চিঠিপত্র (দশম খণ্ড, ১৯৬৭)/পত্ৰ-ধৃত প্রসঙ্গ

দীনেশচন্দ্র সেনকে লিখিত পত্র

পত্রসংখ্যা

“পুত্রযজ্ঞ গল্পটি সম্পূর্ণ আমার নহে”: এ বিষয়ে বিশদ তথ্য গল্পগুচ্ছ চতুর্থ খণ্ডের গ্রন্থপরিচয়ে আছে। গল্পটি গল্পগুচ্ছ দ্বিতীয় খণ্ডের অন্তর্গত।

ক্ষণিকা: প্রথম প্রকাশ ২৬ জুলাই ১৯০০।

“ক্ষণিকা পাইয়া আপনি যে পত্রখানি লিখিয়াছেন”: দ্র° দীনেশচন্দ্র —লিখিত পত্র ৫।

“আপনার দ্বিতীয় সংস্করণ ছাপার”: বঙ্গভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কে। দ্বিতীয় সংস্করণটি প্রকাশিত হয় ১৯০১ সনে।

চোখের বালি: বঙ্গদর্শন পত্রে (১৩০৮ বৈশাখ-১৩০৯ কার্তিক) ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়।

“আপনার বইখানি পাঠিকা সম্প্রদায়ের লুব্ধ হস্ত হইতে”: সম্ভবত ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ দ্বিতীয় সংস্করণ বইখানির কথা বলা হইয়াছে।

আপনার ছেলেটিকে: অরুণ—দীনেশচন্দ্রের মধ্যম পুত্র। ইহার প্রসঙ্গ পত্রান্তরেও আছে।

“আমার ছেলে অরুণকে তাঁহার হাতে সঁপিয়া দিয়াছিলাম”।

— দীনেশচন্দ্র সেন। ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য

“তাগিদ দিয়া সমালোচনা লিখাইয়া লইবার”: ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ দ্বিতীয় সংস্করণের সমালোচনা বলিয়া অনুমিত।

“বিনোদিনীর রহস্যনিকেতনে”: চোখের বালি ১৩০৭ সালের গোড়ার দিকে ‘বিনোদিনী’ নামে কবির খাতার মধ্যে খসড়া করা অবস্থায় পড়িয়া ছিল।

প্রিয়নাথ সেনকে লেখা অনেকগুলি পত্রে (চিঠিপত্র অষ্টম খণ্ড) ‘বিনোদিনী’র প্রসঙ্গ আছে।—

“বিনোদিনীর খবর ভাল। গোলেমালে দিনকতক তার কাছ থেকে ছুটি নিতে হয়েছিল গতকল্য থেকে আবার নিয়মিত হাজ্‌রি দিচ্চি। পত্রের এই অংশটুকু যদি তুমি কারো কাছে প্রকাশ কর তাহলে আমার সম্বন্ধে দ্বিতীয় আর একটি উপন্যাসের সৃষ্টি হওয়া বিচিত্র নয়।”

১৬ শ্রাবণ [১৩০৬] পত্র ৭৯

“আমার স্কন্ধে কবিতার পুরাতন জ্বর হঠাৎ চাপিয়াছে তাই বিনোদিনী উপেক্ষিতা।”

[১৮৯৯] পত্র ৮৭

“বিনোদিনীর সঙ্গে আমার দীর্ঘবিচ্ছেদ চল্‌চে। ছোটখাট নানা ব্যাপারে ব্যস্ত আছি।”

পত্র ৯০

“নাটোরকে সেই বিনোদিনীর গল্পাংশ একদিন শোনান গেল— তাঁর খুব ভাল লাগল। শোনাতে গিয়ে সেটা লিখে ফেলবার জন্যে আমারও একটু উৎসাহ হয়েছে— কিন্তু অন্য সমস্ত খুচরো লেখা শেষ করে নিশ্চিন্ত হয়ে সেটায় হাত দিতে ইচ্ছা আছে।”

