নবজাতক
প্রকাশক-শ্রীকিশোরীমোহন সাঁতরা
বিশ্বভারতী গ্রন্থন-বিভাগ, ২১০, কর্নওআলিস স্ট্রীট, কলিকাতা
বৈশাখ, ১৩৪৭
মুদ্রাকর-প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
শান্তিনিকেতন প্রেস, শান্তিনিকেতন
সূচনা
আমার কাব্যের ঋতুপরিবর্তন ঘটেছে বারে বারে। প্রায়ই সেটা ঘটে নিজের অলক্ষ্যে। কালে কালে ফুলের ফসল বদল হয়ে থাকে তখন মৌমাছির মধু জোগান নতুন পথ নেয়। ফুল চোখে দেখবার পূর্বেই মৌমাছি ফুলগন্ধের সূক্ষ্ম নির্দেশ পায়, সেটা পায় চারদিকের হাওয়ায়। যারা ভোগ করে এই মধু তারা এই বিশিষ্টতা টের পায় স্বাদে। কোনো কোনো বনের মধু বিগলিত তার মাধুর্যে, তার রং হয় রাঙা, কোনো পাহাড়ি মধু দেখি ঘন, আর তাতে রঙের আবেদন নেই, সে শুভ্র, আবার কোনো আরণ্য সঞ্চয়ে একটু তিক্ত স্বাদেরও আভাস থাকে।
কাব্যে এই যে হাওয়া বদল থেকে সৃষ্টিবদল এ তো স্বাভাবিক, এমনি স্বাভাবিক যে এর কাজ হোতে থাকে অন্যমনে। কবির এ সম্বন্ধে খেয়াল থাকে না। বাইরে থেকে সমজদারের কাছে এর প্রবণতা ধরা পড়ে। সম্প্রতি সেই সমজদারের সাড়া পেয়েছিলুম। আমার একশ্রেণীর কবিতার এই বিশিষ্টতা আমার স্নেহভাজন বন্ধু অমিয়চন্দ্রের দৃষ্টিতে পড়েছিল। ঠিক কী ভাবে তিনি এদের বিশ্লেষণ করে পৃথক করেছিলেন তা আমি বলতে পারিনে। হয়তো
দেখেছিলেন এরা বসন্তের ফুল নয়, এরা হয়তো প্রৌঢ় ঋতুর ফসল, বাইরে থেকে মন ভোলাবার দিকে এদের ঔদাসীন্য। ভিতরের দিকের মননজাত অভিজ্ঞতা এদের পেয়ে বসেছে। তাই যদি না হবে তাহলে তো ব্যর্থ হবে পরিণত বয়সের প্রেরণা। কিন্তু এ আলোচনা আমার পক্ষে সংগত নয়। আমি তাই নবজাতক গ্রন্থের কাব্য গ্রন্থনের ভার অমিয়চন্দ্রের উপরেই দিয়েছিলুম। নিশ্চিন্ত ছিলুম কারণ দেশবিদেশের সাহিত্যে ব্যাপকক্ষেত্রে তাঁর সঞ্চরণ।
সূচীপত্র | ||
নবজাতক | নবীন আগন্তুক | ১ |
উদ্বোধন | প্রথম যুগের উদয় দিগঙ্গনে | ৩ |
শেষ দৃষ্টি | আজি এ আঁখির শেষ দৃষ্টি দিনে | ৫ |
প্রায়শ্চিত্ত | উপর আকাশে সাজানো তড়িৎ আলো | ৭ |
বুদ্ধভক্তি | হুংকৃত যুদ্ধের বাদ্য | ১১ |
কেন | জ্যোতিষীরা বলে | ১৩ |
হিন্দুস্থান | মোরে হিন্দুস্থান | ১৭ |
রাজপুতানা | এই ছবি রাজপুতানার | ১৯ |
ভাগ্যরাজ্য | আমার এ ভাগ্যরাজ্য পুরানো কালের | ২৪ |
ভূমিকম্প | হায় ধরিত্রী, তোমার আঁধার পাতাল | ২৮ |
পক্ষীমানব | যন্ত্রদানব, মানবে করিলে পাখি | ৩১ |
আহ্বান | বিশ্ব জুড়ে ক্ষুব্ধ ইতিহাসে | ৩৪ |
রাতের গাড়ি | এ প্রাণ, রাতের রেলগাড়ি | ৩৬ |
মৌলানা জিয়াউদ্দীন | কখনো কখনো কোনো অবসরে | ৩৮ |
অস্পষ্ট | আজি ফাল্গুনে দোল পূর্ণিমা রাত্রি | ৪১ |
এপারে-ওপারে | রাস্তার ওপারে | ৪৪ |
মংপু পাহাড়ে | কুজ্ঝটিজাল যেই | ৪৯ |
ইস্টেশন | সকাল বিকাল ইস্টেশনে আসি | ৫২ |
জবাবদিহি | কবি হয়ে দোল-উৎসবে | ৫৬ |
সাড়ে ন'টা | সাড়ে ন'টা বেজেছে ঘড়িতে | ৫৮ |
প্রবাসী | হে প্রবাসী | ৬১ |
জন্মদিন | তোমরা রচিলে যারে | ৬৩ |
প্রশ্ন | চতুর্দিকে বহ্নিবাষ্প | ৬৬ |
রোম্যাণ্টিক | আমারে বলে যে ওরা রোম্যাণ্টিক | ৬৮ |
ক্যাণ্ডীয় নাচ | সিংহলে সেই দেখেছিলেম | ৭১ |
অবর্জিত | আমি চলে গেলে ফেলে রেখে যাব পিছু | ৭৩ |
শেষ হিসাব | চেনা শোনার সাঁঝবেলাতে | ৭৭ |
সন্ধ্যা | দিন সে প্রাচীন অতি প্রবীণ বিষয়ী | ৮০ |
জয়ধ্বনি | যাবার সময় হোলে | ৮১ |
প্রজাপতি | সকালে উঠেই দেখি | ৮৩ |
প্রবীণ | বিশ্ব-জগৎ যখন করে কাজ | ৮৬ |
রাত্রি | অভিভূত ধরণীর দীপনেভা তোরণদুয়ারে | ৮৮ |
শেষ বেলা | এল বেলা পাতা ঝরাবারে | ৯১ |
রূপ-বিরূপ | এই মোর জীবনের মহাদেশে | ৯৩ |
শেষ কথা | এ ঘরে ফুরাল খেলা | ৯৫ |
এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।