বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র/কারামুক্তি
কারা মুক্তি ও ইউরোপ যাত্রা
১৯৩৬ সালের ডিসেম্বর মাসে পুনরায় সুভাষ বাবুর স্বাস্থ্যভঙ্গ হয়। এবং ১৯৩৭ সালের মার্চ্চ মাসে ব্রিটীশ গভর্ণমেণ্ট তাঁহাকে মুক্তিদান করেন। তাঁহার মুক্তিতে সমগ্র দেশে আনন্দের স্রোত প্রবাহিত হয়। তাঁহার স্বদেশবাসিগণ শ্রদ্ধানন্দ পার্কে এক মহতী সভার আয়োজন করিয়া এই জনপ্রিয় নেতার প্রতি তাহাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।
মুক্তিলাভের পর কলিকাতায় আসিয়া তিনি প্রথমতঃ ডাক্তার নীলরতন সরকারের চিকিৎসাধীনে থাকেন। ২৫শে এপ্রেল স্বাস্থ্যলাভের জন্য তিনি পাঞ্জাবের ডালহৌসি সহরে গমন করেন। পাঁচ মাস কাল তথায় অবস্থান করিবার পর তাঁহার স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি হয়। তথাপি ডাক্তারের পরামর্শানুসারে পূর্ণ স্বাস্থ্যলাভ করিবার জন্য তিনি কলিকাতা হইতে কার্সিয়ং যাত্রা করেন এবং এক পক্ষকাল তথায় অবস্থানের পর তিনি কলিকাতায় আসেন। ১৯৩৭ সালের ১৬ই নভেম্বর তারিখে স্বাস্থ্যলাভের আশায় সুভাষচন্দ্র বিমানযোগে ইউরোপ যাত্রা করেন। তিনি ৬ সপ্তাহ কাল অষ্ট্রীয়ায় থাকিয়া সুচিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসিত হন। পরে তথা হইতে ইংলণ্ডে গমন করেন। লণ্ডনে পৌঁছিলে তাঁহাকে বিপুলভাবে সম্বর্দ্ধিত করা হয়। লণ্ডনে অবস্থান কালে মিষ্টার বসু অয়ার্ল্যাণ্ডের প্রসিদ্ধ নেতা মিষ্টার ডি ভ্যালোরার সহিত সাক্ষাৎ করেন।