মহাভারত (রাজশেখর বসু)/বনপর্ব/রামোপাখ্যানপর্বাধ্যায়
॥ রামোপাখ্যানপর্বাধ্যায়॥
৫৪। রামের উপাখ্যান
যুধিষ্ঠির মার্কণ্ডেয়কে প্রশ্ন করলেন, ভগবান, আমার চেয়ে মন্দভাগ্য কোনও রাজার কথা আপনি জানেন কি? মার্কণ্ডেয় বললেন, রাম যে দুঃখ ভোগ করেছিলেন, তার তুলনা নেই। যুধিষ্ঠিরের অনুরোধে মার্কণ্ডেয় এই ইতিহাস বললেন।—[১]
ইক্ষ্বাকুবংশীয় রাজা দশরথের চার মহাবল পুত্র ছিলেন—রাম লক্ষ্মণ ভরত শত্রুঘ্ন। রামের মাতা কৌশল্যা, ভরতের মাতা কৈকেয়ী এবং লক্ষ্মণ-শত্রুঘ্নের মাতা সুমিত্রা। বিদেহরাজ জনকের কন্যা সীতার সঙ্গে রামের বিবাহ হয়। এখন রাবণের জন্মকথা শোন। পুলস্ত্য নামে ব্রহ্মার এক মানসপুত্র ছিলেন, তাঁর পুত্র বৈশ্রবণ। এই বৈশ্রবণই শিবের সখা ধনপতি কুবের। ব্রহ্মার প্রসাদে তিনি রাক্ষসপুরী লঙ্কার অধিপতি হন এবং পুষ্পক বিমান লাভ করেন। বৈশ্রবণ তাঁর পিতাকে ত্যাগ ক’রে ব্রহ্মার সেবা করেছিলেন এজন্য পুলস্ত্য ক্রুদ্ধ হ’য়ে দেহান্তর গ্রহণ করেন, তখন তাঁর নাম হয় বিশ্রবা। বিভিন্ন রাক্ষসীর গর্ভে বিশ্রবার কতকগুলি সন্তান হয়—পুষ্পোৎকটার গর্ভে রাবণ ও কুম্ভকর্ণ, রাকার গর্ভে খর ও শূর্পণখা এবং মালিনীর গর্ভে বিভীষণ। কুবেরের উপর ঈর্ষান্বিত হ’য়ে রাবণ কঠোর তপস্যা করেন, তাতে ব্রহ্মা তুষ্ট হয়ে তাঁকে বর দেন যে, মানুষ ভিন্ন কোনও প্রাণীর হস্তে তাঁর পরাভব হবে না। রাবণ কুবেরকে পরাস্ত ক’রে লঙ্কা থেকে তাড়িয়ে দিলেন এবং স্বয়ং লঙ্কার অধীশ্বর হলেন। কুবের গন্ধমাদন পর্বতে গেলেন, ধর্মাত্মা বিভীষণও তাঁর অনুসরণ করলেন।
রাবণের উৎপীড়নে কাতর হ’য়ে ব্রহ্মর্ষি ও দেবর্ষিগণ অগ্নিকে অগ্রবর্তী ক’রে ব্রহ্মার শরণাপন্ন হলেন। ব্রহ্মা আশ্বাস দিলেন যে রাবণের নিগ্রহের জন্য বিষ্ণু ধরায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ব্রহ্মার উপদেশে ইন্দ্রাদি দেবগণ বানরী আর ভল্লুকীর গর্ভে পুত্র উৎপাদন করলেন। দুন্দুভী নামে এক গন্ধর্বী মন্থরা নামে কুব্জারূপে জন্মগ্রহণ করলে।
