রাজমোহনের স্ত্রী/পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ

পরামর্শ ও মন্ত্রণা

 মধুমতীর বন্য অথচ সুদৃশ্য দুই তীর, নিকটে জনাকীর্ণ গ্রামের অবস্থান সত্ত্বেও, সুদীর্ঘ দুর্ভেদ্য তৃণে আচ্ছন্ন, এবং এই তৃণভূমি মনুষ্যপদলাঞ্ছিত নহে। রাধাগঞ্জের ঈষৎ দক্ষিণে এইরূপ একটি অদ্ভূত-নির্জনতা-হেতু প্রায় ভয়াবহ স্থান আছে। নিবিড় তৃণভূমিই শুধু স্থানটিকে সুদুর্গম করিয়া রাখে নাই, ঘনসন্নিবিষ্ট সুদীর্ঘ বেতসলতা ও অন্যান্য লতাগুল্ম ইহাকে অধিকতর দুর্গম করিয়াছে। নদীতীর হইতে ভিতরে বহুদূর পর্য্যন্ত এই অরণ্য বিস্তৃত। এমন কোনও একটি স্থান যদি আবিষ্কার করা সম্ভব হইত, যেখান হইতে লতাগুল্মাচ্ছাদিত সুদূরপ্রসারী এই বনভূমিকে একটি সম্পূর্ণ পরিদৃশ্যমান আলেখ্যের মত দেখিবার পথে কোনও অন্তরায় উপস্থিত না হইত তাহা হইলে দেখা যাইত যে, ঘনসন্নিবিষ্ট এই বনভূমির কোথাও একটু ফাঁক নাই। বিষধর সর্পের এই অন্ধকার আবাসভূমিও যে মনুষ্যপদশব্দে চকিত হইয়া উঠে, তাহার প্রমাণস্বরূপ এক অতি সঙ্কীর্ণ পায়ে-চলার পথ আছে; কিন্তু এই পায়ে-চলার-পথ খুঁজিয়া বাহির করিতে হইলে গভীর পর্য্যবেক্ষণ-শক্তির প্রয়োজন। এই পদচিহ্ন ধরিয়া সামান্য অগ্রসর হইতে না হইতেই পথ হারাইয়া যায়; অরণ্যের তৃণ ও অন্ধকার নিঃশেষে পথের সকল চিহ্ন গ্রাস করে। এই পথে চলিতে অভ্যস্ত যাহারা, তাহদের কথা স্বতন্ত্র; এই চিহ্নহীন আঁকাবাঁকা পথেই তাহাদের অভ্যস্ত চক্ষু তাহাদিগকে অভ্যন্তরে লইয়া যায়, বনের ঠিক কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত তৃণ-কুটীরটি পর্য্যন্ত। কুটীরের চালটি আশপাশের ঝোপগুলি হইতে একটু উচ্চ হইলেও সন্নিহিত বৃক্ষের শাখাপত্র কৌশলে টানিয়া ও সাজাইয়া এমনভাবে চালটিকে গোপন করা হইয়াছে যে কাহারও কৌতুহলী দৃষ্টি সেদিকে পড়িবার সম্ভাবনা ছিল না; সমস্তটা মিলিয়া কুটীরটিকে অপেক্ষাকৃত উচ্চ একটা ঝোপ বলিয়াই মনে হইত। এই ক্ষুদ্র দুর্দ্দশাগ্রস্ত কুটীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিলেই মনে কেমন একটা অস্বস্তিকর ভাব জাগে, নিরানন্দে মন ভরিয়া উঠে। কুটীরের মেঝে অত্যন্ত স্যাঁতসেঁতে। বাঁশ এবং দরমা নির্ম্মিত দেওয়াল, ভিজা মেঝেতেও দুই-তিন পুরু দরমা বিস্তৃত; এক কোণে মৃত্তিকানির্ম্মিত ধূম্রকৃষ্ণ রন্ধনের কয়েকটি পাত্র জড়ো করা ছিল; দেখিলেই মনে হয় যে, এগুলি ক্কচিৎ ব্যবহৃত হয়।

 প্রত্যুষ তখনও অতিক্রান্ত হয় নাই; ঘনসন্নিবিষ্ট বৃক্ষপত্রের অন্তরালপথে প্রাতঃসূর্য্যের সুদীর্ঘ রশ্মি তখনও বনভূমিতে দৃষ্টিগোচর হইতেছিল।