[ফেব্রুয়ারি? ১৯০১] পত্র ১৩৬

“বিনোদিনী লিখ্‌তে আরম্ভ করেছি— কিন্তু তার উপরে ভারতী ও বঙ্গদর্শন উভয়েই দৃষ্টি দিয়েছেন।”

[মার্চ ১৯০১] পত্র ১৪৭

“বিনোদিনীকে লইয়াই ত পড়িয়াছি। তাহার একটা সদ্গতি না করিতে পারিলে আমার ত নিষ্কৃতি নাই। এই অপরিণত অবস্থায় ঐ গল্পটাকে কোন কাগজে দিতে আমার একেবারে ইচ্ছা নয়। গ্রন্থ আকারে সম্পূর্ণভাবে বাহির হইলেই আমার মনঃপূত হয়। কিন্তু একদিকে শৈলেশের তাড়না অপরদিকে অর্থাভাবেরও তাড়া আছে— তাই অপেক্ষা করা কঠিন হইয়াছে। গোড়া হইতে আরম্ভ করিয়া গোটা সাতেক পরিচ্ছেদ শেষ করিয়াছি— বিনোদিনী সবে রঙ্গভূমিতে পদার্পণ করিতেছে মাত্র।”

[১৯০১] পত্র ১৫১

“বিনোদিনীকে তুমি প্রশংসার দ্বারা অধিক প্রশ্রয় দিয়ো না— যদি বিগড়ে যায়?”

[১৯০১] পত্র ১৫২

আলোচ্য পত্র-প্রসঙ্গে দীনেশচন্দ্র লিখিতেছেন—

“কিন্তু চোখের বালি তিনি কিস্তিতে কিস্তিতে বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত হইবার পূর্বে আমাকে পড়িয়া শুনাইয়াছিলেন, বিনোদিনীর রহস্যনিকেতনে আমাকে প্রবেশাধিকার দিয়াছিলেন।”

— দীনেশচন্দ্র সেন। ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য

“আপনার বইখানি”: বঙ্গভাষা ও সাহিত্য ২য় সংস্করণ।

পত্রে ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ গ্রন্থের সমালোচনার কথা বলা হইয়াছে। সমালোচনাটি বঙ্গদর্শনের শ্রাবণ ১৩০৯ সংখ্যায় প্রকাশিত। ‘সাহিত্য’ গ্রন্থের অন্তর্গত।

আলোচনা সমিতি: “রবিবাবুর উদ্যোগে বঙ্গদর্শন চালাইবার জন্য ও সাহিত্যিক চর্চার নিমিত্ত আমরা মজুমদার লাইব্রেরীর উপরে একটা সমিতি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলাম।”

— দীনেশচন্দ্র সেন। ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য

“মজুমদার এজেন্সীর (পরে মজুমদার লাইব্রেরি)... অন্তর্গত ‘আলোচনা সভা’ বিলাতী সাহিত্যিক ক্লাবের অনুকরণে গড়া হয়; রবীন্দ্রনাথের বহু প্রবন্ধ এখানে পঠিত হয়; তৎকালীন একদল সাহিত্যিকের এইটি ছিল মিলনকেন্দ্র ও মজলিশ।”

—প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। রবীন্দ্রজীবনী দ্বিতীয় খণ্ড

১১

“ঈশ্বর আমাকে যে শোক দিয়াছেন”: মৃণালিনী দেবীর মৃত্যু (৭ অগ্রহায়ণ ১৩০৯)।

জামাতা: মধ্যমা কন্যা রেণুকার স্বামী সত্যেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।

১৫

পত্রে দীনেশচন্দ্র সেন -প্রণীত ‘রামায়ণী কথা’র আলোচনা করা হইয়াছে।

“কিছুকাল হইতে অনুরোধ আসিতেছে বন্ধু দীনেশচন্দ্র সেনের নিকট হইতে, তাঁহার ‘রামায়ণী কথা’র ভূমিকার জন্য। দীনেশচন্দ্র রামায়ণের অনেকগুলি চরিত্র বিশ্লেষণ করিয়া বঙ্গদর্শনে (১৩১০) প্রকাশ করিয়াছিলেন; সেগুলি এখন গ্রন্থাকারে মুদ্রিত হইতেছে; তজ্জন্য একটি ভূমিকার প্রয়োজন।”