বৃদ্ধ দশরথ যখন রামকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করবার সংকল্প করলেন তখন দাসী মন্থরার প্ররোচনায় কৈকেয়ী রাজার কাছে এই বর আদায় করলেন যে রাম চতুর্দশ বৎসরের জন্য বনে যাবেন এবং ভরত যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত হবেন। পিতৃসত্য রক্ষার জন্য রাম বনে গেলেন, সীতা ও লক্ষ্মণও তাঁর অনুগমন করলেন। পুত্রশোকে দশরথের প্রাণবিয়োগ হ’ল। ভরত তাঁর মাতাকে ভর্ৎসনা ক’রে রাজ্য প্রত্যাখ্যান করলেন এবং রামকে ফিরিয়ে আনবার ইচ্ছায় বশিষ্ঠাদি ব্রাহ্মণগণ ও আত্মীয়স্বজন সহ চিত্রকূটে গেলেন, কিন্তু রাম সম্মত হলেন না। ভরত নন্দিগ্রামে গিয়ে রামের পাদুকা সম্মুখে রেখে রাজ্যচালনা করতে লাগলেন।
রাম চিত্রকূট থেকে দণ্ডকারণ্যে গেলেন। সেখানে শূর্পণখার জন্য জনস্থানবাসী খরের সঙ্গে তাঁর শত্রুতা হল। খর ও তার সহায় দূষণকে রাম বধ করলেন। শূর্পণখা তার ছিন্ন নাসিকা আর ওষ্ঠ নিয়ে রাবণের পায়ে প’ড়ে কাঁদতে লাগল। রাবণ ক্রুদ্ধ হয়ে প্রতিশোধের সংকল্প করলেন। তিনি তাঁর পূর্ব অমাত্য মারীচকে বললেন, তুমি রত্নশৃঙ্গ বিচিত্ররোমা মৃগ হয়ে সীতাকে প্রলুব্ধ কর। রাম তোমাকে ধরতে গেলে আমি সীতাকে হরণ করব। মারীচ অনিচ্ছায় রাবণের আদেশ পালন করলে। রাম মৃগরূপী মারীচের অনুসরণ করলেন, মারীচ শরাহত হয়ে রামের তুল্য কণ্ঠস্বরে ‘হা সীতা হা লক্ষ্মণ’ ব’লে চিৎকার করে উঠল। সীতা ভয় পেয়ে লক্ষ্মণকে যেতে বললেন। লক্ষ্মণ তাঁকে আশ্বস্ত করবার চেষ্টা করলেন, কিন্তু সীতার কটু বাক্য শুনে অগত্যা রামের সন্ধানে গেলেন। এই সুযোগে রাবণ সীতাকে হরণ ক’রে আকাশপথে নিয়ে চললেন।
গৃধ্ররাজ জটায়ু দশরথের সখা ছিলেন। তিনি সীতাকে রাবণের ক্রোড়ে দেখে তাঁকে উদ্ধার করবার চেষ্টা করলেন, কিন্তু রাবণের হস্তে নিহত হলেন। সীতা তাঁর অলংকার খুলে ফেলতে লাগলেন। একটি পর্বতের উপরে পাঁচটি বানর ব’সে আছে দেখে তিনি তাঁর পীতবর্ণ উত্তরীয় খুলে ফেলে দিলেন। রাবণ লঙ্কায় উপস্থিত হয়ে সীতাকে অশোকবনে বন্দিনী ক’রে রাখলেন।
রাম আশ্রমে ফেরবার পথে লক্ষাণকে দেখতে পেলেন। তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে আশ্রমে এসে দেখলেন সীতা নেই। রাম-লক্ষ্মণ ব্যাকুল হয়ে সীতাকে খুঁজতে খুঁজতে মরণাপন্ন জটায়ুকে দেখতে পেলেন। সীতাকে নিয়ে রাবণ দক্ষিণ দিকে গেছেন এই সংবাদ ইঙ্গিতে জানিয়ে জটায়ু প্রাণত্যাগ করলেন।
