১২ ও ১৩ পাতা নেই, তার বদলে অন্য বইয়ের পাতা ঢুকে রয়েছে
জীবনচরিত-
TRANSLATED IN BENGALI
FROM
CHAMBERS'S EDUCATIONAL COURSE
BY
ESHWAR CHANDRA VIDYASAGAR:
FITH EDITION
জীবনচরিত।
শ্রীঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রণীত।
পঞ্চম বার মুদ্রিত
CALCUTTA:
THE SANSKRIT PREESS.
1857.
প্রথম বারের বিজ্ঞাপন।
জীবনচরিত পাঠে দ্বিবিধ মহোপকার লাভ হয়। প্রথমতঃ কোন কোন মহাত্মার অভিপ্রেতার্থসঙ্গনে কৃতকার্য্য হইবার নিমিত্ত যেরূপ অক্লিষ্ট পরিশ্রম, অবিচলিত উৎসাহ, মহীয়সী সহিষ্ণুতা ও দৃঢ়তর অধ্যবসায় প্রদর্শন করিয়াছেন এবং কেহ বহুতর দুর্ব্বিষহ নিগ্রহ ও দারিদ্রনিবন্ধন অশেষ ক্লেশ ভোগ করিয়াও যে ব্যবসায় হইতে বিচলিত হয়েন নাই তৎসমুদায় আলোচনা করিলে এক কালে সহস্র উপদেশের ফল প্রাপ্ত হওয়া যায়। দ্বিতীয়তঃ আনুষঙ্গিক তত্তদ্দেশের তত্তৎকালীন রীতি, নীতি, ইতিহাস ও আচার পরিজ্ঞান হয়। অতএব যে বিষয়ের অনুশীলনে এতাদৃশ মহার্থ লাভ সম্পন্ন হইতে পারে তাহাকে অবশ্যই শিক্ষা কর্মের এক প্রধান অঙ্গ বলিয়া অঙ্গীকার করিতে হইবেক।
রবর্ট ও উইলিয়ম চেম্বর্স, বহুসংখ্যক সুপ্রসিদ্ধ মহানুভব মহাশয়দিগের বৃত্তান্ত সঙ্কলন করিয়া ইঙ্গরেজী ভাষায় যে জীবনচরিত পুস্তক প্রকাশ করিয়াছেন তাহা বাঙ্গালা ভাষায় অনুবাদিত হইলে এতদ্দেশীয় বিদ্যার্থিগণের পক্ষে বিশিষ্টরূপ উপকার দর্শিতে পারে এই আশয়ে আমি ঐ পুস্তকের অনুবাদে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম। কিন্তু সময়াভাব ও অন্যান্য কতিপয় প্রতিবন্ধক বশতঃ তন্মধ্যে আপাততঃ কেবল কোপর্নিকস্ গালিলিয়, নিউটন, হর্শেল, গ্রোশ্যস্, লিনিয়স্, ডুবাল, জেস্কিন্স ও জোন্স এই কয়েক মহাত্মার চরিত অনুবাদিত ও প্রকাশিত হইল।
ইয়ুরোপীয় পদার্থবিদ্যা ও অন্যান্য বিদ্যা সংক্রান্ত অনেক কথার বাঙ্গালা ভাষায় অসঙ্গতি আছে; ঐ অসঙ্গতি পুরণার্থে
কোন কোন স্থানে দুরূহ সংস্কৃত শব্দ প্রয়োগ ও স্থান বিশেষে তত্তৎ কথার অর্থ ও তাৎপর্য্য পর্য্যালোচনা করিয়া তৎপ্রতিরূপ নূতন শব্দ সঙ্কলন করিতে হইয়াছে; পাঠকগণের বোধ সৌকর্য্যার্থে পুস্তকের শেষে তাহাদিগের অর্থ ও ব্যুৎপত্তিক্রম প্রদর্শিত হইল। কিন্তু সঙ্কলিত শব্দ সকল বিশুদ্ধ ও অবিম্বাদিত হইয়াছে কি না সে বিষয়ে আমি অপরিতৃপ্ত রহিলাম।
বাঙ্গালায় ইঙ্গরেজীর অবিকল অনুবাদ করা অত্যন্ত দুরূহ কর্ম্ম; ভাষাদ্বয়ের রীতি ও রচনা পরস্পর নিতান্ত বিপরীত; এই নিমিত্ত, অনুবাদক অত্যন্ত, সাবধান ও যত্নবান হইলেও অনুবাদিত গ্রন্থে রীতিবৈলক্ষণ্য, অর্থ প্রতীতির ব্যতিক্রম ও মূলার্থের বৈকল্য ঘটিয়া থাকে। অতএব আমি ঐ সমস্ত দোষ অতিক্রম করিবার আশয়ে অনেক স্থানে অবিকল অনুবাদ করি নাই; তথাপি এই অনুবাদে ঐ সকল দোষের ভূয়সী সম্ভাবনা আছে, সন্দেহ নাই। যাহা হউক, ইহা সাহস করিয়া বলা যাইতে পারে এই অনুবাদ বিদ্যার্থিগণের পক্ষে নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর হইবেক না।
