একাধিক লেখক
মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন সম্পাদিত
(পৃ. ৯৪-৯৫)

(গ)

“গাছের কুলে কি হালে পুরুষে কিসেরই বাদ্য বাজে।
তোমারি সোয়ামী কি হালে নীলা দোসর বিয়ে করে”
“আমি নীলে (?)থাকতে কিসের দুঃখ, কিহারে সাধু
দোসর বিয়ে কর।
আমার এক থালার ভাতরে সাধু দুই থালে হ’ল,
এক বাটার পানরে সাধু দুই বাটায় হ’ল,
এক ফুলের বিছানা রে সাধু দুইখানে হ’ল।”
“সোয়ামীরে ব রতে কি হালে পুরুষে কি কি ছামানা
লাগে।’’
“সোয়ামিরে বরিতে কি হালে সামিলে সোণার ফুল
লাগে।
সোয়ামীরে বরিতে কি হ’লে সামিলে সোণার
ধান দুবলা লাগে?”
‘সতীনের বরিতে কি তালে পুরুষে কি কি ছামান লাগে?”
সতীনের বরিতে কি হাল সামিলে আঁইশটে
কুলে চালন লাগে।”
“কি হারে সাধু কিসের দুঃখের দোসর বিয়ে কর।”
“স’য়া যদি খাবার পার, লো নালে স’য়া বসে খাও,
না যদি খাবার পা ও সাথে নায়ারে যাও।”

"একটু সরে শোওরে সাধু তোমার শিথানে একটু বসি,
একটু সরে সোওরে সাধু তোমার পথানে একটু বসি।”
“আমার শিথানে রয়েছে রে নীলে উয়্যার পায়ের জুতা,
আমার পথানে রয়েছে রে নীলে খেঁকি কুত্তার বাচ্ছা।”
ওই না কথা শুনে নীলা ধুলায় লুটায়ে কাঁদে।
ধুলায় লুটায়ে কাঁদেরে নীলে, কোলের জয়ধর কোলে নিল।
ধুলায় লুটায়ে কাঁদেরে নীলে, ঝাঁপির ব্যাসাদ গলায় নিল।
আর কতদূর যায়য়ে নীলে মধ্যি সমুদ্দুর পা’ল।
মধ্যির সমুদ্দুর পেয়ে রে নীলে ধুলায়ে লুটায়ে কাঁদিতে লাগিল।
"পার কর পার কর রে গঙ্গা মা ঝাঁপির ব্যাসাদ দেব,
পার কর পার কর রে গঙ্গা মা কোলের ব্যাসাদ দেব।
ওই না কথা শুনেরে গঙ্গামা পার করিয়ে দিল,
এপার হতে ওপার যেয়েরে মালে ধুলায় লুটায়ে কাঁদিতে লাগিল।
“পার করলে পার করলে গঙ্গামা জোড়া পাঁঠা দেব,
পার করলে পার করলে গঙ্গামা জোড়া মোষ দেব।”
খবরের আগে খবর গেল নীলের বাপজানের আগে,
খবরের আগে খবর গেল নীলের চাচাজানের কাছে।
আগে পাছে মা বাপ মধ্যি চললে নীলে।
“কিসেব দুঃখে নীলে তুমি হাঁটে নায়ারে এলে?”
“তোমাদের জামাই রে বাবাজান দোসর বিয়ে করে;
তোমাদের জামাই রে চাচাজান দোসর বিয়ে করে।”