যেতে যেতে রাম-লক্ষণ এক কবন্ধরূপী রাক্ষস কর্তৃক আক্রান্ত হলেন এবং তার দুই বাহু কেটে ফেললেন। মৃত কবন্ধের দেহ থেকে এক গন্ধর্ব নির্গত হয়ে বললে, আমার নাম বিশ্বাবসু ব্রাহ্মণশাপে রাক্ষস হয়েছিলাম। তোমরা ঋষ্যমূক পর্বতে সুগ্রীবের কাছে যাও, সীতার উদ্ধারে তিনি তোমাদের সাহায্য করবেন। রাম-লক্ষ্মণ ঋষ্যমূকে চললেন, পথে সুগ্রীবের সচিব হনুমানের সঙ্গে তাঁদের আলাপ হ’ল। তাঁরা সুগ্রীবের কাছে এসে সীতার উত্তরীয় দেখলেন। রামের সঙ্গে সুগ্রীবের সখ্য হ’ল। রাম জানলেন যে সুগ্রীবকে তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বালী কিষ্কিন্ধ্যা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন এবং ভ্রাতৃবধূকেও আত্মসাৎ করেছেন। রামের উপদেশে সুগ্রীব বালীকে যুদ্ধে আহ্বান করলেন। দুই ভ্রাতায় ঘোর যুদ্ধ হ’তে লাগল, সেই সময়ে রাম বালীকে শরাঘাত করলেন। রামকে ভর্ৎসনা ক’রে বালী প্রাণত্যাগ করলেন, সুগ্রীব কিষ্কিন্ধ্যারাজ্য এবং চন্দ্রমুখী বিধবা তারাকে পেলেন।
অশোকবনে সীতাকে রাক্ষসীরা দিবারাত্র পাহারা দিত এবং সর্বদা তর্জন করত। একদিন ত্রিজটা নামে এক রাক্ষসী তাঁকে বললে, সীতা, ভয় ত্যাগ কর। অবিন্ধ্য নামে এক বৃদ্ধ রাক্ষসশ্রেষ্ঠ তোমাকে জানাতে বলেছেন যে রাম-লক্ষাণ কুশলে আছেন এবং শীঘ্রই সুগ্রীবের সঙ্গে এসে তোমাকে মুক্ত করবেন। আমিও এক ভীষণ স্বপ্ন দেখেছি যে রাক্ষসসেনা ধ্বংস হবে।
সীতার উদ্ধারের জন্য সুগ্রীব কোনও চেষ্টা করছেন না দেখে রাম লক্ষ্মণকে তাঁর কাছে পাঠালেন। সুগ্রীব বললেন, আমি অকৃতজ্ঞ নই, সীতার অন্বেষণে সর্ব—দিকে বানরদের পাঠিয়েছি, আর পাঁচ দিনের মধ্যে তারা ফিরে আসবে। তার পর একদিন হনুমান এসে জানালেন যে তিনি সমুদ্র লঙ্ঘন করে সীতার সঙ্গে দেখা ক’রে এসেছেন। অনন্তর রাম বিশাল বানর-ভল্লুক সৈন্য নিয়ে যাত্রা করলেন। সমুদ্র রামকে স্বপ্নযোগে দর্শন দিয়ে বললেন, তোমার সৈন্যদলে বিশ্বকর্মার পুত্র নল আছেন, তাঁকে সেতু নির্মাণ করতে বল। রামের আজ্ঞায় সমুদ্রের উপর সেতু নির্মিত হ’ল, তা এখনও নলসেতু নামে খ্যাত। এই সময়ে বিভীষণ ও তাঁর চারজন সচিব এসে রামের সঙ্গে মিলিত হলেন। রাম সসৈন্যে এক মাস সেতুপথে সমুদ্র পার হলেন এবং লঙ্কায় সৈন্যসমাবেশ করলেন।
