মিঠেকড়া
চিত্রশিল্পী
দেবব্রত মুখোপাধ্যায়
প্রথম প্রকাশ।
শ্রাবণঃ ১৩৫৮
দাম:
দু’ টাকা
প্রকাশক
প্রশান্ত ভট্টাচার্য
সারস্বত লাইব্রেরী
২০৬ কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট
কলিকাতা—৬
মুদ্রাকর
শ্রীনিবারণচন্দ্র ভট্টাচার্য
সারস্বত প্রিণ্টিং ওয়ার্কস।
২০৬ কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট
কলিকাতা—৬
বড়োরা অবাক হয় সুকান্তর কবিতা পড়ে। এবার সুকান্তর ছড়া পড়ে অবাক হবে ছোটরা। আদ্যিকালের বদ্যিবুড়ির ছড়া নয়, একেবারে একালের টাট্কা হাতে-গরম ছড়া। হাসতে হাসতে হঠাৎ হাত মুঠো হয়ে যাবে রাগে, চোখ দুটো জ্বলে উঠবে লাল-টক্টকে সূর্য-ওঠা দিনের কথা ভেবে। এমন ছড়া বাংলা দেশে আর কেউ লেখে নি।
কলকাতার রাস্তায় বিষম এক খেলা। বন্দুকের সঙ্গে শুধু হাতের লড়াই। আশ্চর্য! এমন এক সাংঘাতিক কাণ্ড তার মধ্যেও মজা পেয়েছে সুকান্ত। গোটা বইতে এমনি সব মিঠে রসে ভেজানো কড়া পাকের ছড়া। সুকান্তই নিজে তাই তার বইয়ের নাম দিয়েছিল 'মিঠেকড়া'।
'পৃথিবীর দিকে তাকাও'—এই ছড়াটি একটি ইংরেজি কবিতার ভাবানুসরণে লেখা। বত্রিশ পৃষ্ঠার ছবিটি একটি বিদেশী ছবির ভাবাবলম্বনে আঁকা।
‘মিঠেকড়া’র ছবিগুলি এঁকেছেন শিল্পী দেবব্রত মুখোপাধ্যায়। সুকান্ত এই ছড়াগুলো লেখার পর ছবি আঁকার জন্যে তারই হাতে প্রথম দেয় এবং এ বইয়ের পরিকল্পনা দুজনে মিলে করে। এতদিন পরেও দেবব্রতবাবু সুকান্তর মনের কথা যেভাবে ছবির রেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন, তাতে তাকে অভিনন্দন না জানিয়ে পারছি না। সুকান্ত এ বই দেখলে কী খুশিই যে হ'ত।
এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।