পরিশেষে অবশ্যকর্ত্তব্য কৃতজ্ঞতাস্বীকারের অন্যথাভাবে অধর্ম্ম জানিয়া, অঙ্গীকার করিতেছি শ্রীযুত মদনমোহন তর্কালঙ্কার শ্রীযুত নীলমাধব মুখোপাধ্যায় প্রভৃতি কয়েক জন বিচক্ষণ বন্ধু এ বিষয়ে যথেষ্ট আনুকূল্য করিয়াছেন।
শ্রীঈশ্বরচন্দ্র শর্ম্মা।
কলিকাতা। ২৭ এ ভাদ্র। শকাব্দাঃ ১৭৭১।
দ্বিতীয় বারের বিজ্ঞাপন।
প্রায় দুই বৎসর অতীত হইল জীবনচরিত প্রথম মুদ্রিত ও প্রচারিত হইয়াছিল। যৎকালে প্রথম প্রচারিত হয় আমার এমন আশাছিলনা ইহা সৰ্বত্র পরিগৃহীত হইবেক। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে ছয় মাসের অনধিক কাল মধ্যেই প্রথম মুদ্রিত সমুদায় পুস্তক নিঃশেষিত হয়। সমুদায় পুস্তক নিঃশেষিত হয় কিন্তু গ্রাহকবর্গের আগ্রহ নিবৃত্তি হয় নাই। সুতরাং অবিলম্বে পুনমুদ্রিত করা অত্যাবশ্যক হইয়াছিল। কিন্তু নানা হেতুবশতঃ আমি অনেক দিন পর্যন্ত পুনর্মুদ্রিত করণ স্থগিত রাখিয়াছিলাম।
বাঙ্গালা ভাষায় ইঙ্গরেজী পুস্তকের অনুবাদ করিলে প্রায় সুস্পষ্ট ও অনায়াসে বোধগম্য হয় না এবং ভাষার রীতির ভূরি ভূরি ব্যতিক্রম ঘটে। আমি ঐ সমস্ত দোষ অতিক্রম করিবার নিমিত্ত বিস্তর প্রয়াস পাইয়াছিলাম এবং আমার পরম বন্ধু শ্রীযুত মদনমোহন তর্কালঙ্কারও আমার অভিপ্রেত সিদ্ধির নিমিত্ত যথেষ্ট পরিশ্রম করিয়াছিলেন। তথাপি মধ্যে মধ্যে অত্যন্ত দুৰ্বোধ ও অত্যন্ত অস্পষ্ট ছিল এবং স্থানে স্থানে ভাষার রীতিরও ব্যতিক্রম ঘটিয়াছিল।
প্রথম বারের মুদ্রিত সমুদায় পুস্তক নিঃশেষিত হইলে যখন জীবনচরিত পুনর্মুদ্রিত করিবার কল্পনা হয় আমি আদ্যন্ত পাঠ করিয়া স্থির করিয়াছিলাম পুনর্ব্বার পরিশ্রম করিলেও ইহা পূর্ব্বনির্দ্দিষ্ট দোষ সমুদায় হইতে মুক্ত হওয়া দুর্ঘট। সুতরাং সঙ্কল্প কুরিয়াছিলাম আর কখন ইঙ্গরেজী পুস্তকের অনুবাদ করিব না এবং এই পুস্তকও পুনর্মুদ্রিত করিব না। এবং এই নিমিত্ত বাঙ্গালার এক নূতন জীবনচরিত পুস্তক সঙ্কলন করিবার বাসনা ও
উদ্যোগ করিয়াছিলাম। কিন্তু গত দুই বৎসর কোল বিষয়ান্তরে একান্ত ব্যাপৃত হইয় এমন অবকাশশূন্য হইয়াছি যে, সে বাসন সম্পন্ন করিতে পারি নাই এবং ত্বরায় সম্পন্ন করিতে পারিব এমন সম্ভাবনাও নাই।