অঙ্গদ রাবণের কাছে গিয়ে রামের এই বার্তা জানালেন।—সীতাকে হরণ ক’রে তুমি আমার কাছে অপরাধী হয়েছ, কিন্তু তোমার অপরাধে নিরপরাধ লোকেও বিনষ্ট হবে। তুমি যেসকল ঋষি ও রাজর্ষি হত্যা করেছ, দেবগণকে অপমান করেছ, নারীহরণ করেছ, তার প্রতিফল এখন পাবে। তুমি জানকীকে মুক্ত কর, নতুবা পৃথিবী রাক্ষসশূন্য করব। রাবণের আদেশে চার জন রাক্ষস অঙ্গদকে ধরতে গেল, তিনি তাদের বধ ক’রে রামের কাছে ফিরে এলেন।
রামের আজ্ঞায় বানররা লঙ্কার প্রাচীর ও গৃহাদি ভেঙে ফেললে। দুই পক্ষে ঘোর যুদ্ধ হ’তে লাগল, প্রহস্ত ধূম্রাক্ষ প্রভৃতি সেনাপতি এবং বহু রাক্ষস নিহত হ’ল। লক্ষ্মণ কুম্ভকর্ণকে বধ করলেন। ইন্দ্রজিৎ মায়াবলে অদৃশ্য হয়ে রাম-লক্ষ্মণকে শরাঘাতে নির্জিত করলেন। সুগ্রীব মহৌষধি বিশল্যা দ্বারা তাঁদের সুস্থ করলেন। বিভীষণ জানালেন যে কুবেরের কাছ থেকে এক যক্ষ মন্ত্রসিদ্ধ জল নিয়ে এসেছে, এই জলে চোখ ধুলে অদৃশ্য প্রাণীদের দেখা যায়। রাম লক্ষ্মণ সুগ্রীব হনমান প্রভৃতি সেই জল চোখে দিলেন, তখন সমস্তই তাঁদের দৃষ্টিগোচর হ’ল। ইন্দ্রজিৎ আবার যুদ্ধ করতে এলেন। বিভীষণ ইঙ্গিত করলেন যে ইন্দ্রজিৎ এখনও আহ্ণিক করেন নি, এই অবস্থাতেই তাঁকে বধ করা উচিত। কিছুক্ষণ ঘোর যুদ্ধের পর লক্ষ্মণ শরাঘাতে ইন্দ্রজিতের দুই বাহু ও মস্তক ছেদন করলেন।
পুত্রশোকে বিভ্রান্ত হয়ে রাবণ সীতাকে বধ করতে গেলেন। অবিন্ধ্য তাঁকে বললেন, স্ত্রীহত্যা অকর্তব্য, আপনি এঁর স্বামীকেই বধ করুন। রাবণ যুদ্ধভূমিতে এসে মায়া সৃষ্টি করলেন, তাঁর দেহ থেকে শতসহস্র অস্ত্রধারী রাক্ষস নির্গত হ’তে লাগল। তিনি রাম-লক্ষণের রূপ গ্রহণ ক’রে ধাবিত হলেন। এই সময়ে ইন্দ্রসারথি মাতলি এক দিব্য রথ এনে রামকে বললেন, আপনি এই রথে চড়ে যুদ্ধে করুন। রাম রথারোহণ ক’রে রাবণকে আক্রমণ করলেন। রাবণ এক ভীষণ শূল নিক্ষেপ করলেন, রাম তা শরাঘাতে ছেদন করলেন। তার পর তিনি তাঁর তূণ থেকে এক উত্তম শর তুলে নিয়ে ব্রহ্মাস্ত্রমন্ত্রে প্রভাবান্বিত করলেন এবং জ্যাকর্ষণ ক’রে মোচন করলেন। সেই শরের আঘাতে রাবণের দেহ অশ্ব রথ ও সারথি প্রজজ্জ্বলিত হয়ে উঠল, রাবণের ভস্ম পর্যন্ত রইল না।
