ষ্ট্যালিন
“অগ্রণী বুক ক্লাব” ১৬ নং বৃন্দাবন বসু লেন কলিকাতা হইতে
প্রফুল্লকুমার রায় কর্তৃক প্রকাশিত
প্রথম সংস্করণ—সেপ্টেম্বর, ১৯৪১
দ্বিতীয় সংস্করণ—জানুয়ারী, ১৯৪৪
মুদ্রাকর—শ্রীপ্রভাতচন্দ্র রায়
শ্রীগৌরাঙ্গ প্রেস
৫নং চিন্তামণি দাস লেন, কলিকাতা
১৩৪৩|৪৩
ভূমিকা
ষ্ট্যালিনের জীবন রাশিয়ার শ্রমিক আন্দোলন ও বিপ্লবের সহিত অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ষ্ট্যালিনের কর্ম্মবহুল জীবনে নাটকীয় ঘটনার অত্যন্ত অভাব। সেই কারণে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাশিয়ার কৃষক শ্রমিকের অভ্যুত্থানের ইতিহাসের সহিত জড়িত করিয়াই এই জীবন আমাকে আলোচনা করিতে হইয়াছে। সমসাময়িক জগতের রাষ্ট্রক্ষেত্রে ষ্ট্যালিন এক বিরাট বিগ্রহ। অথচ তাঁহার সম্বন্ধে আমরা অতি অল্পই জানি। এই শ্রেণীর মানুষের জীবনের একটা স্বচ্ছ পরিচয় লেখনীমুখে ফুটাইয়া তোলা কঠিন ব্যাপার। আমি অকপটে স্বীকার করিতেছি যে এই গ্রন্থ তাঁহার সম্যক পরিচয় নহে। আজ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের গতিপথে নাৎসী জার্মানী সোভিয়েট রাশিয়াকে আক্রমণ করার পর এই প্রশ্নই মুখ্য হইয়া উঠিয়াছে যে, মনুষ্যজাতির ভবিষ্যৎ কি? মানব মুক্তির উপাসকগণের আত্মবলিদান কি কোন নূতন আশা সান্ত্বনা বহিয়া আনিবে, না নৈরাশ্যের অন্ধকারে মনুষ্য-সভ্যতা বহুযুগ আবৃত থাকিবে? সোভিয়েট রাশিয়ার বিশ্বকোটী নরনারী কি রুধিরস্রোতে ভাসিয়া যাইবে? না শোণিতস্নাত হইয়া পুনরায় তাহারা নব নির্ম্মাণশালায় মনুষ্য জাতির ভবিষ্যৎ গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করিবে?
এই প্রশ্ন আসিতেছে সমাজের সর্ব্বনিম্ন স্তর হইতে। সমাজের উপরের দিকের পাণ্ডিত্যাভিমানী মৃত জগতের স্তাবকগণ এই প্রশ্ন শুনিয়া সচকিত ও উদ্বিগ্ন। পৃথিবীর সকল দেশের বুদ্ধিজীবিরা এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করিতেছেন, কূটনীতিকগণ কৌশলপূর্ণ ভাষার আবরণে সংকীর্ণতর অর্থে এক নয়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত ও আশ্বাস দিতেছেন। আর একদল লোক আছেন যাঁহারা উদ্বিগ্ন নহেন, ভূমিকম্পের মত প্রচণ্ড আলোড়নে যাঁহারা ধ্বংস অপেক্ষা নবসৃষ্টির বার্ত্তা পাঠ করেন। ষ্ট্যালিন হইলেন এই দলের প্রতিনিধি।
“অ র ণি” |
শ্রীসত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার |
দ্বিতীয় সংস্করণের ভুমিকা
এবার গ্রন্থখানি আদ্যোপান্ত সংশোধন করিয়াছি। অনেক নূতন বিষয় প্রামাণিক গ্রন্থ হইতে সংগ্রহ করিয়াছি। বিপ্লব ও অদ্যকার স্বাধীনতার যুদ্ধের মহান নেতার জীবনকাহিনী আমার দুর্ব্বল লেখনীতে কতটা ফুটিয়াছে জানি না, তবে অপক্ষপাতীভাবে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছি ইহাই আমার সান্ত্বনা।
“অ র ণি” |
শ্রীসত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার |
ভারতের কম্যুনিষ্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা
কমরেড মুজাফ্ফর আহমদের
করকমলে
সূচীপত্র
এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।