বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র/ভারতে প্রত্যাবর্ত্তন
ভারতে প্রত্যাবর্ত্তন।
১৯৩৬ খৃষ্টাব্দের মার্চ্চ মাসে সুভাষবাবু স্বদেশে প্রত্যাবর্ত্তন করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ভারতে আসিয়া কংগ্রেসের লক্ষ্ণৌ অধিবেশনে যোগদান করিবেন ইহাই তাঁহার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু এই সংকল্প কার্য্যে পরিণত করিবার পূর্ব্বেই তিনি ভিয়েনার ব্রিটিশ কন্সালের নিকট হইতে এই মর্ম্মে একখানি পত্র পাইলেন যে তিনি ভারতে ফিরিয়া স্বাধীন জীবন যাপন করিতে সমর্থ হইবেন এমৎ সম্ভাবনা নাই। ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের এই ভীতি প্রদর্শনে সুভাষচন্দ্র বিন্দুমাত্র সংকল্পচ্যুত হইলেন না। তিনি নির্দ্ধারিত সময়ে ভিয়েনা পরিত্যাগ করিলেন এবং ১৯৩৬ খৃষ্টাব্দের ৮ই এপ্রিল বোম্বাই বন্দরে আসিয়া পৌঁছিলেন। বন্দরে উপস্থিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে ১৯১৮ সালের ৩নং রেগুলেশন অনুসারে পুনরায় তাঁহাকে গ্রেপ্তার করা হইল এবং যারবেদা জেলে অবরূদ্ধ করা হইল। ভারতের বিভিন্ন কারাগারে কিছুদিন রাখিবার পর তাঁহাকে শরৎবাবুর কার্সিয়ংস্থিত বাটীতে অন্তরীণ করা হয়। তাঁহাকে এইরূপ অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করাতে দেশমধ্যে প্রবল আন্দোলনের সৃষ্টি হইল। ১০ই মে “নিখিলভারত সুভাষদিবস” উপলক্ষে ভারতের সর্ব্বত্র ইহার প্রতিবাদ-কল্পে সভা সমিতি হইল।