কিন্তু যাবৎ নূতন জীবনচরিত পুস্তক প্রস্তুত না হইতেছে এই পুস্তক পুনর্মুদ্রিত করিলে নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর হইবেক না এই বিবেচনায় পুনর্মুদ্রিত করা আবশ্যক স্থির হওয়াতে দ্বিতীয় বার মুদ্রিত ও প্রচারিত হইল। কোন কোন অংশ একবারেই পরিত্যাগ করিয়াছি, স্থানে স্থানে অনেক পরিবর্ত্ত করিয়াছি, এবং মূলগ্রন্থ বিশদ করিবার আশয়ে মধ্যে মধ্যে কিঞ্চিৎ টীকাও লিখিয়া দিয়াছি। ফলতঃ সুস্পষ্ট ও অনায়াসে বোধগম্য করিবার নিমিত্ত বিস্তর পরিশ্রম করিয়াছি। তথাপি আদ্যোপান্ত সুপষ্ট ও অনায়াসে বোধগম্য হইয়াছে কোন মতেই সম্ভাবিত নহে। যাহা হউক, ইহা অনায়ামে নির্দেশ করিতে পারা যায় জীবনচরিত প্রথম বার যেরূপ মুদ্রিত হইয়াছিল দ্বিতীয় বারে তদপেক্ষায় অনেক অংশে সুস্পষ্ট হইয়াছে।
অংশ, (Degree) অক্ষাংশ। ভূগোলবেত্তারা বিষুবরেখার উত্তর দক্ষিণ অথবা পূর্ব পশ্চিম ভূভাগ ৩৬০ ভাগে বিভক্ত করেন ইহার এক এক ভাগ এক এক অক্ষাংশ।
অযথাভূত, (Perverted) যেরূপ হওয়া উচিত সেরূপ নহে। অযথাভূত দর্শন শাস্ত্র, দর্শন শাস্ত্রের যাহা উদ্দেশ্য তাহ প্রতিপন্ন না করিয়া তদ্বিপরীতার্থ প্রতিপাদক।
অস্থিত পাটীগণিত, (Arithmetic of Infinites) এক প্রকার অঙ্ক শাস্ত্র।
আধিশ্রয়ণিক ব্যবধি, (Focal Distance) অধিশ্রয়ণ অগ্নিস্থান, চুল্লী। আলোকের কিরণ সকল দূরবীক্ষণের মুকুরের মধ্য দিয়া গমন করিয়া যে স্থানে মিলিত হয় তাহাকে অধিশ্রয়ন কহা যায়। মুকুরের সর্বাপেক্ষায় উচ্চভাগ ও অধিশ্রয়ণ এই উভ য়ের অন্তরকে আধিশ্রয়ণিক ব্যবধি কহে।
ঔপনিবেশিক, (Colonial) উপনিবেশ কোন দূর দেশে কৃষিকর্ম্ম ও বাস করিবার নিমিত্ত জন্মভূমি হইতে যে সকল লোক লইয়া যাওয়া যায়; তৎসম্বন্ধীয় ঔপনিবেশিক।
কক্ষ, (Orbit) গ্রহগণের পরিভ্রমণপথ।
কীর্তিস্তম্ভ, (Monument) ঘটনাবিশেষের স্মরণার্থে অথবা ব্যক্তি বিশেষের নাম ও কীর্ত্তি রক্ষার্থে নির্মিত স্তম্ভাদি।
কুলাদর্শ, (Heraldry) বংশাবলী ও বংশপরিচায়ক চিহ্ন বিষয়ক শাস্ত্র।
কুসংস্কার, (Prejudice) সমুচিত বিবেচনা না করিয়া যে সিদ্ধান্ত করা হয়।
কেন্দ্র, (Centre) ঠিক মধ্যস্থান।
গণিত,(Mathematics) পরিমাণ ও অঙ্ক বিষয়ক শাস্ত্র।
গবেষণা, (Research) কোন বিষয়ের তত্ত্বানুসন্ধান।
গ্রহনীহারিকা, (Planetary Nebulae) যে সকল নীহারিকা, গ্রহের লক্ষণাক্রান্ত বোধ হয়।
চরণাবরণ, (Stocking) মোজা।
চরিতাখ্যায়ক, (Biographer) যে ব্যক্তি কোন লোকের জীবন বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ করে।
চিত্রশালিকা, (Museum) চিত্র অদ্ভুত বস্তুত; শালিকা আলয়। যে স্থানে প্রাকৃত ইতিবৃত্ত, পদার্থমীমাংসা ও সাহিত্য বিদ্যা সংক্রান্ত এবং শিল্পসাধিত কৌতুহলোদ্বোধক বস্তু সকল স্থাপিত থাকে।
জাতীয় বিধান, (National Law) বিভিন্ন জাতীয় লোকদিগের পরস্পর ব্যবহার ব্যবস্থাপক শাস্ত্র।
জ্যোতির্ব্বিদ্যা, (Astronomy) গ্রহ, নক্ষত্র, ধূমকেতু প্রভৃতি দিব্যপদার্থের স্বরূপ, সঞ্চার, পরিভ্রমণ কাল, গ্রহণ, শৃঙ্খলা, অন্তর ও সৎসম্বন্ধ সমস্ত ঘটনা নিরূপক শাস্ত্র।