রাবণবধের পর রাম বিভীষণকে লঙ্কারাজ্য দান করলেন। অনন্তর বৃদ্ধ মন্ত্রী অবিন্ধ্য বিভীষণের সঙ্গে সীতাকে নিয়ে রামের কাছে এসে বললেন, সুচরিত্রা দেবী জানকীকে গ্রহণ করুন। বাষ্পাকুলনয়না শোকার্তা সীতাকে রাম বললেন, বৈদেহী, আমার যা কর্তব্য তা করেছি। আমি তোমার পতি থাকতে তুমি রাক্ষসগৃহে বার্ধক্যদশা পাবে তা হ’তে পারে না, এই কারণেই আমি রাবণকে বধ করেছি। আমার ন্যায় ধর্মজ্ঞ লোক পরহস্তগতা নারীকে ক্ষণকালের জন্যও নিতে পারে না। তুমি সচ্চরিত্রা বা অসচ্চরিত্রা যাই হও, কুক্কুরভুক্ত হবির ন্যায় তোমাকে আমি ভোগের জন্য নিতে পারি না।
এই দারুণ বাক্য শুনে সীতা ছিন্ন কদলীতরুর ন্যায় ভূপতিত হলেন। এই সময়ে ব্রহ্মা ইন্দ্র অগ্নি বায়ু প্রভৃতি দেবগণ, সপ্তর্ষিগণ, এবং দিব্যমূর্তি রাজা দশরথ হংসযুক্ত বিমানে এসে দর্শন দিলেন। সীতা রামকে বললেন, রাজপুত্র, তোমার উপর আমার ক্রোধ নেই, স্ত্রীপুরুষের গতি আমার জানা আছে। যদি আমি পাপ ক’রে থাকি তবে আমার অন্তশ্চর প্রাণবায়ু আমাকে ত্যাগ করুন। যদি আমি স্বপ্নেও অন্য পুরুষকে চিন্তা না ক’রে থাকি তবে বিধাতার নির্দেশে তুমিই আমার পতি থাক। তখন দেবতারা রামকে বললেন, অতি সূক্ষ্ম পাপও মৈথিলীর নেই, তুমি এঁকে গ্রহণ কর। দশরথ বললেন, বৎস, তোমার মঙ্গল হক, চতুর্দশ বর্ষ পূর্ণ হয়েছে, তুমি অযোধ্যায় গিয়ে রাজ্যশাসন কর।
মৃত বানরগণ দেবগণের বরে পুনর্জীবিত হ’ল। সীতা হনুমানকে বর দিলেন, পুত্র, রামের কীর্তি যত দিন থাকবে তুমিও তত দিন বাঁচবে, দিব্য ভোগ্যবস্তু সর্বদাই তোমার নিকট উপস্থিত হবে। তার পর রাম সীতার সঙ্গে পুষ্পক বিমানে কিষ্কিন্ধ্যায় ফিরে এলেন এবং অঙ্গদকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত ক’রে সুগ্রীবাদির সঙ্গে অযোধ্যায় যাত্রা করলেন। নন্দিগ্রামে এলে ভরত তাঁকে রাজ্যের ভার প্রত্যর্পণ করলেন। শুভনক্ষত্রযোগে বশিষ্ঠ ও বামদেব রামকে রাজপদে অভিষিক্ত করলেন। সুগ্রীব বিভীষণ প্রভৃতি স্বরাজ্যে ফিরে গেলেন। রাম গোমতীতীরে মহাসমারোহে দশ অশ্বমেধ যজ্ঞ সম্পন্ন করলেন।
উপাখ্যান শেষ ক’রে মার্কণ্ডেয় বললেন, বনবাসকালে রাম এইপ্রকার দারুণ বিপদ ভোগ করেছিলেন। যুধিষ্ঠির, তুমি শোক ক’রো না, তোমার বীর দ্রাতাদের সাহায্যে তুমিও শত্রুজয় করবে।
- ↑ এই রামোপাখ্যান বাল্মীকি-রামায়ণের সঙ্গে সর্বত্র মেলে না, সীতার বনবাস প্রভৃতি উত্তরকাণ্ডবর্ণিত ঘটনাবলী এতে নেই।