মহাভারত (রাজশেখর বসু)/সভাপর্ব/সভাক্রিয়াপর্বাধ্যায়

সভাপর্ব

॥ সভাক্রিয়াপর্বাধ্যায়॥

১। ময় দানবের সভানির্মাণ

 কৃষ্ণ ও অর্জুন নদীতীরে উপবিষ্ট হ’লে ময় দানব কৃতাঞ্জলিপটে সবিনয়ে অর্জুনকে বললেন, কৌন্তেয়, আপনি কৃষ্ণের ক্রোধ আর অগ্নির দহন থেকে আমাকে রক্ষা করেছেন। আপনার প্রত্যুপকার কি করব বলুন। অর্জুন উত্তর দিলেন, তোমার কর্তব্য সবই তুমি করেছ, তোমার মঙ্গল হ’ক, তোমার আর আমার মধ্যে যেন সর্বদা প্রীতি থাকে: এখন তুমি যেতে পার। ময় বললেন, আমি দানবগণের বিশ্বকর্মা ও মহাশিল্পী, আপনাকে তুষ্ট করবার জন্য আমি কিছু করতে ইচ্ছা করি। অর্জুন বললেন, প্রাণরক্ষার জন্য তুমি কৃতজ্ঞ হয়েছ, এ-অবস্থায় তোমাকে দিয়ে আমি কিছ করাতে চাই না। তোমার অভিলাষ ব্যর্থ করতেও চাই না, তুমি কৃষ্ণের জন্য কিছু কর, তাতেই আমার প্রত্যুপকার হবে।

 ময় দানবের অনুরোধ শুনে কৃষ্ণ একটু ভেবে বললেন, শিল্পিশ্রেষ্ঠ, যদি তুমি আমাদের প্রিয়কার্য করতে চাও তবে ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরের জন্য এমন এক সভা নির্মাণ কর যার অনুকরণ মাননুষের অসাধ্য। তার পর কৃষ্ণ ও অর্জুনে ময়কে যুধিষ্ঠিরের কাছে নিয়ে গেলেন। কিছুকাল গত হ'লে সবিশেষ চিন্তার পর ময় সভানির্মাণে উদ্‌যোগী হলেন এবং পুণ্যদিনে মাঙ্গলিক কার্য সম্পন্ন ক’রে ব্রাহমণগণকে সঘৃত পায়স ও বহূবিধ ধনরত্ন দিয়ে তুষ্ট করলেন। তার পর তিনি চতুর্দিকে দশ হাজার হাত পরিমাপ ক'রে সর্ব ঋতুর উপযুক্ত সভাস্থান নির্বাচন করলেন।

 জনার্দন কৃষ্ণ এতদিন ইন্দ্রপ্রস্থে সুখে বাস করছিলেন, এখন তিনি পিতার কাছে যেতে ইচ্ছুক হলেন। তিনি পিতৃষ্বসা কুন্তীর চরণে প্রণাম ক’রে ভগিনী সুভদ্রার কাছে সস্নেহে বিদায় নিলেন এবং দ্রৌপদীর সঙ্গে দেখা ক’রে তাঁর হাতে সুভদ্রাকে সমর্পণ করলেন। তার পর তিনি স্বস্তিবাচন করিয়ে ব্রাহ্মণদের দক্ষিণা দিলেন এবং শূভমুহূর্তে স্বর্ণভূষিত দ্রুতগামী রথে আরোহণ করলেন। কৃষ্ণের সারথি দারুককে সরিয়ে দিয়ে যুধিষ্ঠির নিজেই বল্‌গা হাতে নিলেন, অর্জুনও শ্বেত চামর নিয়ে রথে উঠলেন। ভীম, নকুল, সহদেব ও পুরবাসিগণ রথের পিছনে চললেন। এইরূপে অর্ধ যোজন গিয়ে কৃষ্ণ যুধিষ্ঠিরের পাদবন্দনা ক’রে তাঁকে ফিরে যেতে বললেন। তিনি ভীমসেনকে অভিবাদন এবং অর্জুনকে গাঢ় আলিঙ্গন করলেন, নকুল-সহদেব কৃষ্ণকে প্রণাম করলেন, তার পর কৃষ্ণ পাণ্ডবগণের সকলকেই আলিঙ্গন করলেন। অনন্তর যুধিষ্ঠিরের অনুমতি নিয়ে কৃষ্ণ দ্বারকার অভিমুখে যাত্রা করলেন। তাঁর রথ অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত পাণ্ডবগণ তাঁর দিকে চেয়ে রইলেন।