—প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। রবীন্দ্রজীবনী দ্বিতীয় খণ্ড

এ সম্বন্ধে দীনেশচন্দ্র লিখিয়াছেন—

“রবীন্দ্রবাবু··· রামায়ণী কথার শুধু ভূমিকা নহে তাহার প্রত্যেকটি চরিত্র সম্বন্ধে এরূপ সকল মন্তব্য লিখিয়াছিলেন, যাহাতে গ্রন্থকার অত্যন্ত উপকৃত এবং উৎসাহিত হইয়াছিলেন।”

—দীনেশচন্দ্র সেন। ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য

১৬

পত্রে ‘রামায়ণী কথা’র ভূমিকার কথা বলা হইয়াছে। এই ভূমিকার কথা পরবর্তী পত্রেও উল্লেখিত। ভূমিকাটি ‘রামায়ণ’ শীর্ষক প্রবন্ধ রূপে ‘প্রাচীন সাহিত্য’ গ্রন্থে সংকলিত।

“আপনার মাথার অসুখ”: ১৮৯৬ সনে কুমিল্লায় অবস্থান কালে দীনেশচন্দ্র উৎকট শিরঃপীড়ায় আক্রান্ত হন। এই রোগভোগ দীর্ঘকাল চলে।

১৭

গ্রন্থাবলী: কাব্যগ্রন্থ [১৯০৩-১৯০৪]। ইহা রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় কাব্যসংগ্রহ। মোহিতচন্দ্র সেনকে এক পত্রে লিখিতেছেন— “গ্রন্থাবলী নূতন আকারে বাহির করিবার জন্য অন্তরের মধ্যে জানি না কেন তাড়া আসিতেছে। তাহা ছাপাখানায় পাঠাইয়াছি।”

— পত্রাবলী। বিশ্বভারতী পত্রিকা, শ্রাবণ ১৩৪৯

রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যসংগ্রহ— ‘ক্লাব্যগ্রন্থাবলী’ সত্যপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় ১৩০৩ সালে প্রকাশ করেন।

১৮

রামায়ণের ভূমিকা: রামায়ণী কথার ভূমিকা।

২০

“আমার জীবন”: রাসসুন্দরী দাসী —লিখিত। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ইহার ভূমিকা এবং দীনেশচন্দ্র সেন গ্রন্থপরিচয় লিখিয়াছিলেন।

“আপনি কি সম্পাদকীয় নেপথ্যগৃহেই নৌকাডুবি পড়িয়া লইয়াছেন?”: ‘চোখের বালি’ রচনার প্রায় আড়াই বছর পর ‘নৌকাডুবি’ বঙ্গদর্শনে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হইতে শুরু হয় (১৩১০ বৈশাখ-১৩১২ আষাঢ়)।

২২

মহারাজ: ত্রিপুরার মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্য। এই বৎসর (১৯০১) কবি দার্জিলিঙে ত্রিপুরার মহারাজের অতিথিরূপে গিয়াছিলেন। সেই সময়ে ‘বঙ্গদর্শন’ পরিচালনার সমস্যা লইয়া আলোচনা কালে মহারাজ পত্রিকাটিকে আশ্রয়দান করিতে প্রতিশ্রুত হইয়াছিলেন।

২৩

আলোচ্য পত্রে শৈলেশ [শৈলেশচন্দ্র মজুমদার] সম্বন্ধে যে মন্তব্য রহিয়াছে সেই প্রসঙ্গে দীনেশচন্দ্র সেনের মন্তব্যও উদ্ধারযোগ্য।—