কুটীরের অধিবাসী দুইজন মাত্র ব্যক্তি, তাহাদের বর্ণ গাঢ় কৃষ্ণ; দেহের অবয়ব ও গঠন এমন সুদৃঢ় এবং পেশীবহুল যে দৃষ্টিমাত্র তাহাদের শারীরিক সামর্থ্যের পরিচয় পাওয়া যায়। তাহদের কটিদেশে মাত্র একখণ্ড করিয়া সামান্য দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-বিশিষ্ট স্থূল বস্ত্র জড়ানো ছিল। সুকৃষ্ণ দেহের অন্যান্য অংশ সম্পূর্ণ অনাবৃত। ইতস্ততবিক্ষিপ্ত লাঠি ও তরবারিগুলি দেখিলে সহজেই অনুমান হয় যে, নিতান্ত শান্তিতে তাহারা জীবিকার্জ্জন করে না। তীব্রগন্ধী গঞ্জিকার ধূমে কুটীরটি পরিপূর্ণ, তাহারা পালা করিয়া গাঁজা টানিতেছিল। সেই জনমানবশূন্য বনপ্রদেশেও তাহারা অত্যন্ত সাবধানে অতি নিম্নকণ্ঠে কথোপকথনে নিরত ছিল।

 একজন প্রশ্ন করিল, আচ্ছা, আমাদের এতে লাভ?—কণ্ঠস্বরে পাঠক নিশ্চয়ই পূর্ব্বপরিচিত ভিখুকে চিনিতে পারিতেছেন।

 তাহার সঙ্গী উত্তর দিল, একটা মোটা টাকা। পাঠক বুঝিতেছেন ইনি আমাদের ভূতপূর্ব্ব সর্দ্দার ছাড়া আর কেহই নন —পাক্কা পাঁচটি হাজার টাকা। এক রাত্রের রোজগার হিসেবে মন্দ নয়। কি বল? ভাগীদার তো আর কেউ জুটছে না।

 ভিখু উল্লাস গোপন করিতে পারিল না, চেঁচাইয়া উঠিল, তোফা। ভাটার মত তাহার গোল চোখ দুইটি চক্‌চক্‌ করিয়া উঠিল —তা হ’লে উকিল ব্যাটাকে রাস্তায় সাবড়ে দিয়ে দলিলটা হাত করলেই তো হয়! তার সঙ্গেই তো ওটা থাকবে! অন্য জায়গা থেকে ওটা সরানো কি সুবিধে হবে?

 সর্দ্দার উত্তর দিল, যত গোল বাধিয়েছে তো ওই মাগী, ওই রাজমোহনের স্ত্রী! রাজমোহনের সঙ্গে আমার পরামর্শ বেটী সব শুনেছে

 —আমরা যে দলিলটার সন্ধানে আছি মাধবের তা জানতে বাকি নেই। সে কি আর রীতিমত সেপাই-শান্ত্রী না দিয়ে দলিল পাঠাবে? আমরা তো এদিকে সাকুল্যে দুজন। অন্য রাস্তায় দলিল হাতাবার চেষ্টা কেন করছি, বুঝলি তো বাঁদর!

 ভিখু উত্তর দিল, সর্দ্দার, তাই বা হবে কেমন ক’রে শুনি। দুজন মিলে বাড়ি চড়াও ক’রে কোনও কাজ হবে?

 সর্দ্দার বলিল, সে কাজ আমি করব রে উল্লুক, গায়ের জোরে যেখানে কাজ না হয় সেখানে বুদ্ধিতে কাজ হাসিল করতে হয়।

 ভিখু ছিলিমে একটা লম্বা টান মারিয়া চুপ করিয়া বসিয়া দেখিতে লাগিল, গাঁজার ধূম্রকুণ্ডলী পাকাইয়া পাকাইয়া উপরে উঠিতেছে।

 কিয়ৎকাল নীরব থাকিয়া ধীরে ধীরে মাথা নাড়িয়া সে বলিয়া উঠিল, না, না সর্দ্দার, আমি তো ভেবেই ঠিক করতে পারছি না, তুমি কেমন ক’রে কাজ হাসিল করবে। আর একটা কথা, যার জন্যে এই কাজ করতে হবে, সে কি পাঁচ হাজারের এক হাজারও আগাম দেবে না? ফ্যাল কড়ি, মাখ তেল! টাকাটা হাতে এলে তো বুঝি কিছু কাজ হ’ল। তখন এখান থেকে কেটে পড়লেই বা আমাদের ধরছে কে?

 একটু গম্ভীর হইয়া সর্দ্দার উত্তর করিল, আরে বাবা, সে কি তেমন কাঁচা ছেলে! আমার সঙ্গে তার বন্দোবস্তটা কেমন হয়েছে শোন্। দলিলটা আমাদের হাতে এসেছে দেখাতে পারলে তবেই সে দেবে এক হাজার, তার হাতে সেটা দিলে আর দু হাজার, তা’ হলে মোট তিন হাজার হ’ল। তারপর মকদ্দমা হ’লে যদি তার জিত হয় তা হ’লে বাকি দু হাজার আমরা পাব। তবে উইলটা নষ্ট ক’রে দিলে জিত যে হবে তাতে সন্দেহ নেই।

 —তা হ’লে উপায়? কি মতলব করছ শুনি?

