কবিতাকুসুমাঞ্জলি/ঈশ্বরপরায়ণের ব্যাকুলতা
(পৃ. ৩৭-৩৮)
ঈশ্বরপরায়ণের ব্যাকুলতা।
কোথা প্রিয়তম! তুমি জীবনের ধন হে,
না হেরে তোমারে বুঝি, যায় এ জীবন হে।
অকুল পাথরে পড়ে হতেছি আকুল হে,
ব্যাকুল-বচনে ডাকি হও অনুকূল হে।
অন্ধকারে মরি আমি অন্ধের মতন হে,
তমো রাশি নাশ নাথ! দিয়া দরশন হে।
তোমার বিরহানলে জ্বলিছে জীবন হে,
নিভাও বরষি নাথ! করুণা-জীবন হে।
অন্তরে না সহে আর বিরহ তোমার হে,
পলকে প্রলয় জ্ঞান হতেছে আমার হে।
নাহি চাই ধন রত্ন হীরক কাঞ্চন হে,
নাহি চাই হয় হস্তী শোভন ভবন হে।
নাহি চাই উচ্চপদ তুচ্ছ ভাবি তায় হে,
অন্য কোন প্রিয়ধনে মন নাহি যায় হে।
কেবল তোমার কাছে এই ভিক্ষা চাই হে,
অন্তরে তোমারে যেন দেখিবারে পাই হে।
অন্তরের ধন তুমি জান ত অন্তর হে,
দেখা দিয়া দুখ হর হয়েছি কাতর হে।
না পেয়ে তোমারে নাথ। আর কত দিন হে
দুঃসহ বিরহ দুখ সহিবে এ দীন হে।