মহাভারত (রাজশেখর বসু)/উদ্‌যোগপর্ব/যানসন্ধিপর্বাধ্যায়

॥ যানসন্ধিপর্বাধ্যায়॥

৯। কৌরবসভায় বাদানুবাদ

 ধৃতরাষ্ট্র সমস্ত রাত্রি বিদুর ও সনৎসুজাতের সঙ্গে আলাপে যাপন করলেন। পরদিন তিনি রাজসভায় উপস্থিত হয়ে ভীষ্ম দ্রোণ দুর্যোধন কর্ণ প্রভৃতির সঙ্গে মিলিত হলেন। সকলে আসন গ্রহণ করলে সঞ্জয় তাঁর দৌত্যের বৃত্তান্ত সবিস্তারে নিবেদন করলেন।

 ভীষ্ম বললেন, আমি শুনেছি দেবগণেরও পূর্বতন নর-নারায়ণ ঋষিদ্বয় অর্জুন ও কৃষ্ণ রূপে জন্মগ্রহণ করেছেন, এঁরা সুরাসরেরও অজেয়। বৎস দুর্যোধন, ধর্ম ও অর্থ থেকে তোমার বুদ্ধি চ্যুত হয়েছে, যদি আমার বাক্য গ্রাহ্য না কর তবে বহুলোকের মৃত্যু হবে। কেবল তুমিই তিনজনের মতে চল—নিকৃষ্টজাতীয় সূত্রপত্র কর্ণ যাঁকে পরশুরাম অভিশাপ দিয়েছিলেন, সুবলপুত্র শকুনি, এবং ক্ষুদ্রাশয় পাপবুদ্ধি দুঃশাসন।

 কর্ণ বললেন, পিতামহ, আমি ক্ষত্রধর্ম পালন করি, ধর্ম থেকে ভ্রষ্ট হই নি, আমার কি দুষ্কর্ম দেখেছেন যে নিন্দা করছেন? আমি সকল পাণ্ডবকে যুদ্ধে বধ করব। যাদের সঙ্গে পূর্বে বিরোধ হয়েছে তাদের সঙ্গে আর সন্ধি হ’তে পারে না। ভীষ্ম ধৃতরাষ্ট্রকে বললেন, এই দুর্মতি সূতপুত্রের জন্যই তোমার দুরাত্মা পুত্ররা বিপদে পড়বে। বিরাটনগরে যখন এঁর ভ্রাতা অর্জুনের হস্তে নিহত হয়েছিলেন, তখন কর্ণ কি করছিলেন? কৌরবগণকে পরাভূত ক’রে অর্জুন যখন তাঁদের বস্ত্র হরণ করেছিলেন তখন কর্ণ কি বিদেশে ছিলেন? ঘোষযাত্রায় গন্ধর্বরা যখন তোমার পুত্রকে হরণ করেছিল তখন কর্ণ কোথায় ছিলেন? এখন ইনি বৃষের ন্যায় আস্ফালন করছেন!

 মহামতি দ্রোণ বললেন, মহারাজ, ভীষ্ম যা বলবেন আপনি তাই করুন, গর্বিত লোকের কথা শুনবেন না। যুদ্ধের পূর্বেই পাণ্ডবদের সঙ্গে সন্ধি করা ভাল মনে করি, কারণ অর্জনের তুল্য ধনুর্ধর ত্রিলোকে নেই। ভীষ্ম ও দ্রোণের কথায় ধৃতরাষ্ট্র মন দিলেন না, তাঁদের সঙ্গে কথাও বললেন না, কেবল সঞ্জয়কে প্রশ্ন করতে লাগলেন।