“এই ব্যক্তি [শৈলেশচন্দ্র] অদৃষ্টের কি রহস্যে পুস্তকের দোকান খুলিয়াছিলেন জানি না, হিসাব-সম্বন্ধে তাঁহার কাণ্ডজ্ঞান একেবারে ছিল না। বন্ধুদের জন্য টাকা খরচ করিতে তাঁহার মত মুক্ত-হস্ত ব্যক্তি প্রায় দেখা যায় না। ধার দিলে তাঁহার কাছে ফিরিয়া পাওয়া বড় শক্ত ছিল, নিজের হউক, পরের হউক টাকা পাইলে তাহা খরচ করিতে কোন দ্বিধা বোধ করিতেন না।”

— দীনেশচন্দ্র সেন। ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য

বঙ্গবিভাগ: দ্র° সাময়িক প্রসঙ্গ, বঙ্গদর্শন জ্যৈষ্ঠ ১৩১১। পরিশিষ্ট, রবীন্দ্ররচনাবলী দশম খণ্ড।

২৪

য়ুনিভার্সিটি বিল: দ্র° বঙ্গদর্শন, আষাঢ় ১৩১১। আত্মশক্তি, রবীন্দ্ররচনাবলী তৃতীয় খণ্ড।

২৫

প্রার্থনা: দ্র° বঙ্গদর্শন, আষাঢ় ১৩১১। ধর্ম, রবীন্দ্র রচনাবলী ত্রয়োদশ খণ্ড।

২৬

গুরুদক্ষিণা: বোলপুর বিদ্যালয় হইতে প্রথম প্রকাশিত। সমালোচনা; বঙ্গদর্শন, শ্রাবণ ১৩১১।

তিনবন্ধু: দীনেশচন্দ্র সেন —রচিত উপন্যাস (১৫ জুলাই ১৯০৪)।

“একখানা খুবই সত্যকার বই লিখিবেন”: সম্ভবত কবির এই প্রেরণাতেই পরবর্তীকালে ‘ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য’ (১৩২৯) রচিত হয়।

২৯

“বাদ প্রতিবাদের যে তরঙ্গ উঠিয়াছে”:

রবীন্দ্রনাথের ‘স্বদেশী সমাজ’ প্রবন্ধ লইয়া এই সময়ে যে বাদ-প্রতিবাদ হয় পত্রে সম্ভবত তাহারই কথা বলা হইয়াছে।

“স্বদেশী সমাজ —শীর্ষক যে প্রবন্ধ আমি প্রথমে মিনার্ভা ও পরে কর্জন-রঙ্গমঞ্চে পাঠ করি [৭ শ্রাবণ ১৩১১, ১৬ শ্রাবণ ১৩১১] তৎসম্বন্ধে আমার পরম শ্রদ্ধেয় সুহৃদ শ্রীযুক্ত বলাইচাঁদ গোস্বামী মহাশয় কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করিয়াছেন।” তাহারই উত্তরে “সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধাকারে লিখিত” ‘স্বদেশী সমাজ প্রবন্ধের পরিশিষ্ট’ মুদ্রিত হয় বঙ্গদর্শনের আশ্বিন ১৩১১ সংখ্যায়।

অনুরূপভাবে রবীন্দ্রনাথকে আক্রমণ করিয়া লিখিত পৃথ্বীশচন্দ্র রায়ের ‘স্বদেশী সমাজের ব্যাধি ও চিকিৎসা’ প্রকাশিত হয় প্রবাসী ১৩১১ শ্রাবণ সংখ্যায়। পৃথ্বীশবাবুর প্রবন্ধের প্রতিবাদে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখেন ‘আবেদন-না আত্মচেষ্টা?’ ভারতী ১৩১১ আশ্বিনে।

শিবাজিউৎসব: “শিবাজিউৎসব এতদিন মারাঠির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, এই সময় সখারাম গণেশ দেউস্কর ইহাকে বাংলাদেশে প্রবর্তনের চেষ্টা করেন। তিনি ‘শিবাজির দীক্ষা’ নামে একখানি পুস্তিকা লেখেন, রবীন্দ্রনাথ উহারই ভূমিকাস্বরূপ ‘শিবাজিউৎসব’ নামে কবিতা লিখিয়া দেন।”

—প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। রবীন্দ্রজীবনী, দ্বিতীয় খণ্ড

