সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড)/জীবজন্তর কথা

পুণ্যলতা চক্রবর্তী, কল্যাণী কার্লেকর সম্পাদিত
(পৃ. জীবজন্তুর কথা)
জীবজন্তুর কথা

 এই পর্যায়ের মোট ৩৭টি প্রবন্ধের রচনাকাল কার্তিক ১৩২১ থেকে শ্রাবণ ১৩৩০—এই প্রায় ন” বছর ধরে সন্দেশ পত্রিকায় এগুলি প্রকাশিত। প্রথম তিনটি রচনা বাদ দিলে বাকিগুলি প্রকাশের সময় সুকুমারই ছিলেন পত্রিকার সম্পাদক। তখনকার সন্দেশে প্রমদারঞ্জনের ‘বনের খবর’ ছাড়াও গোড়া থেকেই জীবজন্তু, পশুপক্ষী, কীটপতঙ্গ এই-সব বিষয়ে বহু রচনা নানা জনে লিখেছিলেন। তবে প্রথম দিকে অধিকাংশই উপেন্দ্রকিশোরের লেখা আর পরবর্তীকালে সুকুমারই ছিলেন এর অধিকাংশ রচনার লেখক।

 প্রবন্ধগুলি পঞ্চাশ-ষাট বছর আগে পত্রিকার প্রয়োজনে রচিত হলেও আজও তা কিশোর-পাঠকদের সমানভাবে আকর্ষণ করবে। এই রচনাগুলির বিন্যাসে সন্দেশ-এ প্রকাশিত কালানুক্রমই অনুসৃত হয়েছে। প্রায় অবিকৃতভাবে সন্দেশ-এর ‘পাঠ’ই বজায় রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র যে-সব জায়গায় রচনার সঙ্গে ছবি ছিল অথচ পত্রিকার বিবর্ণ পৃষ্ঠা থেকে তা উদ্ধার করে দেওয়া সম্ভব হয় নি, সেক্ষেত্রে চিত্র-প্রসঙ্গে যে কথাটুকু ছিল তা সতর্কভাবে ন্যুনতম সম্পাদনা করে পাঠের সামঞ্জসা বজায় রাখা হয়েছে। প্রতিটি রচনাতেই সন্দেশে প্রকাশের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। এই পর্যায়ের মানুষমুখো’ রচনাটি সন্দেশে উহ্যনাম পণ্ডিত এই ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়েছিল।

সূচীপত্র
গরিলা ২৯৯
সেকালের লড়াই ৩০০
রাক্ষুসে মাছ ৩০১
ফড়িং ৩০২
পেকারি ৩০৩
সেকালের বাঘ ৩০৫
অদ্ভুত কাঁকড়া ৩০৬
জানোয়ারওয়ালা ৩০৭
সেকালের বাদুড় ৩১০
সিন্ধু ঈগল ৩১১
জানোয়ারের প্রবাস যাত্রী ৩১৩
ঘোড়ার জন্ম ৩১৫
প্রাচীন কালের শিকার ৩১৭
বিদ্যুৎ মৎস্য ৩১৯
তিমির খেয়াল ৩২০
গোখুরো শিকার ৩২১
পাখির বাসা ৩২৩
কুমিরের জাতভাই ৩২৪
সমুদ্রের ঘোড়া ৩২৬
গরিলার লড়াই ৩২৮
বর্মধারী জীব ৩২৯
ধনঞ্জয় ৩৩১
শামুক ঝিনুক ৩৩৩
মাছি ৩৩৬
অদ্ভুত মাছ ৩৩৯
জানোয়ারের ঘুম ৩৪১
তিমির ব্যবসা ৩৪৫
জানোয়ার এঞ্জিনিয়ার ৩৪৮
গ্লাটন ৩৫১
নাকের বাহার ৩৫৩
নিশাচর ৩৫৫
বেবুন ৩৫৬
সিংহ শিকার ৩৫৭
আলিপুরের বাগানে ৩৫৯
খাঁচার বাইরে খাঁচার জন্তু ৩৬১
লড়াইবাজ জানোয়ার ৩৬২
মানুষমুখো ৩৬৫