 পাণ্ডবগণ ইন্দ্রপ্রস্থে ফিরে এলে ময় দানব অর্জুনকে বললেন, আমাকে অনুমতি দিন আমি একবার কৈলাসের উত্তরবর্তী মৈনাক পর্বতে যাব। পুরাকালে দানবগণ সেখানে যজ্ঞ করতে ইচ্ছা করেছিলেন, তার জন্য আমি বিন্দু সরোবরের নিকট কতকগুলি বিচিত্র ও মনোহর মণিময় দ্রব্য সংগ্রহ করেছিলাম যা দানবরাজ বৃষপর্বার সভায় দেওয়া হয়। যদি পাওয়া যায় তবে সেগুলি আমি আপনাদের সভার জন্য নিয়ে আসব। বিন্দুসরোবরের তীরে রাজা বৃষপর্বার গদা আছে, তা স্বর্ণবিন্দুতে অলংকৃত, ভারসহ, দৃঢ় এবং লক্ষ গদার তুল্য শত্রুঘাতিনী। সেই গদা ভীমের যোগ্য। সেখানে দেবদত্ত নামক বরুণের শঙ্খও আছে। এই সবই আমি আপনাদের জন্য আনব।

 ঈশান কোণে যাত্রা ক’রে ময় মৈনাক পর্বতে উপস্থিত হলেন। তিনি গদা, শঙ্খ, বৃষপর্বার স্ফটিকময় সভাদ্রব্য, এবং কিংকর নামক রাক্ষসগণ কর্তৃক রক্ষিত ধনরাশি সংগ্রহ করে ইন্দ্রপ্রস্থে ফিরে এলেন এবং ভীমকে গদা আর অর্জুনকে দেবদত্ত শঙ্খ দিলেন। তার পর ময় ত্রিলোকবিখ্যাত দিব্য মণিময় সভা নির্মাণ করলেন যার দীপ্তিতে যেন সূর্যের প্রভাও পরাস্ত হ’ল। এই বিশাল সভা নবোদিত মেঘের ন্যায় আকাশ ব্যাপ্ত ক’রে রইল। তার প্রাচীর ও তোরণ রত্নময়, অভ্যন্তর বহুবিধ উত্তম দ্রব্যে ও চিত্রে সজ্জিত। কিংকর নামক আট হাজার আকাশচারী মহাকায় মহাবল রাক্ষস সেই সভা রক্ষা করত। ময় দানব সেখানে একটি অতুলনীয় সরোবর রচনা করলেন, তার সোপান স্ফটিকনির্মিত, জল অতি নির্মল, বিবিধ মণিরত্নে সমাকীর্ণ এবং স্বর্ণময় পদ্ম মৎস্য ও কূর্মে শোভিত। যে রাজারা দেখতে এলেন তাঁদের কেউ কেউ সরোবর ব’লে বুঝতে না পেরে জলে প’ড়ে গেলেন। সভাস্থানের সকল দিকেই পুষ্পিত বৃক্ষশোভিত উদ্যান ও হংসকারণ্ডবাদি-সমন্বিত পুষ্করিণী ছিল। চোদ্দ মাসে সকল কার্য সম্পন্ন করে ময় যধিষ্ঠিরকে সংবাদ দিলেন যে সভা প্রস্তুত হয়েছে।

 যুধিষ্ঠির ঘৃত ও মধু মিশ্রিত পায়স, ফলমূল, বরাহ ও হরিণের মাংস, তিলমিশ্রিত অন্ন প্রভৃতি বিবিধ ভোজ্য দিয়ে দশ হাজার ব্রাহ্মণ ভোজন করালেন এবং তাঁদের উত্তম বসন, মাল্য ও বহু সহস্র গাভী দান করলেন। তার পর গীত বাদ্য সহকারে দেবপূজা ও বিগ্রহস্থাপন ক’রে সভায় প্রবেশ করলেন। সাত দিন ধরে মল্ল বল্ল[১] সূত বৈতালিক প্রভৃতি যুধিষ্ঠিরাদির মনোরঞ্জন করলে। নানা দেশ থেকে আগত ঋষি ও নৃপতিদের সঙ্গে পাণ্ডবগণ সেই সভায় আনন্দে বাস করতে লাগলেন।