 ধতরাষ্ট্র বললেন, সঞ্জয়, আমাদের বহু সৈন্য সমবেত হয়েছে শুনে যুধিষ্ঠির কি বললেন? কাঁরা তাঁর আজ্ঞার অপেক্ষা করছেন? কাঁরা তাঁকে যুদ্ধ থেকে নিরস্ত হ’তে বলছেন? সঞ্জয় বললেন, যুধিষ্ঠিরের ভ্রাতারা এবং পাঞ্চাল কেকয় ও মৎস্যগণ, গোপাল ও মেষপালগণ, সকলেই যুধিষ্ঠিরের আজ্ঞাবহ। সঞ্জয় দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ ক’রে যেন চিন্তা করতে লাগলেন এবং সহসা মূর্ছিত হলেন। বিদুরের মুখে সঞ্জয়ের অবস্থা শুনে ধৃতরাষ্ট্র বললেন, পাণ্ডবরা এঁকে উদ্‌বিগ্ন করেছেন।

 কিছুক্ষণ পরে সুস্থ হয়ে সঞ্জয় বললেন, মহারাজ যুধিষ্ঠিরের মহাবল ভ্রাতারা, মহাতেজা দ্রুপদ, তাঁর পুত্র ধৃষ্টদ্যুম্ন, শিখণ্ডী যিনি পূর্বজন্মে কাশীরাজের কন্যা ছিলেন এবং ভীষ্মের বধকামনায় তপস্যা করে দ্রুপদের কন্যারূপে জন্মগ্রহণ ক’রে পরে পুরুষ হয়েছেন[], কেকয়রাজের পঞ্চ পুত্র, বৃষ্ণিবংশীয় মহাবীর সাত্যকি, কাশীরাজ, দ্রৌপদীর পঞ্চ পুত্র, কৃষ্ণতুল্য বলবান অভিমন্যু, শিশুপালপুত্র ধৃষ্টকেতু, তাঁর ভ্রাতা শরভ, জরাসন্ধপুত্র সহদেব ও জয়ৎসেন, এবং স্বয়ং বাসুদেব—এঁরাই যুধিষ্ঠিরের সহায়।

 ধৃতরাষ্ট্র বললেন, আমি ভীমকে সর্বাপেক্ষা ভয় করি, সে ক্ষমা করে না, শত্রুকে ভোলে না, পরিহাসকালেও হাসে না, বক্রভাবে দৃষ্টিপাত করে। উদ্ধতস্বভাব বহুভোজী অস্পষ্টভাষী পিঙ্গলনয়ন ভীম গদাঘাতে আমার পুত্রদেব বধ করবে। পাণ্ডবরা জয়ী হবে জেনেও আমি পুত্রদের বারণ করতে পারছি না, কারণ মানুষের ভাগ্যই বলবান। পাণ্ডবগণ যেমন ভীষ্মের পৌত্র এবং দ্রোণ-কৃপের শিষ্য, আমার পুত্রগণও তেমন। ভীষ্ম দ্রোণ ও কৃপ এই তিন বৃদ্ধ আমার আশ্রয়ে আছেন, এঁরা সজ্জন, যা কিছু এঁদের দান করেছি তার প্রতিদান এঁরা নিশ্চয় করবেন। এঁরা আমার পুত্রের পক্ষে থাকবেন এবং যুদ্ধশেষ পর্যন্ত সৈন্যগণের অগ্রণী হবেন। কিন্তু দ্রোণ ও কর্ণ অর্জুনের বিপক্ষে দাঁড়ালেও জয় সম্বন্ধে আমার সংশয় রয়েছে, কারণ কর্ণ ক্ষমাশীল ও অসতর্ক এবং দ্রোণাচার্য স্থবির ও অর্জুনের গুরু। শুনেছি তিন তেজ একই রথে মিলিত হবে—কৃষ্ণ, অর্জুন ও গাণ্ডীব ধনু। আমাদের তেমন সারথি নেই, যোদ্ধা নেই, ধনও নেই। কৌরবগণ, যুদ্ধ করা আমি ভাল মনে করি না। আপনারা ভেবে দেখুন, যদি আপনাদের মত হয় তবে আমি শান্তির চেষ্টা করব।

