নীতিকণা/অপহরণ
অপহরণ
শুন ওহে শিশুমতি, চুরি করা পাপ অতি,
না বলে, পরের ধন কোরো না গ্রহণ।
যদি কারো দ্রব্য লও, কিন্তু তারে নাহি কও,
তা হ’লে তোমায় চোর ক’বে সর্ব্বজন।
হস্ত আর পদ ধর, যত্ন পরিশ্রম কর,
সু-পথে থাকিয়া কাল করহ হরণ।
চুরি করিবার তরে, নাহি ধর পদ করে,
দেখনি চোরের হয় বিপদ কেমন।
যে জন লাভের তরে, অপরের ধন হরে,
সে নিজে কুঠার মারে আপনার পায়।
চুরি ক’রে পায় যাহা, নিশ্চিত জানিও তাহা,
নিঃশেষিত হয় লজ্জা, দুঃখ, যন্ত্রণায়।
আগে লোকে চুরি করে, এটি ওটি সেটি ক’রে,
ক্রমে ক্রমে, মহাপাপী হ’য়ে উঠে পরে।
সদা কাল হরে ত্রাসে, বদ্ধ থাকে কারাবাসে,
নানামত দুঃখ পেয়ে প্রাণত্যাগ করে।
“যদি না ধরিতে পারে, তা হইলে কে আমারে,
প্রহার করিবে, কিম্বা দিবে কারাগারে”।
দেখিও, কদাচ যেন, ভেবো না ভেবো না হেন,
কিছুতেই অব্যাহতি পাবে না সংসারে।
মনে জেনে কোন পাপ, কোরো না পাইবে তাপ,
গোপনে করিলে, পাপ ছাপা নাহি র’বে।
মানুষে না দেখে যাহা, ঈশ্বর দেখেন তাহা,
পাতকীর অব্যাহতি কিসে বল তবে?