২। যুধিষ্ঠির-সকাশে নারদ

 একদিন দেবর্ষি নারদ পারিজাত, রৈবত, সুমুখ ও সৌম্য এই চার জন ঋষির সঙ্গে পাণ্ডবদের সভায় উপস্থিত হলেন। যাধিষ্ঠির যথাবিধি আসন অর্ঘ্য গো মধুপর্ক ও রত্নাদি দিয়ে সংবর্ধনা করলে নারদ প্রশ্নচ্ছলে ধর্ম কাম ও অর্থ বিষয়ক এইপ্রকার বহু উপদেশ দিলেন।―মহারাজ, তুমি অর্থচিন্তার সঙ্গে সঙ্গে ধর্মচিন্তাও কর তো? কাল বিভাগ ক’রে সমভাবে ধর্ম অর্থ ও কামের সেবা কর তো? তোমার দুর্গসকল যেন ধনধান্য জল অস্ত্র যন্ত্র যোদ্ধা ও শিল্পিগণে পরিপূর্ণ থাকে। কঠোর দণ্ড দিয়ে তুমি যেন প্রজাদের অবজ্ঞাভাজন হয়ো না। বীর, বুদ্ধিমান, পবিত্রস্বভাব, সদ্‌বংশজ ও অনুরক্ত ব্যক্তিকে সেনাপতি করবে। সৈন্যগণকে যথাকালে খাদ্য ও বেতন দেবে। শরণাগত শত্রুকে পুত্রবৎ রক্ষা করবে। পররাজ্য জয় ক’রে যে ধনরত্ন পাওয়া যাবে তার ভাগ প্রধান প্রধান যোদ্ধাদের যোগ্যতা অনুসারে দেবে। তোমার যা আয় তার অর্ধেক বা এক-তৃতীয়াংশে বা এক-চতুর্থাংশে নিজের ব্যয় নির্বাহ করবে। গণক[২] ও লেখক[৩]গণ প্রত্যহ পূর্বাহ্নে তোমাকে আয়ব্যয়ের হিসাব দেবে। লোভী, চোর, বিদ্বেষী আর অল্পবয়স্ক লোককে কার্যের ভার দেবে না। তোমার রাজ্যে যেন বড় বড় জলপূর্ণ তড়াগ থাকে, কৃষি যেন কেবল বৃষ্টির উপর নির্ভর না করে। কৃষকদের যেন বীজ আর খাদ্যের অভাব না হয়, তারা যেন অল্প সুদে ঋণ পায়। তুমি নারীদের সঙ্গে মিষ্টবাক্যে আলাপ করবে কিন্তু গোপনীয় বিষয় বলবে না। ধনী আর দরিদ্রের মধ্যে বিবাদ হ’লে তোমার অমাত্যরা যেন ঘুষ নিয়ে মিথ্যা বিচার না করে। অন্ধ মূক পঙ্গু অনাথ ও ভিক্ষুদের পিতার ন্যায় পালন করবে। নিদ্রা আলস্য ভয় ক্রোধ মৃদুতা ও দীর্ঘসূত্রতা এই ছয় দোষ পরিহার করবে।

 নারদের চরণে প্রণত হয়ে যুধিষ্ঠির বললেন, আপনার উপদেশে আমার জ্ঞানবৃদ্ধি হ’ল, যা বললেন তাই আমি করব। আপনি যে রাজধর্ম বিবৃত করলেন, তা আমি যথাশক্তি পালন করে থাকি। আমি সৎপথেই চলতে ইচ্ছা করি, কিন্তু পূর্ববর্তী জিতেন্দ্রিয় নৃপতিগণ যে ভাবে কর্তব্য পালন করতেন তা আমি পারি না। তার পর যধিষ্ঠির বললেন, ভগবান, আপনি বহু লোকে বিচরণ ক’রে থাকেন, এই সভার তুল্য বা এর চেয়ে ভাল কোনও সভা দেখেছেন কি? নারদ সহাস্যে বললেন, তোমার এই সভার তুল্য অন্য সভা আমি মনুষ্যলোকে দেখি নি, শুনিও নি। তবে আমি ইন্দ্র যম বরণ কুবের ও ব্রহ্মার সভার কথা বলছি শোন।―