কবিতাটি ১৩১১ সালের আশ্বিন মাসে যুগপং ভারতী ও বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত। সঞ্চয়িতায় সংকলিত।

৩২

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা: প্রথম প্রকাশ ১৮৪৩ খ্রীষ্টাব্দ

কেশববাবুর ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ: ১৮৫৯ খ্রীষ্টাব্দ

হিন্দুমেলা: ১৮৬৭ খ্রীষ্টাব্দ

বঙ্কিমের বঙ্গদর্শন: প্রথম প্রকাশ ১৮৭২

‘শশধরের প্রাদুর্ভাব’: শশধর তর্কচূড়ামণি।

সাধনা: প্রথম প্রকাশ ১৮৯১

রাজসাহী কন্‌ফারেন্স: নাটোর ১৮৯৭

বঙ্গদর্শন নূতন পর্যায়: ১৯০১

বর্ধমান কন্‌ফারেন্স: ১৯০৪

৩৫

গদ্যগ্রন্থাবলী: ১৩১৩ সালের শেষ দিকে কবি গদ্যগ্রন্থাবলী সম্পাদনে মন দিয়াছেন। ইতিপূর্বে তাঁহার কাব্যগ্রন্থ (১৩১০) সম্পাদিত হইয়াছে। গ্যগ্রন্থাবলীর প্রথম খণ্ড ১৩১৪ সালে প্রকাশিত। মজুমদার লাইব্রেরি ইহার প্রকাশক।

৩৭

বেহুলা ও ফুল্লরা: দীনেশচন্দ্র সেন —প্রণীত গ্রন্থদ্বয়। বেহুলা (প্রকাশ ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯০৭), ফুল্লরা (প্রকাশ ৯ মার্চ ১৯০৭)

৪০

পত্রে রথীন্দ্রনাথের বিবাহের কথা বলা হইয়াছে

৪১

সতীর তর্জমা: Sati (10 Oct 1916) ‘গ্রন্থকার-ক্বত সতীর ইংরেজি অনুবাদ’।

ইংরেজি গ্রন্থটি: History of Bengali Language and Literature (1911)

“আমি ১৯০৭ সনে ইংরেজীতে ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে’র ইতিহাস রচনা করি। যাঁহারা এই বই দেখেন নাই, তাঁহাদের অনেকে মনে করিয়া থাকেন ইহা আমার ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ নামক বাঙ্গলা গ্রন্থের ইংরাজি তর্জমা। এই ধারণা একেবারে ভুল। দুই পুস্তকের বিষয়গত সাদৃশ্য অবশ্যই আছে, কিন্তু ইংরেজী বই সম্পূর্ণ নূতন প্রণালীতে লেখা।...তাহা ছাড়া অনেক নূতন কথা এই পুস্তকে সন্নিবেশ করা হইয়াছে যাহা ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে’ নাই।...এই পুস্তক প্রকাশিত হওয়ার পর য়ুরোপের বিখ্যাত

{{left margin|2em|পত্রিকা সমূহে যে সকল সমালোচনা প্রকাশিত হয়—তাহা আমার পক্ষে খুব শ্লাঘনীয় হইয়াছিল।”

— দীনেশচন্দ্র সেন। ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য

৪৪

নূতন বইখানি: ‘নীলমাণিক’, প্রকাশ ভাদ্র ১৩২৫। দ্র° দীনেশচন্দ্র সেন —লিখিত পত্র ৭

৪৫

বৃহৎ বঙ্গ: দীনেশচন্দ্র সেন —রচিত গ্রন্থ (সেপ্টেম্বর ১৯৩৫)। দ্র° দীনেশচন্দ্র সেন —লিখিত পত্র ১১

৪৬

বৃহত্তর বঙ্গ: বৃহৎ বঙ্গ

৪৭

ময়মনসিংহ গীতিকা: দীনেশচন্দ্র সেন —“কর্তৃক সঙ্কলিত এবং সম্পাদিত।”