 সঞ্জয় বললেন, মহারাজ, আপনি ধীরবুদ্ধি, অর্জুনের পরাক্রমও জানেন, তথাপি কেন পুত্রদের বশে চলেন জানি না। দ্যূতসভায় পাণ্ডবদের প্রতিবার পরাজয় শুনে আপনি বালকের ন্যায় হেসেছিলেন। তাঁদের যে কটুবাক্য বলা হয়েছিল তা আপনি উপেক্ষা করেছিলেন। তাঁরা যখন বনে যান তখনও আপনি বার বার হেসেছিলেন। এখন আপনি অসহায়ের ন্যায় বৃথা বিলাপ করছেন। ভীমার্জুন যাঁর পক্ষে যুদ্ধ করবেন তিনিই নিখিল বসুধার রাজা হবেন। এখন আপনার দুরাত্মা পুত্র ও তার অনুগামীদের সর্ব উপায়ে নিবৃত্ত করুন।

 দুর্যোধন বললেন, মহারাজ, ভয় পাবেন না। পাণ্ডবরা বনে গেলে কৃষ্ণ, কেকয়গণ, ধষ্টকেতু, ধৃষ্টদ্যুম্ন ও বহু রাজা সসৈন্যে ইন্দ্রপ্রস্থের নিকটে এসে আমাদের নিন্দা করেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, পাণ্ডবদের উচিত কৌরবদের উচ্ছেদ ক’রে পুনর্বার রাজ্য অধিকার করা। গুপ্তচরের মুখে এই সংবাদ পেয়ে আমার ধারণা হয় যে পাণ্ডবরা তাঁদের বনবাসের প্রতিজ্ঞা পালন করবেন না, যুদ্ধে আমাদের পরাস্ত করবেন। সেই সময়ে আমাদের মিত্র ও প্রজারা সকলেই ক্রুদ্ধ হয়ে আমাদের ধিক্‌কার দিচ্ছিল। তখন আমি ভীষ্ম দ্রোণ কৃপ ও অশ্বত্থামাকে বললাম, পিতা আমার জন্য দুঃখ ভোগ করছেন, অতএব সন্ধি করাই ভাল। তাতে ভীষ্মদ্রোণাদি আমাকে আশ্বাস দিলেন, ভয় পেয়ো না, যুদ্ধে কেউ আমাদের জয় করতে পারবে না। মহারাজ, অমিততেজা ভীষ্মদ্রোণাদির তখন এই দৃঢ় ধারণা ছিল। এখন পাণ্ডবগণ পূর্বাপেক্ষা বলহীন হয়েছে, সমস্ত পৃথিবী আমাদের বশে এসেছে, যে রাজারা আমাদের পক্ষে যোগ দিয়েছেন তাঁরা সুখে দুঃখে আমাদেরই অংশভাগী হবে, অতএব আপনি ভয় দূর করুন। আমাদের সৈন্যসমাবেশে যুধিষ্ঠির ভীত হয়েছেন তাই তিনি পাঁচটি গ্রাম চেয়েছেন, তাঁর রাজধানী চান নি। বৃকোদরের বল সম্বন্ধে আপনি যা মনে করেন তা মিথ্যা। আমি যখন বলরামের কাছে অস্ত্রশিক্ষা করতাম তখন সকলে বলত গদাযুদ্ধে আমার সমান পৃথিবীতে কেউ নেই। আমি এক আঘাতেই ভীমকে যমালয়ে পাঠাব। ভীষ্ম দ্রোণ কৃপ অশ্বত্থামা কর্ণ ভূরিশ্রবা শল্য ভগদত্ত ও জয়দ্রথ—এঁদের যে কেউ পাণ্ডবদের বধ করতে পারেন, এঁরা সম্মিলিত হ’লে ক্ষণমধ্যেই তাদের যমালয়ে পাঠাবেন। কর্ণ ইন্দ্রের কাছ থেকে অমোঘ শক্তি অস্ত্র লাভ করেছেন; সেই কর্ণের সঙ্গে যুদ্ধে অর্জুন কি ক’রে বাঁচবেন? আমাদের যে দশ কোটি সংশপ্তক[] সৈন্য আছে তারা প্রতিজ্ঞা করেছে—হয় আমরা অর্জুনকে মারব, না হয় তিনি আমাদের মারবেন। আমাদের এগার অক্ষৌহিণী সেনা, আর পাণ্ডবদের সাত, তবে আমাদের পরাজয় হবে কেন? বৃহস্পতি বলেছেন, শত্রুর সেনা যদি এক-তৃতীয়াংশ ন্যূন হয়, তবে তার সঙ্গে যুদ্ধ করবে। আমাদের সেনার আধিক্য বিপক্ষসেনার এক-তৃতীয়াংশকে অতিক্রম করে। মহারাজ, বিপক্ষের বল সর্বপ্রকারেই আমাদের তুলনায় হীন।

