ছড়ার ছবি
ছড়ার ছবি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নন্দলাল বসু -কর্তক চিত্রাঙ্কিত
বিশ্বভারতী গ্রন্থালয়
২ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্ট্রীট। কলিকাতা
শ্রীনন্দলাল বসু -অঙ্কিত
প্রচ্ছদ এবং একত্রিশখানি রেখাচিত্র ও সাতখানি টোনের ছবি সংবলিত
প্রথম প্রকাশ আশ্বিন ১৩৪৪
পুনমুদ্রণ ফাল্গুন ১৩৫২
চৈত্র ১৩৬৭ : ১৮৮৩ শক।
© বিশ্বভারতী ১৯৬১
এই ছড়াগুলি ছেলেদের জন্যে লেখা। সবগুলো মাথায় এক নয়; রোলার চালিয়ে প্রত্যেকটি সমান সুগম করা হয় নি। এর মধ্যে অপেক্ষাকৃত জটিল যদি কোনোটা থাকে তবে তার অর্থ হবে কিছু দুরূহ, তবু তার ধ্বনিতে থাকবে সুর। ছেলেমেয়েরা অর্থ নিয়ে নালিশ করবে না, খেলা করবে ধ্বনি নিয়ে। ওরা অর্থলোভী জাতি নয়।
ছড়ার ছন্দ প্রাকৃত ভাষার ঘরাও ছন্দ। এ ছন্দ মেয়েদের মেয়েলি আলাপ, ছেলেদের ছেলেমি প্রলাপের বাহনগিরি করে এসেছে। ভদ্রসমাজ সভাযোগ্য হবার কোনো খেয়াল এর মধ্যে নেই। এর ভঙ্গীতে, এর সজ্জায় কাব্যসৌন্দর্য সহজে প্রবেশ করে, কিন্তু সে অজ্ঞাতসারে। এই ছড়ায় গভীর কথা হালকা চালে পায়ে নূপুর বাজিয়ে চলে, গাম্ভীর্যের গুমর রাখে না। অথচ, এই ছড়ার সঙ্গে ব্যবহার করতে গিয়ে দেখা গেলে, যেটাকে মনে হয় সহজ সেটাই সব চেয়ে কম সহজ।
ছড়ার ছন্দকে চেহারা দিয়েছে প্রাকৃত বাংলা শব্দের চেহারা। আলোর স্বরূপ সম্বন্ধে আধুনিক বিজ্ঞানে দুটো উল্টো কথা বলে। এক হচ্ছে, আলোর রূপ ঢেউয়ের রূপ; আর হচ্ছে, সেটা কণাবৃষ্টির রূপ। বাংলা সাধুভাষার রূপ ঢেউয়ের, বাংলা প্রাকৃত ভাষার রূপ কণাবৃষ্টির। সাধুভাষার শব্দগুলি গায়ে গায়ে মিশিয়ে গড়িয়ে চলে, শব্দগুলির ধ্বনি স্বরবর্ণের মধ্যবর্তিতায় আঁট বাঁধতে পারে না। দৃষ্টান্ত যথা—
বাংলা প্রাকৃত ভাষায় হসন্তপ্রধান ধ্বনিতে ফাঁক বুজিয়ে শব্দগুলিতে নিবিড় করে দেয়। পাত্লা, আঁজ্লা, বাদ্লা, পাপ্ড়ি, চাঁদ্নি প্রভৃতি নিরেট শব্দগুলি সাধুভাষার ছন্দে গুরুপাক।
সাধুভাষার ছন্দে ভদ্র বাঙালি চলতে পারে না, তাকে চলিতে হয়; বসতে তার নিষেধ, বসিতে সে বাধ্য।
ছড়ার ছন্দটি যেমন ঘেঁষাঘেঁষি শব্দের জায়গা, তেমনি সেইসব ভাবের উপযুক্ত যারা অসতর্ক চালে ঘেঁষাঘেঁষি করে রাস্তায় চলে, যারা পদাতিক, যারা রথচক্রের মোটা চিহ্ন রেখে যায় না, পথে পথে— যাদের হাটে মাঠে যাবার পায়ে চলার চিহ্ন ধুলোর উপর পড়ে আর লোপ পেয়ে যায়।