দীনেশচন্দ্র সেন —লিখিত পত্রাবলী

সাধনা: সাধনা পত্রিকা (১২৯৮ অগ্রহায়ণ-১৩০২ কার্তিক) বিদ্যাসাগর কথা: বিদ্যাসাগরচরিত, সাধনা ভাদ্র-কার্তিক ১৩০২

কণিকা: প্রকাশ ৪ অগ্রহায়ণ ১৩০৬

কথা: প্রকাশ ১ মাঘ ১৩০৬

কাহিনী: প্রকাশ ২৪ ফাল্গুন ১৩০৬

কুন্তী-সংবাদ: কর্ণ-কুন্তী-সংবাদ

ক্ষণিকা: প্রকাশ ২৬ জুলাই ১৯০০

“মহাশয়ের কৃপালিপিখানি পাইয়া”: দ্র° রবীন্দ্রনাথ —লিখিত পত্র ২

“যে কেহ মোরে দিয়েছে দুঃখ” ছত্রটি নিম্নলিখিতভাবে পড়িতে হইবে—

যে কেহ মোরে দিয়েছ দুখ,
দিয়েছ তাঁরি পরিচয়,
সবারে আমি নমি।

—দ্র° গীতবিতান

বঙ্গদর্শনে (শ্রাবণ ১৩১১) ‘নমস্কার’ শিরোনামে প্রথম প্রকাশকালে ছত্রটি এইরূপ ছিল—

যে কেহ মোরে দিয়েছে দুখ,
দিয়েছে তাঁরি পরিচয়,
সবারে আমি নমি।

‘নীলমাণিক’: দ্র° রবীন্দ্রনাথ লিখিত পত্র ৪৪

“আপনি বাংলায় এম. এ. পরীক্ষার সম্বন্ধে মডার্ণ রিভিউতে যে চিঠি লিখিয়াছেন”: এই সঙ্গে মডার্ণ রিভিউ হইতে পত্রখানি সংকলিত হইল—

VERNACULARS FOR THE M.A. DEGREE

 The following letter was written by Sir Rabindranath Tagore to a correspondent, and is published with the latter's permission. Ed., M.R.

Dear—,

 It is needless to say that it has given me great delight to learn of Sir Ashutosh's proposal for introducing Indian vernaculars in the university for the M. A. But at the same time I must frankly admit the misgivings I feel owing to my natural distrust of the spirit of teaching that dominates our university education. Vernacular literature, at least in Bengal, has flourished in spite of its being ignored by the higher branches of our educational organisation. It carried no prospect of reward for its votaries from the Government, nor, in its first stages, any acknowledgment even from our own people. This neglect has been a blessing in disguise, for thus our language and literature have had the opportunity of natural growth, unhampered by worldly temptation, or imposition of outside authority. Our literary language is still in a fluid stage, it is continually trying to adapt itself to new accessions of thought and emotion and to the constant progress in our national life. Necessarily the changes in our life and ideas are more rapid than they are in the countries whose influences are contributing to build the modern epoch of our renaissance. And, therefore, our language, the principal instrument for shaping and storing our ideals, should be allowed to remain much more plastic than it need be in the future when standards have already been formed which can afford a surer basis for our progress.

 But I have found that the direct influence which the Calcutta University wields over our language is not strengthening and vitalising, but pedantic and narrow. It tries to purpetuate the anachronism of preserving the Pundit-made Bengali swathed in grammer-wrappings borrowed from a dead language. It is every day becoming a more formidable obstacle in the way of our boys' acquiring that mastery of their mother tongue which is of life and literature. The artificial language of a learned mediocrity, inert and formal, ponderous and didactic, devoid of the least breath of creative vitality, is forced upon our boys at the most receptive period of their life. I know this, because I have to connive, myself, at a kind of intellectual infanticide when my own students try to drown the natural spontaneity of their expression under some stagnant formalism. It is the old man of the sea keeping his fatal hold upon the youth of our country. And this makes me apprehensive lest the stamping of death's seal upon our living language should be performed on a magnified scale by our university as its final act of tyranny at the last hour of its direct authority.