 —না রে না। তুই বেটা আগে থাকতে শুনলেই সব কাজ পণ্ড করবি। ধুর্ত্তু রাজমোহন তোর পেট থেকে কথা টেনে বের করবে, তা হ’লেই সব মাটি। ছায়ার মত আমার সঙ্গে সঙ্গে থাক, যা বলি কর্— বাস্, কাজ ঠিক হবেই।

 ভিখু এই কথা শুনিয়া অত্যন্ত উত্তেজিত হইয়া বলিল, কি, রাজমোহন আমাকে ঠকাবে?—কিন্তু পরক্ষণেই কণ্ঠস্বর নামাইয়া সে বলিয়া উঠিল, চুপ, পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছি।

 অদূরে বনের মধ্য হইতে পেঁচা যেমন শব্দ করে মনুষ্যকণ্ঠে তাহার অনুকৃতি শোনা গেল। সর্দ্দার ঠিক অনুরূপ শব্দ করিয়া উত্তর দিয়া বলিল, রাজমোহন আসছে।

 দেখিতে না দেখিতে রাজমোহন সশরীরে কুটীরে দর্শন দিল। সর্দ্দার জিজ্ঞাসা করিল, এই যে রাজমোহন, খবর কি?

 রাজমোহন বলিল, খবর ভাল, আমার স্ত্রী ফিরে এসেছে।

 সর্দ্দার খুশি হইয়া বলিয়া উঠিল, বটে, বটে? কেমন করে পেলে হে? সে ছিল কোথায়?

 রাজমোহন বলিল, সেও এক তাজ্জব ব্যাপার! বোনের বাড়ি সে যায় নি। আন্দাজ করতে পার কোথায় গিয়েছিল সে?

 দস্যু দুইজনেই এক সঙ্গে বলিয়া উঠিল, কোথায়? কোথায়?

 —আরে আমি কিন্তু ঠিকই আঁচ করেছিলাম—গিয়েছিলেন খোদ মথুর ঘোষের বাড়িতে।

 —বটে! তা সে ফিরে এসে বলছে কি?

 —কি আর বলবে? এখন পর্য্যন্ত তো একটা কথা ও বের করতে পারি নি। বাড়িতে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করলাম, তারা কেউ কিছু জেনেছে ব’লে তো মনে হ’ল না।

 সর্দ্দার চাপা কণ্ঠে বলিল, যা হোক, ওকে খতম ক’রে দাও —তাহার রোষকষায়িত চক্ষু দিয়া অগ্নিজ্বালা নির্গত হইতেছিল বলিয়া মনোভাব গোপন করিবার জন্য সে দৃষ্টি নত করিল।

 রাজমোহন বলিল, ভেবে দেখ সর্দ্দার, তার কি কোনও দরকার আছে?

 —আহা, আমি আগেই বলেছিলাম তুমি—

 রাজমোহন কথায় একটু জোর দিয়া বলিল, শোন সর্দ্দার, সবটা শোনই না ওই বদমাস মাগীকে আমি তোমাদের চাইতে কম ঘৃণা করি না। সেদিন সকালে যদি ওকে পেতাম, তা হ’লে দেখতেই পেতে, ওর ওপর আমার কত ভালবাসা! এখন আমি স্বীকার করছি, রক্তটা একটু ঠাণ্ডা হয়ে এসেছে। ও কাজ করার মত সাহসও এখন নেই, অতটা কঠোরও হতে পারছি না। তা ছাড়া আমরা যে জন্যে ভয় পেয়েছিলাম, সে কাজ সে করে নি; সে মাধব ঘোষের বাড়িতেও যায় নি, কালকের রাত্রের ব্যাপার নিয়ে হৈ-চৈ করে নি। যদি আজ এসব ও না করে থাকে, কালই যে করবে তার মানে কি?

 সর্দ্দার একটু ভাবিল, শেষে বলিল, বেশ, আমি এমন একটা জায়গার কথা জানি, যেখানে ওকে পাঠালে তোমার আমার কারও আপত্তি হবে না, বিপদের আশঙ্কাও কিছু থাকবে না।

 রাজমোহন জিজ্ঞাসা করিল, কোথায়?

 —জিনিস-পত্তর বেঁধে ছেদে তোমার সুন্দরী পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে চল আমাদের সঙ্গে মিৎগুন্টিতে বসবাস করবে।

 —ডাকাত হয়ে থাকতে হবে নাকি?

 —ডাকাত তুমি নও?

