কবিতাসংগ্রহ/কিংবদন্তির ভোর

তপোধীর ভট্টাচার্য

কবিতাসংগ্রহ

২০০৪ (পৃ. ১১৫-১১৬)

কিংবদন্তির ভোর

 

তোমার মুখর স্পর্শে জেগে উঠি রোজ...

 

অজিতেশ ভট্টাচার্য
অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
সুরজিৎ ঘোষ
বিজিৎকুমার ভট্টাচার্য
সম্পাদক-এবরেষু

পরিচ্ছেদসমূহ (মূল গ্রন্থে নেই)

কিংবদন্তির ভোর

পালকের ছায়া

তোমার মোহর তুমি রেখে গেছ নির্জনতা জুড়ে 

 ১১৭

প্রতিদিন ভোরের আজানে শুনি 

 ১১৭

পাখি-মা কুলায় ভেঙে উড়ে গেছে 

 ১১৭

স্মৃতির ভাড়ার থেকে খুঁটে-খুঁটে তুলে নিচ্ছি 

 ১১৮

শৈশবের চিতা জ্বলে লেলিহ আগুনে 

 ১১৮

সবশেষে পড়ে থাকে নাভিপিণ্ড, নিরাকার ছাই 

 ১১৯

কোলাহল শেষ করে উঠে যায় রুদালিরা 

 ১১৯

দিনলিপি জুড়ে শুধু ছিদ্রহীন অসূর্যার অন্ধ অনুভব 

 ১২০

সমস্ত রূপক ভেঙে দিচ্ছে অন্ধকার 

 ১২০

তোমার অস্তিত্ব আজ আশ্বিনের রোদ 

 ১২১

কথা নয়, কথা নয় কোনো 

 ১২১

তোমার একান্ত মায়া গভীর গভীরতর 

 ১২২

সময়-পিশাচ

যতটুকু লিখি, শুধু শূন্য 

 ১২২

মাটি ও শস্যের মধ্যে আজ কোনো 

 ১২২

ঠুকরে ঠুকরে ছিড়ে-খুঁড়ে খেয়ে নিচ্ছে কারা হাড়-মাংস 

 ১২৩

যে-কোনো শেকড় থেকে বুঝে নিই 

 ১২৩

মুঠো-ভর্তি ধুলো, কেন একে এতদিন পরাগ ভেবেছি 

 ১২৩

সমস্ত আড়াল খুলে ভাষা 

 ১২৪

এই সার্কাস-শহরে ঘুমিয়ে পড়েছে 

 ১২৪

সমাপ্তি-রেখাকে ছুঁয়ে ফিরে আসি 

 ১২৪

দিকে দিকে সুখের বিকল্প হয়ে এসময় 

 ১২৫

রেখেছে আগুন ঘিরে প্রতিদিন 

 ১২৫

অস্ত্রের টংকার মুছে দিয়ে 

 ১২৫

নির্জন হয়েছে যাত্রারেখা 

 ১২৬

পুঁথি থেকে আখরেরা ছিটকে পড়ছে রোজ 

 ১২৬

ভাঙা সাঁকো, কবেকার কাঠ-চেরাইয়ের স্মৃতি নিয়ে জাগে 

 ১২৭

এই শব্দ আমার 

 ১২৭

আর কত বাকি আছে ভার 

 ১২৭

যাই ব্যর্থ দিন আর কৃপণ রাতের গাথা 

 ১২৮

এই মাটি খুঁড়ে জল উঠেছিল কোনোদিন 

 ১২৮

লিখি পোড়া তৈজসের ভাষ্য 

 ১২৯

এই ভাষা চাতক পাখির 

 ১২৯

পথ জেগে ওঠো 

 ১২৯

আর কতবার গড়া হবে স্বরলিপি 

 ১৩০

জ্বলে-পুড়ে খাক হচ্ছে শ্মশান-চণ্ডাল 

 ১৩০

কথা ফুরিয়েছে প্রাকৃত সাঁঝের বেলা 

 ১৩০

কিংবদন্তির ভোর

এসো, কিংবদন্তির ভোর 

 ১৩১

নোনামাটি থেকে অঙ্কুরের পাঠ নিই 

 ১৩১

জল গোপন বার্তার মতো বয়ে যাচ্ছে 

 ১৩১

হে আলো, প্রণাম 

 ১৩১

তাতে পুড়ে যাচ্ছে চোখ 

 ১৩২

আজ, প্রতিটি মুহূর্ত জুড়ে 

 ১৩২

হলুদ লণ্ঠন, দুলে-দুলে উঠছে 

 ১৩৩

এখন নির্জন মধ্যদুপুরের গভীর স্তব্ধতা 

 ১৩৩

বহু কথা বলা হলো 

 ১৩৩

জন্মান্ধের কাছে কেন ধুলো 

 ১৩৩

ধূলোকে চুম্বন করি নুয়ে যেতে-যেতে 

 ১৩৪

এই গাথা, অজস্র মৃত্যুর 

 ১৩৪

ভাবো, অনুশাসনের বাগর্থ ভেঙেছি 

 ১৩৪

আলো হোক, আলো হোক, আলো হোক, আলো 

 ১৩৫

জল ফিরে যাচ্ছে উৎসে 

 ১৩৫

পুড়ে যাচ্ছে আঁখি-তারা, ইড়া ও পিঙ্গলা 

 ১৩৫