 ধৃতরাষ্ট্র বললেন, আমার পুত্র উন্মত্তের ন্যায় প্রলাপ বকছে, এ কখনও ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরকে জয় করতে পারবে না। পাণ্ডবদের বল ভীষ্ম যথার্থরূপে জানেন, সেজন্যই এঁর যুদ্ধে রুচি নেই। সঞ্জয়, যুদ্ধের জন্য পাণ্ডবগণকে কে উত্তেজিত করছে? সঞ্জয় বললেন, ধৃষ্টদ্যুম্ন; তিনিই পাণ্ডবগণকে উৎসাহ দিচ্ছেন। ধৃতরাষ্ট্র বললেন, দুর্যোধন, যুদ্ধ হতে নিবৃত্ত হও অর্ধরাজ্যই তোমাদের জীবিকা নির্বাহের পক্ষে যথেষ্ট, পাণ্ডবগণকে তাদের ন্যায্য ভাগ দাও। আমি যুদ্ধ ইচ্ছা করি না, ভীষ্মদ্রোণাদিও করেন না।

 দুর্যোধন বললেন, আপনার অথবা ভীষ্মদ্রোণাদির ভরসায় আমি বল সংগ্রহ করি নি। আমি, কর্ণ ও দুঃশাসন, আমরা এই তিন জনেই পাণ্ডবদের বধ করব। আমি জীবন রাজ্য ও সমস্ত ধন ত্যাগ করব, কিন্তু পাণ্ডবদের সঙ্গে একত্র বাস করব না। তীক্ষ্ণ সূচীর অগ্রভাগ দিয়ে যে পরিমাণ ভূমি বিদ্ধ করা যায় তাও আমি পাণ্ডবদের ছেড়ে দেব না।

 ধৃতরাষ্ট্র বললেন, আমি দুর্যোধনকে ত্যাগ করলাম, সে যমালয়ে যাবে। যারা তার অনুগমন করবে তাদের জন্যই আমার শোক হচ্ছে। দেবগণ পাণ্ডবদের পিতা, তাঁরা পুত্রদের সাহায্য করবেন, ভীষ্মদ্রোণাদির প্রতি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হবেন। দেবতাদের সঙ্গে মিলিত হ’লে পাণ্ডবদের প্রতি কেউ দৃষ্টিপাত করতেও পারবে না।

 দুর্যোধন বললেন, দেবতারা কাম দ্বেষ লোভ দ্রোহ প্রভৃতি ত্যাগ ক’রেই দেবত্ব পেয়েছেন, তাঁরা পুত্রদের সাহায্য করবেন না। যদি করতেন তবে পাণ্ডবরা এত কাল কষ্ট পেতেন না। দেবতারা আমার উপর বিক্রম প্রকাশ করবেন না, কারণ আমারও পরম তেজ আছে। আমি মন্ত্রবলে অগ্নি নির্বাপন করতে পারি, ভূমি বা পর্বতশিখর বিদীর্ণ হ’লে পূর্ববৎ স্থাপন করতে পারি, শিলাবৃষ্টি ও প্রবল বায়ু নিবারণ করতে পারি, জল স্তম্ভিত ক’রে তার উপর দিয়ে রথ ও পদাতি নিয়ে যেতে পারি। দেব গন্ধর্ব অসুর বা রাক্ষস কেউ আমার শত্রুকে ত্রাণ করতে পারবে না। আমি যা বলি তা সর্বদাই সত্য হয়, সেজন্য লোকে আমাকে সত্যবাক বলে।

