মেরী কার্পেণ্টার
মেরী কার্পেণ্টার।
শ্রীকুমুদিনী মিত্র বি, এ,
প্রণীত।
দ্বিজেন্দ্রনাথ বসু কর্ত্তৃক
প্রকাশিত।
ব্রাহ্ম সম্বৎ ৭৮।
মূল্য।৹ আনা মাত্র।
কলিকাতা ৬নং কলেজ স্কোয়ার সাম্য-যন্ত্রে,
সেখ আবদুল লতিফ দ্বারা মুদ্রিত।
১৯০৬৷
“তস্মিন্ প্রীতিস্তস্য প্রিয়কার্যসাধনঞ্চ
তদুপাসনমেব।”
“তাঁহাকে প্রীতি করা এবং তাঁহার প্রিয়কার্য্য সাধন করাই তাঁহার উপাসনা।”
উৎসর্গ।
পরম পূজনীয়া মাতা ঠাকুরাণী
শ্রীচরণেষু।
মা,
নারী-জীবনের লক্ষ্য যাহা, বাল্যকাল হইতে তাহা তােমার নিকট শুনিতেছি। চির দিন যে আদর্শের কথা বলিতেছিলে, মেরী কার্পেণ্টারের জীবনীতে তাহা পাইলাম। ভক্তির সহিত সেই পুণ্যজীবনী তােমাকে অর্পণ করিয়া কৃতার্থ হইলাম।
১৫ই জুন, |
সেবিকা
| |
১৯০৬। |
কুমুদিনী।
|
ভূমিকা।
মেরী কার্পেণ্টারের ভ্রাতুষ্পুত্র এসলিন্ কার্পেণ্টার মহাশয়ের লিখিত জীবন-চরিত যখন পড়ি, তখন মনে হইয়াছিল যে, কেহ যদি মেরী কার্পেণ্টারের সেই জীবনচরিতখানি বাঙ্গালাতে অনুবাদ করিয়া প্রকাশ করেন, তাহা হইলে এদেশীয় নারীগণের মহোপকার হয়। তৎপরে অনেক শিক্ষিতা মহিলাকে মেরী কার্পেণ্টারের জীবনচরিত পড়িতে অনুরোধ করিয়াছি। যে দিন গ্রন্থকর্ত্রী এই প্রবন্ধটী “মেরী কার্পেণ্টার” হলে পাঠ করেন, সে দিন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তখন আমি তাঁহাকে ইহা পুস্তিকাকারে মুদ্রিত করিতে অনুরোধ করি। আমার অনুরোধে তিনি ইহা মুদ্রিত করিতেছেন। ঈশ্বর করুন, তাঁহার এই উদ্যম ও চেষ্টা সুফল প্রসব করুক। মেরী কার্পেণ্টারের এই জীবনচরিতখানি সংক্ষিপ্ত বটে, কিন্তু ইহা পাঠ করিলে এদেশীয় নারীগণ বিশেষ উপকৃত হইবেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। “মানবের সেবাই ঈশ্বরের সেবা”—মেরী কার্পেণ্টারের জীবন রামমোহন রায়ের এই মহাবাক্যের কি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থল! ধন্য এরূপ নারীর জীবন!
দার্জ্জিলিং, |
শ্রী শিবনাথ শাস্ত্রী। | |
৩০এ মে, ১৯০৬। |
সূচীপত্র
এই লেখাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত কারণ এটি ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারির পূর্বে প্রকাশিত।
লেখক ১৯৪৩ সালে মারা গেছেন, তাই এই লেখাটি সেই সমস্ত দেশে পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত যেখানে কপিরাইট লেখকের মৃত্যুর ৮০ বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকে। এই রচনাটি সেই সমস্ত দেশেও পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত হতে পারে যেখানে নিজ দেশে প্রকাশনার ক্ষেত্রে প্রলম্বিত কপিরাইট থাকলেও বিদেশী রচনার জন্য স্বল্প সময়ের নিয়ম প্রযোজ্য হয়।