ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা
[শ্রীঅরবিন্দের A Defence of Indian
Culture হইতে অনূদিত]
অনুবাদক
শ্রীঅনিলবরণ রায়
মডার্ণ বুক্ এজেন্সি
পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক
১০নং কলেজ স্কোয়ার, কলিকাতা।
শ্রী উপেন্দ্রচন্দ্র ভট্টাচার্য্য
প্রিণ্টার—সুরেশচন্দ্র মজুমদার
৭১।১ মির্জ্জাপুর স্ট্রীট, কলিকাতা
শ্রীঅরবিন্দের
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা
ভূমিকা
স্বাধীন ভারতে স্বরাজের রূপ কি হইবে, তাহা লইয়া আজকাল নানা জল্পনা-কল্পনা চলিতেছে, নানা খস্ড়া রচিত হইতেছে। কেহ বিলাতের পার্লামেণ্টের অনুসরণ করিতে চাহেন, কেহ চাহেন রুসিয়ার ন্যায় কম্যুনিজম্, কেহ চাহেন আমেরিকার ন্যায় ফেডারেশন; কিন্তু ভারত যে একটা অতি পুরাতন দেশ, ভারতেরও নিজস্ব রাষ্ট্রপ্রতিভা আছে, রাষ্ট্রগঠনের ধারা আছে, সে কথাটা কাহারও মনে উঠে না। ভারত যেন অষ্ট্রেলিয়া বা কানাডার ন্যায় একটা নূতন দেশ, এখানে কেহ কখনও রাজত্ব করে নাই, রাষ্ট্র পরিচালনা করে নাই, সাম্রাজ্য গঠন করে নাই! ভারতের সেই অতীত রাষ্ট্রনীতি এখনও ভারতবাসীর অবচেতনায় অনুস্যূত রহিয়াছে, তাই তাহারা কোন বিদেশী ধরণের অনুষ্ঠান গ্রহণ করিতে পারিতেছে না। নেহরু কমিটীর নির্দ্দেশ অনুসারে কংগ্রেস যে ভারতের জন্য বিলাতের অনুকরণে পার্লামেণ্টারি গবর্ণমেণ্টের আদর্শ গ্রহণ করিয়াছে, তাহা আমাদের দেশে কিছুতেই চলিবে না, এ কথা আমরা জোর করিয়াই বলিতে পারি। আমরা বলিতেছি না যে, প্রাচীন ভারতে যেমন রাষ্ট্রগঠন ও শাসনতন্ত্র ছিল, বর্ত্তমানে আবার ঠিক তাহাই স্থাপন করিতে হইবে। কিন্তু, সেই জাতীয় ধারার বিকাশ করিয়াই বর্তমান কালোপযোগী রাষ্ট্রের সৃজন করিতে হইবে, কেবল এই ভাবেই ভারতের অতি জটিল রাষ্ট্রনীতিক সমস্যা সমূহের সন্তোষজনক সমাধান হইতে পারে। প্রাচীন ভারতে রাষ্ট্রনীতি কিরূপ ছিল, তাহারই সংক্ষিপ্তঃ পরিচয় দেওয়া এই গ্রন্থের উদ্দেশ্য। কয়েক বৎসর পূর্ব্বে Arya পত্রিকায় শ্রীঅরবিন্দের “A Defence of 1ndian Culture” নামে যে প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছিল, তাহারই শেষাংশ এখানে অনুবাদিত হইয়াছে।
সূচীপত্র
এই লেখাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত কারণ এটি ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারির পূর্বে প্রকাশিত।
লেখক ১৯৫০ সালে মারা গেছেন, তাই এই লেখাটি সেই সমস্ত দেশে পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত যেখানে কপিরাইট লেখকের মৃত্যুর ৭০ বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকে। এই রচনাটি সেই সমস্ত দেশেও পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত হতে পারে যেখানে নিজ দেশে প্রকাশনার ক্ষেত্রে প্রলম্বিত কপিরাইট থাকলেও বিদেশী রচনার জন্য স্বল্প সময়ের নিয়ম প্রযোজ্য হয়।
এই লেখাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত কারণ এটি ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারির পূর্বে প্রকাশিত।
লেখক ১৯৭৪ সালে মারা গেছেন, তাই এই লেখাটি সেই সমস্ত দেশে পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত যেখানে কপিরাইট লেখকের মৃত্যুর ৩০ বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকে। এই রচনাটি সেই সমস্ত দেশেও পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত হতে পারে যেখানে নিজ দেশে প্রকাশনার ক্ষেত্রে প্রলম্বিত কপিরাইট থাকলেও বিদেশী রচনার জন্য স্বল্প সময়ের নিয়ম প্রযোজ্য হয়।