ধূলিরাশি/ভগিনীর প্রতি

ভগিনীর প্রতি।-জন্মদিন উপলক্ষে।

(কঠিন পড়ার পর আরোগ্যলাভ করিলে।)

আবার আবার ওই কালের সাগরে,
 মিশে গেল একটি বরষ।
ধীরে ধীরে তারকিত পাখা দুটি তুলে,
 এল তব জনম দিবস।

অসীম দয়াতে তার, প্রাণের ভগিনি,
 সুখদিন আসিয়াছে ফিরে।
নমি তাই দয়াময় চরণ উদ্দেশে,
 বার বার কৃতজ্ঞ অন্তরে॥


কা’র আশা ছিল ভাই, আজিকে তোমারে,
 ল’য়ে পুনঃ আমোদে মাতিব?
ভেবেছিনু এ রতন আমাদের নয়,
 ধরণীতে আর না পাইব॥

কত মাস ছিলে শুয়ে যাতনা-শয্যায়,
 মূর্ত্তিমতী সহিষ্ণুতা যেন।
দারুণ যাতনা কত স’য়েছ নীরবে,
 আঁখি-জলে ভাসিত নয়ন॥

ঘোর যাতনার ছায়া সরল আননে,
 দেখিতাম নীরবে বসিয়ে।
নিশার আঁধার ভেদি চির দয়াময়ে,
 কত বার ডাকিতে কাঁদিয়ে॥

আঁধার রজনী, যবে জগত ঘুমায়,
 নিবু নিবু দীপের আলোকে।
দেখেছি ও আঁখি দুটি স্বর্গপানে চেয়ে,
 নীরবেতে পরমেশে ডাকে॥


কহিতাম, “যীশু, তব ইচ্ছামত হ’ক,
 প্রাণ খানি আকুলতাময়।
“মিশে যাক্‌ ইচ্ছা মম তব ইচ্ছা সাথে,
 চিরাশ্রয়, চির দয়াময়॥”

তা’র(ই) ইচ্ছামত তিনি দিয়াছেন ফিরে,
 নিবু নিবু প্রাণ এক খানি।
তাঁহার(ই) কৃপায় আজি পেয়েছি তোমারে,
 স্নেহময় প্রাণের ভগিনি॥

যীশুর কৃপায় আজি সাজা’ব তোমারে,
 ভগিনীর স্নেহের প্রসূনে।
পিতার আশিস্ আজি করিবে উজল,
 ক্লেশ-শুষ্ক মলিন আননে॥

রাখি পিতঃ, ও চরণে ভগিনী আমার,
 আর যেন মলিন না হয়।
নীরবে নীরবে এই জীবনের স্রোত,
 আজ হ’তে যেন বহে যায়॥