 ইন্দ্রের সভা শত যোজন দীর্ঘ, দেড় শ যোজন আয়ত, পাঁচ যোজন উচ্চ, তা ইচ্ছানসারে আকাশে চালিত করা যায়। সেখানে জরা শোক ক্লান্তি নেই ইন্দ্রাণী শচী সেখানে শ্রী লক্ষ্মী হ্রী কীর্তি ও দ্যুতি দেবীর সঙ্গে বিরাজ করেন। দেবগণ, সিদ্ধ ও সাধ্যগণ, বহু মহর্ষি, রাজা হরিশ্চন্দ্র, গন্ধর্ব ও অপ্সরা সকল সেখানে থাকেন। যমের সভা তৈজস উপাদানে নির্মিত, সূর্যের ন্যায় উজ্জ্বল, তার বিস্তার শত যোজন, দৈর্ঘ্য আরও বেশী। স্বর্গীয় ও পার্থিব সর্ববিধ ভোগ্য বস্তু সেখানে আছে। যযাতি, নহুষ, পুরু, মান্ধাতা, ধ্রুব, কাতর্বীর্যার্জুন, ভরত, নিষধপতি নল, ভগীরথ, রাম-লক্ষ্মণ, তোমার পিতা পাণ্ডু প্রভৃতি সেখানে থাকেন। বরুণের সভা জলমধ্যে নির্মিত, দৈর্ঘ্যপ্রস্থে যমসভার সমান, তার প্রাকার ও তোরণ শুভ্র। সেই সভা অধিক শীতলও নয় উষ্ণও নয়, সেখানে বাসুকি তক্ষক প্রভৃতি নাগগণ এবং বিরোচনপুত্র বলি প্রভৃতি দৈত্যদানবগণ থাকেন। চার সমুদ্র, গঙ্গা যমুনা প্রভৃতি নদী, তীর্থসরোবর, পর্বতসমূহ এবং জলচরগণ মূর্তিমান হয়ে সেখানে বরুণের উপাসনা করে। কুবেরের সভা এক শ যোজন দীর্ঘ, সত্তর যোজন বিস্তৃত, কৈলাসশিখরের ন্যায় উচ্চ ও শুভ্রবর্ণ। যক্ষগণ সেই সভা আকাশে বহন করে। কুবের সেখানে বিচিত্র বসন ও আভরণে ভূষিত হয়ে সহস্র রমণীতে বেষ্টিত হয়ে বাস করেন, দেব ও গন্ধর্বগণ অপ্সরাদের সঙ্গে দিব্যতালে গান করেন। মিশ্রকেশী মেনকা উর্বশী প্রভৃতি অপ্সরা, যক্ষ ও রাক্ষসগণ, বিশ্বাবসু হাহা হুহু প্রভৃতি গন্ধর্ব, এবং ধার্মিক বিভীষণ সেখানে থাকেন। পুলস্ত্যের পুত্র কুবের উমাপতি শিবকে নতশিরে প্রণাম ক’রে সেই সভায় উপবেশন করেন।

 মহারাজ, আমি সূর্যের আদেশে সহস্রবৎসরব্যাপী ব্রহ্মব্রত অনুষ্ঠান করি, তার পর তাঁর সঙ্গে ব্রহ্মার সভায় যাই। সেই সভা অবর্ণনীয়, তার রূপ ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তিত হয়। সেখানে ক্ষুৎপিপাসা বা গ্লানি নেই, তার প্রভা ভাস্করকে অতিক্রম করে। দক্ষ প্রচেত কশ্যপ বশিষ্ঠ দুর্বাসা সনৎকুমার অসিতদেবল প্রভৃতি মহাত্মা, আদিত্য বসু রূদ্র প্রভৃতি গণদেবতা, এবং শরীরী ও অশরীরী পিতৃগণ সেখানে ব্রহ্মার উপাসনা করেন। ভরতনন্দন যুধিষ্ঠির, দেবতাদের এইসকল সভা আমি দেখেছি, মনুষ্যলোকে সর্বশ্রেষ্ঠ তোমার সভাও এখন দেখলাম।

 যুধিষ্ঠির বললেন, মহামুনি, ইন্দ্রসভার বর্ণনায় আপনি একমাত্র রাজর্ষি হরিশ্চন্দ্রের নামই বললেন। তিনি কোন্‌ কর্মের ফলে সেখানে গেলেন? আপনি যমের সভায় আমার পিতা পাণ্ডুকে দেখেছেন। তিনি কি বললেন তাও জানতে আমার পরম কৌতূহল হচ্ছে।

 নারদ বললেন, রাজা হরিশ্চন্দ্র সকল নরপতির অধীশ্বর সম্রাট ছিলেন, তিনি রাজসূয় যজ্ঞে ব্রাহ্মণগণকে বিস্তর ধন দান করেছিলেন। যে রাজারা রাজসূয় যজ্ঞ করেন, যাঁরা পলায়ন না ক’রে সংগ্রামে নিহত হন, এবং যাঁরা তীব্র তপস্যায় কলেবর ত্যাগ করেন, তাঁরা ইন্দ্রসভায় নিত্য বিরাজ করেন। হরিশ্চন্দ্রের শ্রীবৃদ্ধি দেখে তোমার পিতা পাণ্ডু বিস্মিত হয়েছেন এবং আমাকে অনুরোধ করেছেন যেন মর্ত্যলোকে এসে তাঁর এই কথা আমি তোমাকে বলি―পুত্র, তুমি পৃথিবী জয় করতে সমর্থ, ভ্রাতারা তোমার বশবর্তী, এখন তুমি শ্রেষ্ঠ যজ্ঞ রাজসূয়ের অনুষ্ঠান কর, তা হলে আমি হরিশ্চন্দ্রের ন্যায় ইন্দ্রসভায় বহুকাল সুখভোগ করতে পারব। অতএব যুধিষ্ঠির, তুমি তোমার পিতার এই সংকল্প সিদ্ধ কর। এই উপদেশ দিয়ে নারদ তাঁর সঙ্গী ঋষিদের নিয়ে দ্বারকার অভিমুখে যাত্রা করলেন।

  1. লগুড় যোদ্ধা, লাঠিয়াল।
  2. হিসাব-রক্ষক।
  3. কেরানী।