 In the modern European universities the medium of instruction being the vernacular, the students in receiving, recording and communicating their lessons perpetually come into intimate touch with it, making its acquaintance where it is not slavishly domineered over by one particular sect of academicians. The personalities of various authors, the individualities of their styles, the revelation of the living power of their language are constantly and closely brought to their minds and therefore all that they need for their final degrees is a knowledge of the history and morphology of their mother-tongues. But our students have not the same opportunity, excepting in their private studies and according to their private tastes. And therefore their minds are more liable to come under the influence of some inflexible standard of language manufactured by pedagogues and not given birth to by the genius of artists. I assert once again that those who, from their position of authority, have the power and the wish to help our language in the unfolding of its possibilities, must know that in its present stage freedom of movement is of more vital necessity than fixedness of forms.

 Being an outsider I feel reluctant to make any suggestions, knowing that they may prove unpractical. But as that will not cause an additional injury to my reputation, I make bold to offer you at least one suggestion. The candidates for the M.A. degree in the vernaculars should not be compelled to attend classes, because in the first place, that would be an insuperable obstacle to a great number of students, including ladies who have entered the married state; secondly, the facility of studying Bengali under the most favourable conditions cannot be limited to one particular institution, and the research work which should comprehend different dialects and folk literature can best be carried out outside the class; and lastly, if such freedom be given to the students, the danger of imposing upon their minds the dead uniformity of some artificial standard will be obviated. For the same reason, the university should not make any attempt, by prescribing definite text-books, to impose or even authoritatively suggest any particular line of thought to the students, leaving each to take up the study of any prescribed subject,—grammar, philology, or whatever it may be, along the line best suited to his individual temperament, judging of the result according to the quantity of conscientious work done and the quality of the thought-processes employed.

Yours sincerely
RABINDRANATH TAGORE
ব্যক্তিপরিচয়

অরুণ: দীনেশচন্দ্রের মধ্যম পুত্র
আশু মুখুজ্জে: সার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
কালীমোহন: কালীমোহন ঘোষ
ক্ষিতিমোহনবাবু: ক্ষিতিমোহন সেন
গগন: গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
জগদানন্দ: জগদানন্দ রায়, আশ্রমবিদ্যালয়ের শিক্ষক
দ্বিপেন্দ্রনাথ: দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠপুত্র
নন্দলালবাবু: নন্দলাল বসু।
বঙ্গবাবু: বঙ্গচন্দ্র ভট্টাচার্য
বলেন্দ্রনাথ: কবির ভ্রাতুষ্পুত্র
ভূপেন্দ্রবাবু: ভূপেন্দ্রনাথ সান্যাল
মনোরঞ্জন: মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষক
মহিম ঠাকুর: কর্ণেল মহিমচন্দ্র ঠাকুর
মীরা: কবির কনিষ্ঠা কন্যা মীরা বা অতসী
মোহিতবাবু: মোহিতচন্দ্র সেন
যতীন্দ্রবাবু: যতীন্দ্রনাথ বসু। ইনি এক সময়ে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক ছিলেন।
রথী: রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শমী: কবির কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্র
শৈলেশ: শৈলেশচন্দ্র মজুমদার, শ্রীশচন্দ্র মজুমদারের কনিষ্ঠ ভ্রাতা।
শ্রীশবাবু: শ্রীশচন্দ্র মজুমদার

সতীশ: সতীশচন্দ্র রায় (১২৮৮-১৩১০) ইনি “বি. এ. পরীক্ষার জন্য যখন প্রস্তুত হইতেছেন তখন কবিবর শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের সঙ্গে ইহার পরিচয় ঘটে এবং কিয়ংকালের মধ্যেই তিনি ভবিষ্যৎ সাংসারিক উন্নতির আশা জলাঞ্জলি দিয়া বোলপুর ব্রহ্মচর্যাশ্রমে জীবন উৎসর্গ করেন।”
সত্যেন্দ্র: সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর
সন্তোষ: সন্তোষচন্দ্র মজুমদার
হীরেন্দ্রবাবু: হীরেন্দ্রনাথ দত্ত