বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র/আজাদ হিন্দ ফৌজের আত্মসমর্পণ
(পৃ. ১২৫)
আজাদ হিন্দ ফৌজের আত্মসমর্পণ
সুভাষচন্দ্র রেঙ্গুন পরিত্যাগ করিবার পরে আজাদ হিন্দ ফৌজের তিনজন প্রধান সেনানী কিছুদিন আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ করিয়াছিলেন। কিন্তু প্রচণ্ড মিত্র শক্তির নিকটে শীঘ্রই তাঁহারা পরাভূত হইলেন। ১৯৪৫ সালের ২৮শে এপ্রেল লেঃ কর্ণেল সেহগল আত্মসমর্পণ করিতে বাধ্য হন। ১৪ই মে কর্ণেল ধীলন এবং ১৮ই মে মেজর জেনারেল শাহ-নওয়াজ মিত্রসৈন্য কর্ত্তৃক বন্দী হন।
ঝাঁসীর রাণী বাহিনীর ৬০ জন বীরাঙ্গনা ও অল্পসংখ্যক সৈনিক লইয়া সুভাষচন্দ্র ব্যাঙ্ককে উপস্থিত হন এবং সেই স্থানেই আজাদ হিন্দ ফৌজের হেড কোয়ার্টার স্থাপিত হয়। কিন্তু ব্রহ্মের পতন হইলে মিত্রপক্ষের নির্দ্দেশ অনুসারে তাঁহারাও আত্মসমর্পণ করিতে বাধ্য হন। ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর স্বাধীনতা সংগ্রামে এইরূপে যবনিকাপাত হইয়াছিল।