জ্যোতিষ্ক, (Heavenly Bodies) গ্রহ নক্ষত্রাদি।
টঙ্কবিজ্ঞান, (Numismatics) টঙ্ক মুদ্রা, টাকা। নানা দেশীয় ও নানাকালীন টঙ্ক পরিজ্ঞানার্থক বিদ্যা।
তুলামান, (Libration) তুলাদণ্ডে পরিমাণ করণ। চন্দ্রের তুলামান শব্দে চন্দ্রমণ্ডলবৃত্তি পরীবর্ত্ত। এই পরীবর্ত্ত দ্বারা চন্দ্রমণ্ডলের প্রান্তসন্নিহিত কোন কোন অংশের পর্যায়ক্রমে আবির্ভাব ও তিরোভাব হয়।
তূর্য্যাচার্য্য, তূর্য্য (Music) বাদ্য; আচার্য্য উপদেশক। যে ব্যক্তি বাদ্য বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করে।
নক্ষত্রবিদ্যা, (Astrology) গ্রহ, নক্ষত্রাদির স্থিতি ও সঞ্চার অনুসারে শুভাশুভনির্বচন ও ভবিষ্যসংসুচক বিদ্যা।
নাড়ীমণ্ডল, (Equator) বিষুবরেখা। সূর্য্য এই রেখায় উপস্থিত হইলে দিবা রাত্রি সমান হয়।
নীহারিকা, (Nebulae) নীহার কুজ্ঝটিকা। যে সকল নক্ষত্র চক্ষুর গোচর নয় কিন্তু দূরবীক্ষণ দ্বারা অবলোকন করিলে কুজ্ঝটিকাবৎ প্রতীয়মান হয় তৎসমুদায়ের নাম নীহারিকা।
নৈসর্গিক বিধান, (Natural Law) নৈসর্গিক স্বাভাবিক; বিধান নিয়ম, ব্যবস্থা। মানবজাতির ঐশিক নিয়মানুসারী পরস্পর ব্যবহার ব্যবস্থাপক শাস্ত্র। যথা; কেহ কাহারও হিংসা করিবেক না ইত্যাদি।
নৈহারিক নক্ষত্র, (Nebulous Stars) যে সকল নীহারিকা নক্ষত্রের লক্ষণাক্রান্ত বোধ হয়।
পদার্থবিদ্যা, (Natural Philosophy) বিশ্বান্তর্গত সমস্ত পদার্থের তত্ত্ব নির্ণায়ক শাস্ত্র।
পরিপ্রেক্ষিত (Perspective) পরি সর্ব্বতোভাবে; প্রেক্ষিত দর্শন; বস্তু সকল বাস্তবিক সত্তা কালে যেরূপ প্রতীয়মান হয় আলেখ্যে তাহাদিগের তদনুরূপ বিন্যাস নিয়ামক বিদ্যা।
ব্যবহারাজীব, (Lawyer) ব্যবহার মোকদ্দমা; আজীব জীবিকা; যাহারা বাদী প্রতিবাদীর প্রতিনিধি স্বরূপ হইয়া মোকদ্দমা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্য্য নির্ব্বাহ করে। উকীল ইত্যাদি।
শঙ্কু, (Index) ঘড়ীর কাঁটা।
পঙ্কুপট্ট, (Dial-Plate) দণ্ড পলাদি চিহ্নিত শঙ্কুদণ্ডের আধার।
শতাব্দী, (Century) শত বৎসরাত্মক কাল; সংবৎ ১৯০১ অবধি ২০০০ পর্যন্ত কাল এক শতাব্দী;তদনুসারে ইহা কহা যাইতে পারে, এক্ষণে বিক্রমাদিত্যের বিংশ শতাব্দী চলিতেছে।
স্থিতিস্থাপক, (Elasticity) আকুঞ্চন, প্রসারণ, অভিঘাতাদি কারুলেও বস্তু সকল যে নৈসর্গিক গুণ প্রভাবে পুনর্বার পর্ব্বতপ্রাপ্ত হয়।
স্বাত্মরক্ষা, (Fencing) আক্রমণ অথবা আত্মরক্ষার্থে তরবারি প্রয়োগ বিষয়ক নৈপুণ্যসাধন বিদ্যা।
এই লেখাটি ১ জানুয়ারি ১৯২৯ সালের পূর্বে প্রকাশিত এবং বিশ্বব্যাপী পাবলিক ডোমেইনের অন্তর্ভুক্ত, কারণ উক্ত লেখকের মৃত্যুর পর কমপক্ষে ১০০ বছর অতিবাহিত হয়েছে অথবা লেখাটি ১০০ বছর আগে প্রকাশিত হয়েছে ।