সূচীপত্র | ||
১ | ||
৫ | ||
৮ | ||
১১ | ||
১৩ | ||
১৫ | ||
১৯ | ||
২১ | ||
২৭ | ||
২৯ | ||
৩২ | ||
৩৭ | ||
৪০ | ||
৪৩ | ||
৪৫ | ||
৪৯ | ||
৫৩ | ||
৫৯ | ||
৬৩ | ||
৬৬ | ||
৬৯ | ||
৭১ | ||
৭৩ | ||
৭৬ | ||
৭৮ | ||
৮১ | ||
৮৫ | ||
৮৬ | ||
৮৯ | ||
৯১ | ||
৯৫ | ||
৯৭ |
প্রথম ছত্রের সূচী
অচলবুড়ি, মুখখানি তার হাসির রসে ভরা |
৪৯ |
অন্ধকারের সিন্ধুতীরে একলাটি ঐ মেয়ে |
৯৭ |
আতার বিচি নিজে পুঁতে পাব তাহার ফল |
৬৩ |
আধবুড়ো ঐ মানুষটি মোর নয় চেনা |
৭৩ |
আমার নৌকো বাঁধা ছিল পদ্মানদীর পারে |
৪০ |
এই জগতের শক্ত মনিব সয় না একটু ত্রুটি |
৮৫ |
এই শহরে এই তো প্রথম আসা |
৭৮ |
এক কালে এই অজয়নদী ছিল যখন জেগে |
৮৯ |
একলা হোথায় বসে আছে, কেই বা জানে ওকে |
১৫ |
কাশীর গল্প শুনেছিলুম যোগীনদাদার কাছে |
৩২ |
কিশোর-গাঁয়ের পুবের পাড়ায় বাড়ি |
৮ |
গয়লা ছিল শিউনন্দন, বিখ্যাত তার নাম |
৫৩ |
গৌরবর্ণ নধর দেহ, নাম শ্রীযুক্ত রাখাল |
৬৬ |
ছবি আঁকার মানুষ ওগো পথিক চিরকেলে |
৮৬ |
ছোটো কাঠের সিঙ্গি আমার ছিল ছেলেবেলায় |
১১ |
দেখ্ রে চেয়ে, নামল বুঝি ঝড় |
১৩ |
নৌকো বেঁধে কোথায় গেল, যা ভাই, মাঝি ডাকতে |
১ |
প্রাণ-ধারণের বোঝাখানা বাঁধা পিঠের ’পরে |
৪৫ |
ফল ধরেছে বটের ডালে ডালে |
২৯ |
বইছে নদী বালির মধ্যে, শূন্য বিজন মাঠ |
৭৬ |
বয়স তখন ছিল কাঁচা; হালকা দেহখানা |
৪৩ |
বিদেশ-মুখো মন যে আমার কোন্ বাউলের চেলা |
৩৭ |
বেড়ার মধ্যে একটি আমের গাছে |
৭১ |
মাটির ছেলে হয়ে জন্ম, শহর নিল মোরে |
৪৫ |
মাঠের শেষে গ্রাম |
২৭ |
যখন দিনের শেষে |
৯১ |
যোগীনদাদার জন্ম ছিল ডেরাস্মাইলখায়ে |
২১ |
রায়বাহাদুর কিষণলালের স্যাকরা জগন্নাথ |
৫৯ |
শিশুকালের থেকে |
৮১ |
সন্ধ্যা হয়ে আসে |
১৯ |
সাগরতীরে পাথরপিণ্ড ঢুঁ মারতে চায় কাকে |
৬৯ |
হঙ্ কঙেতে সারাবছর আপিস করেন মামা |
৫ |
প্রকাশক শ্রীকানাই সামন্ত
বিশ্বভারতী। ৬/৩ দ্বারকানাথ ঠাকুর লেন। কলিকাতা ৭
মুদ্রক শ্রীসূর্যনারায়ণ ভট্টাচার্য
তাপসী প্রেস। ৩০ কর্নওআলিস স্ট্রীট। কলিকাতা ৬
২.১
এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।