচরিত্র বলিয়া মনে করেন। সোজা ভাষায়—রবীন্দ্র-সাহিত্য রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত চরিত্রেরই ফটো।
নিশ্চয় একটা আপত্তি উঠিতে পারে যে, কবি বা লেখকের রচনাকে তাঁহাদের আত্মজীবনী বলিয়া কখনো গ্রহণ করা চলে না, যেমন ডাক্তারের চিকিৎসা ব্যবসা তাহার ব্যক্তিগত জীবন চরিত্র নহে। রবীন্দ্রনাথ আশ্চর্য কবি-প্রতিভা এবং সৃজনশক্তি লইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তাঁহার সাহিত্যসৃষ্টি সেই শক্তিরই দান বা প্রকাশ, ইহার সঙ্গে তাঁহার আধ্যাত্মিক সাধনা বা সিদ্ধির কোন যোগ থাকিতে পারে না। কেহ ডাক্তার, কেহ উকীল, কেহ শিক্ষক, কেহ ব্যবসায়ী, তেমনি রবীন্দ্রনাথও কবি এবং কাব্যসৃষ্টি তাঁহার কর্মমাত্র। অপর দশজনের কর্মকে যে চোখে আমরা দেখি, রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্মকেও সেই দৃষ্টিতেই দেখা কর্তব্য। তাঁহার সাহিত্যের গুণাগুণ বিচার সে ক্ষেত্রে নিতান্ত অপ্রাসঙ্গিক।
এ আপত্তি একেবারে অযৌক্তিক বলা চলে না এবং আপত্তিটিকে স্বীকার করিয়া লওয়া যাইতেছে।
সংসারে সকলেই নিজ নিজ শক্তি ও ভাগ্যনির্দিষ্ট কর্মে নিযুক্ত, রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য-সৃষ্টিও তেমনি কর্ম। জেলের মাছ ধরা, চাষার চাষ করা, মুটের বোঝাবওয়া, কেরাণীর কলম-পেষা ইত্যাদির মত রবীন্দ্রনাথের কবিতা লেখা এবং সাহিত্য রচনাও একটি কর্মমাত্র। আর সে কর্ম জগতের কর্মসংজ্ঞায় বা কর্মসভায় সব কর্মেরই সমগোত্র ও সমপংক্তি—ইহা মানিয়া লইতে আমাদেরও আপত্তি নাই। ইহা মানিয়া লইয়াই রবীন্দ্রনাথের কর্ম অর্থাৎ তাঁহার সাহিত্যকর্ম ও রচনাবলীকে বিচার করা যাইতেছে।