 কর্ণ বললেন, আমি পরশুরামের কাছে যে ব্রহ্মাস্ত্র পেয়েছি তাতেই পাণ্ডবগণকে সবান্ধবে সংহার করব। আমি পরশুরামকে নিজের মিথ্যা পরিচয় দিয়েছিলাম সেজন্য তিনি শাপ দেন—অন্তিম কালে এই ব্রহ্মাস্ত্র তোমার স্মরণে আসবে না। তার পর তিনি আমার উপর প্রসন্ন হয়েছিলেন। আমার আয়ু এখনও অবশিষ্ট আছে, ব্রহ্মাস্ত্রও আছে, অতএব পাণ্ডবদের নিশ্চয় জয় করব। মহারাজ, ভীষ্মদ্রোণাদি আপনার কাছেই থাকুন, পরশুরামের প্রসাদে আমিই সসৈন্যে গিয়ে পাণ্ডবদের বধ করব।

 ভীষ্ম বললেন, কর্ণ, কৃতান্ত তোমার বুদ্ধি অভিভূত করেছেন তাই গর্ব করছ। তোমার ইন্দ্রদত্ত শক্তি অস্ত্র কেশবের সুদর্শন চক্রের আঘাতে ভস্মীভূত হবে। যে সর্পমুখ বাণকে তুমি নিত্য পূজা কর তা অর্জুনের বাণে তোমার সঙ্গেই বিনষ্ট হবে। যিনি বাণ ও নরক অসুরের হন্তা, যিনি তোমার অপেক্ষাও পরাক্রান্ত শত্রুকে সংহার করেছেন, সেই বাসুদেবই অর্জুনকে রক্ষা করবেন।

 কর্ণ বললেন, মহাত্মা কৃষ্ণের প্রভাব নিশ্চয়ই এইরপ, কিংবা আরও অধিক। কিন্তু পিতামহ ভীষ্ম আমাকে কটুবাক্য বলেছেন, সেজন্য আমি অস্ত্র ত্যাগ করলাম। ইনি যুদ্ধে বা এই সভায় আমাকে দেখতে পাবেন না। এঁর মৃত্যুর পর পৃথিবীর সকল রাজা আমার পরাক্রম দেখবেন। এই ব’লে কর্ণ সভা থেকে চ’লে গেলেন। ভীষ্ম সহাস্যে বললেন, কর্ণ সত্যপ্রতিজ্ঞ, কিন্তু কি ক’রে তার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করবে? এই নরাধম যখন নিজেকে ব্রাহ্মণ ব’লে পরশুরামের কাছে অস্ত্রবিদ্যা শিখেছিল তখনই এর ধর্ম আর তপস্যা নষ্ট হয়েছে।

 ধৃতরাষ্ট্র তাঁর পুত্রকে অনেক উপদেশ দিলেন, সঞ্জয়ও নানাপ্রকারে বোঝালেন যে পাণ্ডবদের জয় অবশ্যম্ভাবী, কিন্তু দুর্যোধন নীরবে রইলেন। তখন রাজারা উঠে সভা থেকে চ’লে গেলেন। তার পর ধৃতরাষ্ট্রের অনুরোধে ব্যাসদেব ও গান্ধারীর সমক্ষে সঞ্জয় কৃষ্ণমাহাত্ম্য বর্ণনা করলেন।

  1. উদ্‌যোগপর্ব ২৭-পরিচ্ছেদে এই ইতিহাস আছে।
  2. যে মরণ পণ করে যুদ্ধ করে। দ্রোণপর্ব ৪-পরিচ্ছেদ দ্রষ্টব্য।