 —কাজে হয়তো তাই, কিন্তু নামডাকে ডাকাত হওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব।

 —ত হ’লে তুমি যাবে না?

 —না, এই নচ্ছার স্ত্রী ছাড়াও আমার সংসারে অন্য লোক আছে। তাদের সবাইকে নিয়ে কি ডাকাত হওয়া সম্ভব?

 —আমাদের সংসার নেই নাকি?

 —আছে নিশ্চয়, কিন্তু আমি তো এদের জানাতে পারব না ত কি ভাবে আমি জীবন নির্ব্বাহ করব।

 সর্দ্দার তাহাকে বাধা দিয়া প্রভুত্বের ভঙ্গীতে বলিয়া উঠিল, চোপ। আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে, তুমি স্বচ্ছন্দে তোমার বোনকে ছেলেপিলে সমেত তার স্বামীর কাছে পাঠাতে পার, সে গরিব কি বড়লোক তা তোমার দেখার দরকার কি? আর তোমার পিসী— তোমার মত অনেকেরই পিসী সে; নিজের পথ সে নিজেই দেখে নিতে পারবে।

 রাজমোহনের দ্বিধা তখনও দূর হয় নাই। অনেকক্ষণ কথা-কাটাকাটি চলিল। শেষে সর্দ্দারের হুমকি এবং মাধব ঘোষের জমিদারি চিরদিনের জন্য পরিত্যাগের বাসনায় সর্দ্দারের প্রস্তাবে সে রাজী হইল।

 তখনও দুপুর শেষ হয় নাই—রাজমোহন স্নান সারিয়া প্রাতরাশ গ্রহণের জন্য বাড়ি গিয়া উপস্থিত হইল। প্রথমেই দেখা হইল তাহার বোন কিশোরীর সঙ্গে।

 রাজমোহন বলিল, কিশোরী, সেই হতভাগীকে আমার কাছে আসতে বল্‌! আমার বাড়ি ছেড়ে আবার কেমন ক’রে পালাতে হবে তাই তাকে শিখিয়ে দেব। যা।

 কিশোরী অবাক হইয়া বলিল, কার কথা বলছ দাদা?

 কিশোরীর প্রশ্নে বিরক্ত হইয়া রাজমোহন দাঁত-মুখ খিঁচাইয়া বলিয়া উঠিল, কার কথা বলছি? কেন, তোর বউদির কথা! তোর বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ পেয়েছে নাকি?

 কিশোরী বলিল, বউদি তো বাড়িতে নেই।

 রাজমোহন চমকাইয়া উঠিল, বলিল, বাড়িতে নেই, তার মানে? সকালে কি সে ফেরে নি?

 —তুমি বলছিলে বটে যে বড়বাড়ি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেবে। তুমি কি পাঠিয়েছিলে তাকে?

 বিরক্তি ও বিস্ময়ে রাজমোহন কিছুক্ষণ স্তব্ধ থাকিয়া বলিল, সব জোচ্চুরি, আমি নিজে দেখেছি সুকীর মায়ের সঙ্গে সে এদিকে আসছিল।

 কিশোরী বলিল, অবাক কাণ্ড বাপু, তবে গেল কোথায়? সবাইকে জিজ্ঞেস কর, কেউ দেখেছে কি না!

 রাজমোহন বাঘের মত ছুটিয়া বাড়ির আশপাশ চারিদিকটা একবার দেখিয়া আসিল; তন্ন-তন্ন করিয়া খুঁজিল, কিন্তু মাতঙ্গিনীকে কোথাও দেখিতে পাইল না।

 কিশোরীকে লক্ষ্য করিয়া সে চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিল, দৌড়ে যা কিশোরী, দেখে আয়, হতভাগী নিশ্চয়ই আবার তার বোনের আশ্রয় নিয়েছে। দাঁড়া, পিসিমাকে বল্, কনকদের বাড়িতে খোঁজ করতে। সেখানেও সে যেতে পারে। আমি এখানে পাহারায় থাকছি।

 কিশোরী আর তাহার পিসি দুইজনে দুইদিকে ছুটিয়া গেল কিন্তু অনতিবিলম্বে বিফল হইয়া ফিরিয়া আসিল। রাগে বিরক্তিতে ও বিস্ময়ে হতভাগ্য রাজমোহন গজরাইতে লাগিল। সেই দুপুরের রৌদ্রেই সে কিশোরীকে আবার মথুর ঘোষের বাড়িতে খবর লইতে পাঠাইল। কিশোরীর পক্ষে অতদূর যাওয়াটা খুব সহজসাধ্য ছিল না, তবুও কিশোরী বিনীতভাবে দাদার আদেশ প্রতিপালন করিল, কিন্তু তাহার বউদিদির কোনও সন্ধানই লইয়া আসিতে পারিল না।