চন্দ্রলোকে যাত্রা

চন্দ্রলোকে যাত্রা

চন্দ্রলোকে যাত্রা

বাঙ্গালার প্রতাপ, রাণী ভবানী, আশীদিনে ভূ-প্রদক্ষিণ,
বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ, পাতালে, বাঙ্গালীর বল
প্রভৃতি প্রণেতা

শ্রীরাজেন্দ্র লাল আচার্য্য বি, এ

প্রণীত

ষ্টুডেণ্টস্ লাইব্রেরী,

কলিকাতা ও ঢাকা।

মূল্য আট আনা

প্রকাশক—শ্রীব্রজেন্দ্রমোহন দত্ত
৫৭।১ কলেজ ষ্ট্রীট, কলিকাতা

গ্রন্থকারের অন্যান্য পুস্তক
বাঙ্গালায় প্রবেশ ... ৷৷৹
রাণী ভবানী ... ৷৷৶৹
আশী দিনে ভূ-প্রদক্ষিণ ... ১৷৹
বেলুনে পাঁচসপ্তাহ ... ১৲
পাতালে ... ১৷৹
বাঙ্গালীর বল ... ৪৲
পল্লী-সমাজ ... ১৶৹

প্রিণ্টার—শ্রীঅবিনাশচন্দ্র মণ্ডল
সিদ্ধেশ্বর প্রেস্
২১ নং নন্দকুমার চৌধুরী সেকেণ্ড লেন,
কলিকাতা।

ভূমিকা

 প্রায় দশ বৎসর পূর্ব্বে ফরাসী জুলে ভার্ণেকে আমি প্রথমে বাঙ্গালা-পোষাকে বাঙ্গালীর ঘরে বরণ করিয়া আনিয়াছিলাম। তখন ভাবিয়াছিলাম যে, আরও সহকর্ম্মী পাইব। ক্রমে ক্রমে জুলে ভার্ণের তিন খানি পুস্তক বাঙ্গালায় প্রকাশ করিলাম। ‘চন্দ্রলোকে যাত্রা’ চতুর্থ। আজিও সহকর্ম্মী মিলে নাই! সেদিন দেখিলাম জুলে ভার্ণের “বেলুনে পাঁচ-সপ্তাহ” উর্দ্দূ ভাষায় অনূদিত-হইয়াছে।

 শুনিতেছি, এ কালের বঙ্গসাহিত্যের হাটে জুলে ভার্ণের আর স্থান নাই! এখন নাকি সুলভ সংস্করণের নানা প্রকার গভীর মনস্তত্ত্বের আলোচনায় শুধু যুবা বা প্রৌঢ় নয়—‘ডবল প্রমোশন’ পাইয়া—ছেলেরাও মাতিয়াছে! ষ্টুডেণ্টস্ লাইব্রেরীর অধ্যক্ষ বন্ধুবর শ্রীযুক্ত ব্রজেন্দ্রমোহন দত্ত মহাশয় এ কথা জানিয়া শুনিয়াও ছাড়িলেন না, কাজেই জুলে ভার্ণের সেই সুবিখ্যাত গ্রন্থ “From the Earth to the Moon”—যাহা শুধু ছেলের নহে, ছেলের পিতারও চিত্তাকর্ষণ করে—অবলম্বন করিয়া ‘চন্দ্রলোকে যাত্রা’ লিখিত হইল। ইহা উক্ত গ্রন্থের নিছক অনুবাদ নহে।

 যাহাদের জন্য এই গ্রন্থ রচিত হইল, ইহা পাঠ করিবার বয়স (!) ও আগ্রহ কি আমরা এখনো তাহাদের রাখিয়াছি? বাঙ্গালার সাহিত্যিকদিগকে এই প্রশ্নটা সানুনয়ে জিজ্ঞাসা করিবার জন্যই এই ভূমিকা লিখিবার প্রয়োজন হইল। নিবেদন ইতি।

উলুবেড়িয়া (হাবড়া)
৩০শে ভাদ্র, ১৩৩০ সাল

নিবেদক

শ্রীরাজেন্দ্র লাল আচার্য্য